ছাত্রলীগের কমিটি ভাঙার সিদ্ধান্ত হয়নি: ওবায়দুল কাদের

প্রকাশিত: ৭:২৮ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ৮, ২০১৯

শ্যামলী নিউজ ডেস্ক : ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটি ভেঙে দেওয়ার খবরের বিষয়ে কথা বলেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেছেন, ছাত্রলীগের কিছু কর্মকাণ্ডে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ক্ষোভ থাকতে পারে। তবে শনিবার রাতে মনোনয়ন বোর্ডের যৌথসভায় ছাত্রলীগের কমিটি ভেঙে দেয়ার বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।

রোববার সচিবালয়ে মার্কিন রাষ্ট্রদূত রবার্ট মিলারের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা বলেন।

শনিবার গণভবনে আওয়ামী লীগের স্থানীয় সরকার ও সংসদীয় মনোনয়ন বোর্ডের যৌথসভায় শেখ হাসিনা ছাত্রলীগ সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের বিষয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে কমিটি ভেঙে দিতে বলেছেন বলে খবর এসেছে কিছু গণমাধ্যমে। সূত্রের বরাত দিয়ে কিছু গণমাধ্যম বলেছে, আওয়ামী লীগের স্থানীয় সরকার ও সংসদীয় মনোনয়ন বোর্ডের যৌথসভায় ছাত্রলীগের বর্তমান কমিটির বিভিন্ন বিষয় নিয়ে উপস্থিত নেতাদের সমালোচনার একপর্যায়ে ছাত্রলীগের কমিটি ভেঙে দিতে বলেন শেখ হাসিনা। সে সময় ছাত্রলীগের সাম্প্রতিক কর্মকাণ্ডে বিরক্তিও প্রকাশ করেন তিনি। 

এ বিষয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, শনিবার আমাদের যে মিটিং ছিল, এটা পার্লামেন্টারি বোর্ড ও স্থানীয় সরকার মনোনয়ন বোর্ডের যৌথসভা। রংপুরের ইলেকশন, ২২টি ইউনিয়ন পরিষদ, তিনটি পৌরসভা, সাতটি উপজেলা পরিষদের নির্বাচন হচ্ছে অক্টোবরে। আমরা এজন্যই বসেছিলাম। মনোনয়নে বোর্ডের মিটিংয়ে এ ধরনের (ছাত্রলীগের কমিটি ভেঙে দেওয়ার সিদ্ধান্ত) কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। কথা প্রসঙ্গে হয়তো কথা আসে। এটা সিদ্ধান্ত আকারে কোনো কথা হয়নি। কাজেই ওখানে ইনসাইডে আমরা অনেক কথাই বলতে পারি, অনেক আলোচনাই করতে পারি। সেখানে কোনো কোনো বিষয়ে ক্ষোভের প্রকাশও হতে পারে বা কারও কারও রিঅ্যাকশনও আসতে পারে। কিন্তু, অ্যাজ এ জেনারেল সেক্রেটারি অব দ্য পার্টি, এ নিয়ে কোনো মন্তব্য করা ঠিক হবে না যতক্ষণ না পর্যন্ত এটা ইমপ্লিমেন্টেশন প্রসেসে যায়।

ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে গণভবন থেকে চলে যেতে বলেছেন- এ প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, আমি তাদের চলে যেতে বলবো কেন? প্রাইম মিনিস্টারের সঙ্গে ওখানে দেখা করতে গেছে। বিভিন্ন জেলা থেকে নেতারা গেছে, ছাত্রলীগ গেছে। প্রাইম মিনিস্টারের বাড়িতে তারা গেছে। আমি কীভাবে বলি, তোমরা এখান থেকে চলে যাও? আসলে কিছু কিছু খবর হাওয়া থেকে পাওয়া হয়ে যায়। একটা হয়, আরেকটা আসে। নানাভাবে ছড়ায়। বাস্তবতাটা ভিন্ন।

বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত আর্ল রবার্ট মিলারের সঙ্গে বৈঠকের বিষয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আমরা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে জানিয়েছি, কিছু এনজিও’র কর্মকাণ্ডের বিষয়ে সরকারের কাছে অভিযোগ এসেছে। এনজিওরা মোনাজাত করবে বলে সরকারের কাছ থেকে অনুমতি নিয়ে রাজনৈতিক মহাসমাবেশ করেছে। এই সমাবেশে কিছু কিছু এনজিও’র সহায়তার বিষয়ে সরকার অবগত হয়েছে। অভিযোগগুলো সরকার খতিয়ে দেখছে।’

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘রোহিঙ্গা ক্যাম্পে এনজিওদের কর্মকাণ্ড সম্পর্কে কিছু তথ্য আমরা যুক্তরাষ্ট্রকে দিয়েছি। নানা ধরনের অভিযোগ আসে, কোনোটা সত্য আবার কোনোটা সত্য নাও হতে পারে। এই বিষয়টি মার্কিন অ্যাম্বাসেডরকে জানিয়েছি।’ 

সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘রোহিঙ্গাদের নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর উদারতার প্রশংসা করেছে যুক্তরাষ্ট্র। তারা বলেছে, ওই মুহূর্তে বাংলাদেশ যে মানবিকতা দেখিয়েছে, তা বিশ্বে বিরল। তাদের সুষ্ঠুভাবে নিজ দেশে প্রত্যাবর্তনের বিষয়ে বাংলাদেশ সরকার যে পদক্ষেপ নিচ্ছে তারা তাতে একমত।’

খালেদা জিয়াকে সরকার ইচ্ছা করেই জামিন দিচ্ছে না, বিএনপি নেতাদের এমন অভিযোগের বিষয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, খালেদা জিয়ার জামিনের বিষয়টি লিগ্যাল ম্যাটার। তাছাড়া, বিএনপি নেতারা তো বলছেন—তারা আন্দোলন করেই খালেদা জিয়াকে মুক্ত করবেন। তারা তাহলে আন্দোলন করেই তাকে মুক্ত করুক, কে নিষেধ করেছে।