৯ শতাধিক মামলা নিষ্পত্তি করে সাড়া ফেললেন বিচারক তাজুল ইসলাম

প্রকাশিত: ৪:৪৩ অপরাহ্ণ, আগস্ট ২৯, ২০১৯

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি : ঝিনাইদহ আদালতের ল্যান্ড সার্ভে ট্রাইব্যুনালের বিচারক (যুগ্ম জেলা জজ) মো. তাজুল ইসলাম গত সাত মাসে ৯ শতাধিক দেওয়ানি মামলা নিষ্পত্তি করে বিচার বিভাগে ইতিবাচক সাড়া ফেলেছেন। অল্প সময়ে তার এ কার্যক্রম ইতোমধ্যে বিভিন্ন মহলে প্রশংসিত হয়েছে। অনেকে মনে করছেন এটা অন্য বিচারকরা অনুসরণ করলে বিচার বিভাগ থেকে মামলার জট কেটে যাবে।

সাতক্ষীরা কলারোয়া উপজেলার বাসিন্দা মো. তাজুল ইসলাম ২০১৮ সালের ২৫ নভেম্বর ঝিনাইদহ আদালতে ল্যান্ড সার্ভে ট্রাইব্যুনালের বিচারক হিসেবে যোগদান করেন। যোগদানের পর ৩ হাজারের বেশি ল্যান্ড সার্ভে মামলার বিচার প্রক্রিয়ায় যুক্ত হন তিনি। দায়িত্ব নেয়ার সময় তার এখতিয়ারে বিচারাধীন ল্যান্ড সার্ভে মামলাসহ মিস কেস ছিল ২৯৫৪টিরও বেশি।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বিচারক মো. তাজুল ইসলাম দায়িত্ব নেয়ার পর মাত্র সাত মাসে ৯ শতাধিক মামলা নিষ্পত্তি করেন। যার মধ্যে ৩৮০টি মামলা ছিল পুরানো। যেগুলো ২০১৪ সাল থেকে ২০১৬ সালে দায়ের হওয়া। এগুলোকে তিনি অগ্রাধিকার দিয়ে নিষ্পত্তি করেন। এ সময় তাকে প্রায় এক হাজার সাক্ষীর সাক্ষ্য নিতে হয়। মিস মামলাতেও ২ শতাধিক সাক্ষী তাদের সাক্ষ্য দেন। এছাড়া প্রায় ২০০টি নতুন মামলা ট্রাইব্যুনালে ইস্যু গঠন করে বিচারিক কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে। অনেক গুরুত্বপূর্ণ মামলা রয়েছে যা তিনি দায়েরের মাত্র ৬ মাসের মধ্যে নিষ্পত্তি করেছেন। বিচারক তাজুল ইসলাম ইতোপূর্বে ঢাকা, মেহেরপুর ও ঠাকুরগাঁওয়ে চাকরি করেছেন।

ঝিনাইদহ আদালতের জিপি (সরকারি কৌশলী) সুবীর কুমার সমার্দ্দার জানান, ঝিনাইদহ আদালতে সাক্ষীদের উপস্থিতি ভালো। তাছাড়া আদালতের বিচারকরাও বিচার কাজে আন্তরিক।

তিনি জানান, বিশেষ করে ঝিনাইদহ আদালতের ল্যান্ড সার্ভে ট্রাইব্যুনালের বিচারক (যুগ্ম জেলা জজ) মো. তাজুল ইসলাম অত্যন্ত দক্ষ একজন বিচারক। যে কারণে অল্প সময়ে এতো বেশি মামলা নিষ্পত্তি করা সম্ভব হয়েছে।

এ বিষয়ে বিচারক মো. তাজুল ইসলাম জানান, সময়মতো অফিস করলে এবং সময়ের কাজ সময়ে করলে মামলা দ্রুত নিষ্পত্তি করা সম্ভব। যা তিনি করতে পেরেছেন।

তিনি বলেন, আমার আদালতে সাক্ষী এলে ফেরত যায় না। আদালতের সময় শেষ হলেও সাক্ষীর সাক্ষ্য নিয়ে তাকে বিদায় দিই। এ ব্যাপারে আদালতের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের এবং আইনজীবীদের সহযোগিতার কথা উল্লেখ করেন তিনি।