বিআইডব্লিউটিসির মূলধন উন্নীত হচ্ছে ৫০০ কোটি টাকা

প্রকাশিত: ৪:৪৯ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ৯, ২০১৯

শ্যামলী নিউজ ডেস্ক : সরকারি নৌপরিবহন সংস্থা বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্পোরেশনের (বিআইডব্লিউটিসি) অনুমোদিত ও পরিশোধিত মূলধনের পরিমাণ বাড়িয়ে ৫০০ কোটি টাকা করা হচ্ছে।

এজন্য ‘বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্পোরেশন আইন-২০১৯’ এর খসড়া নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।

সোমবার রাজধানীর তেজগাঁওয়ে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে মন্ত্রিসভা বৈঠকে এই অনুমোদন দেয়া হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এতে সভাপতিত্ব করেন। বৈঠক শেষে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, ‘এ সংক্রান্ত আইনটি অনেক পুরনো। পাকিস্তান আমল থেকে ইস্ট পাকিস্তান ল’ হিসেবে শুরু হয়ে এই পর্যন্ত আছে। ১৯৭২ সালে এটা প্রেসিডেন্সিয়াল অর্ডার হয়। এরপর ১৯৭৬ ও ১৯৭৯ সালে এটি সংশোধন হয়। আইনটি সামরিক আমলের হওয়ায় এজন্য আপডেট করে বাংলায় করার সিদ্ধান্ত রয়েছে, সেই হিসেবে নতুন আইনটি করা হয়েছে।’

নতুন আইনের পরিবর্তনগুলো তুলে ধরে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘বিআইডব্লিউটিসির অনুমোদিত মূলধন আগে ছিল মাত্র ৫ কোটি টাকা। পরিশোধিত মূলধনের বিষয়ে বলা হয়েছে- সরকার কর্তৃক সময়ে সময়ে যে অর্থ যোগান দেয়া হবে সেটাই পরিশোধিত মূলধন। এখন সেটা বাড়তে বাড়তে ৪৫ কোটি টাকায় এসে থেকেছে।’

শফিউল আলম বলেন, ‘এখন বলা হচ্ছে কর্পোরেশনের অনুমোদিত মূলধন হবে ৫০০ কোটি টাকা। পরিশোধিত মূলধনের বিষয়ে একটা পর্যবেক্ষণ আছে যে, আল্টিমেটলি সরকার এটা যোগান দিয়ে ৫০০ কোটি টাকায় উন্নীত করবে।’

কর্পোরেশনের পরিচালনা পর্ষদ আগের মতোই একজন চেয়ারম্যান ও চারজন পরিচালক নিয়ে গঠিত হবে জানিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘এখন সঙ্গে আরেকজন খণ্ডকালীন পরিচালক যুক্ত হবেন, যিনি নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব হবেন।’

খসড়া আইনানুযায়ী সভায় চেয়ারম্যানসহ তিনজন থাকলে কোরাম হবে জানিয়ে শফিউল আলম বলেন, ‘বার্ষিক প্রতিবেদন দেয়ার বিধান করা হয়েছে। যেটা পরবর্তী অর্থবছর শেষ হওয়ার ৬ মাস আগেই প্রণয়ন করতে হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘কর্পোরেশনের পাওনা আদায়ের জন্য নতুন ম্যানেজমেন্টের কথা বলা হয়েছে। আগে এখানে কোন সুনির্দিষ্ট বিধান ছিল না। এখন বলা হয়েছে, কর্পোরেশনের যদি কোন পাওনা থাকে তবে সেটা ১৯১৩ সালের সরকারি পাওনা আদায় আইন অনুযায়ী আদায়যোগ্য হবে।’

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান, পরিচালক ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কোন লিগ্যাল স্ট্যাটাস দেয়া ছিল না যে তারা কীভাবে গণ্য হবেন। খসড়া আইনে বলা হয়েছে, তারা পাবলিক সার্ভেন্ট হিসেবে বা জনসেবক হিসেবে গণ্য হবেন।’