এশিয়াতে টস সবসময়ই গুরুত্বপূর্ণ: সাকিব

প্রকাশিত: ৫:১২ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ৪, ২০১৯

ক্রীড়া প্রতিবেদক : কম কথায় উত্তর দেওয়া; কাটকাট কথা বলা সাকিবের অভ্যাস। খুব ঘুরিয়ে-পেঁচিয়ে কথা বলেন না। আবার আগ-পিছও খুব একটা ভাবেন না। আফগানিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচের আগের দিন যেমন বললেন, জয় পেতে স্পিনার বেশি নিয়ে খেলতে হলে খেলব। পেসার বেশি লাগলে নেব। তাতে কে কি ভাবলো কিছু যায় আসে না। কিংবা জয় জয়ই। এক উইকেটের হোক কিংবা দশ উইকেটের। এক রানের কিংবা একশ’ রানের।

সাকিবের কাছে একটি প্রশ্ন ছিল পেসারদের নিয়ে। তারা কেন ধারাবাহিক নন। সাকিবের সোজাসাপ্টা উত্তর, ‘আমি যেহেতু পেসার নই, ওদের মানসিকতা আমার বোঝা মুশকিল।’ এরপর কিছু কারণ দেখালেন, ‘হতে পারে ঘরোয়া ক্রিকেটে বেশি ওভার বোলিং করে ওরা অভ্যস্ত নয়। হয়তো ফিটনেসে সমস্যা থাকতে পারে। তবে নতুন পেস বোলিং কোচ ওসব জায়গায় নিশ্চয় উন্নতি আনবেন।’

পেসারদের মতোই অবস্থা বাংলাদেশ দলের ব্যাটসম্যানদের। কেউ একটা সিরিজে ভালো খেলছেন। পরের সিরিজে ফ্লপ। কিংবা উইকেট বিলিয়ে দিয়ে আসছেন। টেস্টে বাংলাদেশ ব্যাটসম্যানদের উইকেট উপহার দিয়ে আসার প্রবণতা আরও বেশি। সাকিব মনে করেন, অনেকে আত্মবিশ্বাসী হতে হয়তো কিছু শট খেলে। এছাড়া ধীরে খেলুক কিংবা মেরে, ব্যাটসম্যানদের রান করতে হবে বলেও উল্লেখ করেন ইনজুরির কারণে নিউজিল্যান্ডে সর্বশেষ টেস্ট সিরিজে খেলতে না পারা সাকিব।

তিনি বলেন, ‘একজন ব্যাটসম্যান রান না করা পর্যন্ত সেট নন। যদি ১০০ বলে ১০ করেন, তখনও আপনি সেট নন। আবার ১০ বলে ৪০-৫০ করলে সেট। উইকেটে টিকে থাকাই এখনকার টেস্ট ক্রিকেট নয়।’ বাংলাদেশ দল ঢাকার পর চট্টগ্রামে একমাত্র টেস্টের সিরিজের জন্য প্রস্তুতি নিয়েছেন। দলের প্রস্তুতি মানে শুধু ব্যাটিং বোলিং নয়। নিজেদের এবং প্রতিপক্ষের শক্তি-দুর্বলতা জানাও প্রস্তুতি। এসব বিষয় বিবেচনা করেই দলের পরিকল্পনা সাজানো হয় বলে উল্লেখ করেন সাকিব। মতামত নেওয়া হয় দলের সবার।

তবে পরিকল্পনাই সব নয়। টেস্টে ভালো ব্যাটিং-বোলিং করা যেমন গুরুত্বপূর্ণ, টসও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে দাঁড়ায়। ভারতীয় উপমহাদেশের জন্য টসটা আরও বেশি সত্য। সাকিব এ নিয়ে বলেন, ‘এশিয়াতে সবসময়ই টস গুরুত্বপূর্ণ। টসে জিতলে বাড়তি সুবিধা একটু থাকবে। তবে গুরুত্বপূর্ণ হলো আমরা বোলিং করি বা ব্যাটিং, শুরুটা ভালো করা। শুরুতে মোমেন্টামটা পক্ষে নিতে হবে। এরপর সেটা ধরে রাখা আরও্ গুরুত্বপূর্ণ।’

আফগানিস্তান দল নিয়ে বাংলাদেশ অধিনায়ক সাকিব ভালোই হোমওয়ার্ক করেছেন। তাদের বিপক্ষে ব্যাটসম্যানদের পারফরম্যান্স করা মূল বিষয় হবে বলে উল্লেখ করেন তিনি। কারণ আফগানদের শুধু ভালো স্পিনার নয়, পেসারও আছে। এছাড়া আফগান ব্যাটসম্যান নিয়েও ধারণা আছে সাকিবের। শুধু প্রস্তুতি ম্যাচে নয় তাদের ওপেনাররা বাংলাদেশ ‘এ’ দলের বিপক্ষে দারুণ ধৈর্যের পরিচয় দিয়েছেন, তাও জানেন সাকিব। তবে মনে করছেন, বাংলাদেশ দলের বোলারদের তাদের ২০ উইকেট নেওয়ার সামর্থ্য আছে।