পুড়ছে ‘পৃথিবীর ফুসফুস’, ভয়াবহতা কতটা?

প্রকাশিত: ১০:৪৫ পূর্বাহ্ণ, আগস্ট ২৭, ২০১৯

অনলাইন ডেস্ক : বিশ্বের বৃহত্তম অরণ্য আমাজন কয়েক সপ্তাহ ধরেই দাউ দাউ করে জ্বলছে। গ্রীষ্মমণ্ডলীয় এই বনটি পরিচিত পৃথিবীর ফুসফুস হিসেবে। কারণ সারা বিশ্বে যে পরিমাণ অক্সিজেন তৈরি হয় তার ২০% আসে এই আমাজন থেকে। এরমধ্যেই গত বৃহস্পতি থেকে শুক্রবারের মধ্যে নতুন করে আমাজনের এক হাজার ২০০টি স্থানে দাবানল দেখা গেছে। এবার দাবানল নিয়ন্ত্রণে যুদ্ধবিমান থেকে পানি দেয়া শুরু করেছে ব্রাজিল।

আমাজনের রোনদোনিয়া রাজ্য থেকে আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছে ব্রাজিলের যুদ্ধবিমান। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কাজ করে যাচ্ছেন ৪৪ হাজারের বেশি সেনা সদস্য।

আমাজন বিশ্বের বৃহত্তম অরণ্য যা প্রচুর কার্বন শুষে নেয়। সেকারণে বায়ুমণ্ডলের তাপমাত্রা কমিয়ে রাখতেও সাহায্য করে এই অরণ্য। এর বেশিরভাগ এলাকাই বিস্তৃত ব্রাজিলে। কার্বন শুষে নিয়ে অক্সিজেন ছাড়ার কারণে এই অরণ্যটি পরিচিত ‘পৃথিবীর ফুসফুস’ হিসেবে।
ড: সৌর দাসগুপ্ত বলেন, ‘দাবানলের কারণে প্রচুর পরিমাণে কার্বন ডাই অক্সাইড ও কার্বন মনোক্সাইড নিঃসৃত হচ্ছে যা শুধু ব্রাজিলের জন্যেই নয় আশেপাশের সব দেশগুলোর জন্যেও খুবই ক্ষতিকারক।’
তিনি আরও জানান, কিছু কিছু গবেষণায় দেখা গেছে কার্বন মনোক্সাইডের দূষণ প্রায় তিন হাজার কিলোমিটার দূর পর্যন্ত চলে গেছে।

এখানে আছে ৩০ লাখেরও বেশি প্রজাতির গাছপালা ও বন্যপ্রাণী। আছে দশ লাখেরও বেশি আদিবাসী। ড. দাসগুপ্ত জানান, পৃথিবীর জীব বৈচিত্র্যের দশ শতাংশ আসে এই আমাজন থেকে।

ব্রাজিলে শুষ্ক মৌসুমে প্রায়শই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। তবে দেশটির ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট ফর স্পেস রিসার্চ যেসব তথ্য প্রকাশ করেছে তাতে দেখা যাচ্ছে এবছর অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ৮৫% বেড়ে গেছে। তারা বলছে, এবছরেই ৭৫ হাজারেরও বেশি অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা রেকর্ড করা হয়েছে এবং তার বেশিরভাগই ঘটেছে আমাজন অঞ্চলে। খবর বিবিসি’র।