ভিক্ষুক পুনর্বাসন ও পলিথিনমুক্ত নকলা গড়তে ইউএনও’র উদ্ভাবনী উদ্যোগ

প্রকাশিত: ১০:৩৫ পূর্বাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ১৯, ২০১৯

নকলা প্রতিনিধি : শেরপুরের নকলা উপজেলার ভিক্ষুকদের পুনর্বাসনের জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জাহিদুর রহমানের ব্যতিক্রমী উদ্যোগ সবার কাছে প্রশংসিত হয়েছে। নিষিদ্ধ পলিথিনমুক্ত ময়মনসিংহ বিভাগ ঘোষণা উপলক্ষে বিভাগীয় কমিশনারের নির্দেশে এবং ভিক্ষুকমুক্ত শেরপুর জেলা করার লক্ষ্যে শেরপুর জেলা প্রশাসকের পরামর্শে নকলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জাহিদুর রহমান বিভিন্ন উদ্ভাবনী পদক্ষেপ হাতে নিয়েছে।

বিভিন্ন উদ্যোগের মধ্যে পলিথিন শপিং ব্যাগ ও ভিক্ষাবৃত্তি নিরুৎসাহিত করতে ভিক্ষুকদের দ্বারা কাগজের ঠোঙ্গা প্রস্তুত করে বাজারজাতকরণের মাধ্যমে ভিক্ষুকদের পুনর্বাসন করার কর্মসূচী একটি। ভিক্ষুক পুনর্বাসন করার লক্ষ্যে ভিক্ষুকসহ অন্যান্যদের মাঝে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষে উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে সোমবার বিকালে বানেশ্বরদী ইউনিয়ন পরিষদ চত্তরে পলিথিন শপিং ব্যাগ ও ভিক্ষাবৃত্তি নিরুৎসাহিত করতে সচেতনতা মূলক আলোচনা সভা ও ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকার ভিক্ষুকদেরকে কাগজের ঠোঙ্গা বানানোর প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়।

এতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জাহিদুর রহমান প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। বানেশ্বরদী ইউপি’র চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মো. মাজহারুল আনোয়ার মহব্বতের সভাপতিত্বে ওইসময় অন্যান্যদের মধ্যে উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মো. লুৎফর রহমান, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক শামীম আহমেদ ও সাংগঠনিক সম্পাদক মাফিজুল হক, নকলা অসহায় সহায়তা সংস্থার সভাপতি শামীম আহমেদ, ইউপি সচিব সচিব মো. আজিজুল ইসলাম, সমাজসেবক খন্দকার জসিম উদ্দিন মিন্টুসহ স্থানীয় গন্যমান্য, সাংবাদিক, ইউপির আওতায় বিভিন্ন এলাকার অর্ধশতাধিক নারী-পুরুষ ভিক্ষুক উপস্থিত ছিলেন।

পরে ২১ জন বিক্ষুকের সমন্বয়ে একটি দল গঠন করে দেওয়া হয়। তাছাড়া তাদের হাতে কাগজের ঠোঙ্গা বানানোর জন্য প্রয়োজনীয় কাগজ, আটা কিনার জন্য প্রতিজনে ৫০ টাকা দেওয়া হয়। ভিক্ষুকরা ঠোঙ্গা বানিয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের দপ্তরে নির্ধারিত কোন এক জনের কাছে জমা দিয়ে প্রতি কেজি ৪০ টাকা করে পাবেন। পরে ওইসব ঠোঙ্গা উপজেলার বিভিন্ন দোকানে বিক্রি করা হবে। এতে করে প্রতি ভিক্ষুক প্রতিদিন ১০ থেকে ১২ কেজি ঠোঙ্গা বানাতে পারবেন। ফলে ভিক্ষাবৃত্তি বাদদিয়ে প্রতি জন দরিদ্র লোক প্রতিদিন অন্তত ৪০০ টাকা থেকে ৪৮০ টাকা করে আয় করতে পারবেন। যা ভিক্ষাবৃত্তিতে কোন ক্রমেই সম্ভব নহে। পলিথিন শপিং ব্যাগ ও ভিক্ষাবৃত্তি নিরুৎসাহিত করতে ভিক্ষুকদের দ্বারা কাগজের ঠোঙ্গা প্রস্তুত করে বাজারজাত করণের মাধ্যমে ভিক্ষুকদের পুনর্বাসন করার লক্ষে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জাহিদুর রহমানের গৃহীত কর্মসূচীটি নি:সন্দেহে একটি প্রশংসনীয় উদ্যোগ বলে মনে করছেন সর্বসাধারণ।