দুর্গাপূজায় নজরদারিতে থাকবে ফেসবুক : আইজিপি

প্রকাশিত: ৬:৪০ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ১২, ২০১৯

শ্যামলী নিউজ ডেস্ক : দুর্গাপূজায় নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পুলিশ কর্মকর্তাদের প্রতি নির্দেশ দিয়েছেন পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী। তিনি বলেছেন, দুর্গাপূজার সময় ফেসবুকসহ অন্যান্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম নজরদারিতে রাখা হবে। কোনো ব্যক্তি বা গোষ্ঠী ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টের লক্ষ্যে ফেসবুকসহ অন্যান্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচারণা চালালে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) সকালে পুলিশ সদর দফতরের সম্মেলন কক্ষে দুর্গাপূজার আইনশৃঙ্খলা ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা সম্পর্কিত সভায় সভাপতির বক্তব্যে কর্মকর্তাদের এসব নির্দেশনা দেন আইজিপি জাবেদ পাটোয়ারী।

ড. জাবেদ পাটোয়ারী প্রতিমা তৈরির সময় স্বেচ্ছাসেবক নিয়োগ, পূজা মণ্ডপে সিসি ক্যামেরা ও অগ্নিনির্বাপন যন্ত্র স্থাপন এবং হ্যান্ড মেটাল ডিটেক্টর ব্যবহারের জন্য পূজা উদযাপন কমিটির নেতৃবৃন্দের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, অন্যান্য ধর্মাবলম্বীদের ধর্মীয় অনুভূতির প্রতি সম্মান প্রদর্শনের মাধ্যমে ধর্মীয় সম্প্রীতি বজায় রাখতে হবে।

সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় অতীতের মতো এবারও দেশব্যাপী শান্তিপূর্ণভাবে দুর্গাপূজা উদযাপিত হবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।

পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের এআইজি (অপারেশন্স) সাঈদ তারিকুল হাসান দুর্গাপূজাকে সামনে রেখে গৃহীত সার্বিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা সভায় তুলে ধরেন। সভায় আসন্ন দুর্গাপূজাকে কেন্দ্র করে নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিভিন্ন দিক নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়।

পুলিশ সদর দফতরের এআইজি (মিডিয়া অ্যান্ড পিআর) মো. সোহেল রানা বলেন, পূজা উদযাপন পরিষদ নেতৃবৃন্দ দুর্গাপূজাকে সামনে রেখে গৃহীত নিরাপত্তা ব্যবস্থায় সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেন, পুলিশের সক্ষমতা অতীতের চেয়ে বর্তমানে অনেক বেড়েছে, দেশে জঙ্গি ও সন্ত্রাস দমনসহ অন্যান্য ক্ষেত্রে পুলিশ ইতোমধ্যে তাদের সক্ষমতা প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছে। মানুষের মধ্যে নিরাপত্তাবোধ তৈরি হয়েছে। মানুষের আর্থিক সক্ষমতাও বেড়েছে। এসব কারণে প্রতি বছর দেশে পূজা মণ্ডপের সংখ্যা বাড়ছে। আসন্ন দুর্গাপূজাও সারাদেশে শান্তিপূর্ণভাবে উদযাপিত হবে।

এ বছর সারাদেশে প্রায় ৩১ হাজারের বেশি মণ্ডপে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে বলে পূজা উদযাপন পরিষদ সূত্রে জানা গেছে।

সভায় র‌্যাবের মহাপরিচালক ড. বেনজীর আহমেদ, অতিরিক্ত আইজিপি (এঅ্যান্ডও) ড. মইনুর রহমান চৌধুরী, রেলওয়ে রেঞ্জের অতিরিক্ত আইজিপি মহসিন হোসেন, শিল্পাঞ্চল পুলিশের অতিরিক্ত আইজিপি আবদুস সালাম, এসবি প্রধান মীর শহীদুল ইসলাম, সিআইডি প্রধান মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম, টিঅ্যান্ডআইএমর অতিরিক্ত আইজিপি ইকবাল বাহার, হাইওয়ে রেঞ্জের অতিরিক্ত আইজিপি ব্যারিস্টার মাহাবুবুর রহমান, বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিনিধি, বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি মিলন কান্তি দত্ত ও সাধারণ সম্পাদক নির্মল কুমার চ্যাটার্জী, ঢাকা মহানগর সার্বজনীন পূজা কমিটির সভাপতি শৈলেন্দ্র নাথ মজুমদার, রামকৃষ্ণ মিশনের অধ্যক্ষ স্বামী শান্তিকায়নন্দ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।