জি কে শামীমের টেন্ডার প্রক্রিয়া খতিয়ে দেখা হচ্ছে : গণপূর্তমন্ত্রী

প্রকাশিত: ১২:৩৮ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ২৪, ২০১৯

শ্যামলী নিউজ ডেস্ক : গ্রেফতার হওয়া জি কে শামীমকে সরকারের বিভিন্ন কাজের টেন্ডার নিয়ম বহির্ভূতভাবে দেয়া হয়েছিল কি-না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম। মঙ্গলবার (২৪ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে গণমাধ্যম কেন্দ্র পরিদর্শনে গিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এ তথ্য জানান।

গত শুক্রবার বিকেলে রাজধানীর গুলশানের নিকেতনের অফিসে অভিযান চালিয়ে জি কে বি অ্যান্ড কোম্পানি প্রাইভেট লিমিটেডের মালিক এস এম গোলাম কিবরিয়া শামীম ওরফে জি কে শামীমকে আটক করে র‌্যাব। অভিযানে এক কোটি ৮০ লাখ নগদ টাকা উদ্ধার করা হয়। এছাড়া ১৬৫ কোটি টাকার ওপরে এফডিআর (স্থায়ী আমানত) পাওয়া যায়। পাওয়া যায় মার্কিন ডলার, মাদক ও আগ্নেয়াস্ত্র।

সচিবালয়, র‌্যাব হেড কোয়ার্টার, সোহরাওয়ার্দী হাসপাতাল, পঙ্গু হাসপাতালসহ বড় বড় ১৭টি প্রকল্পের প্রায় তিন হাজার কোটি টাকার ঠিকাদারি কাজ করছেন জি কে শামীম।

সরকারের বেশিরভাগ স্থাপনা নির্মাণের কাজ করছেন গ্রেফতার হওয়া জি কে শামীম -এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে গণপূর্তমন্ত্রী বলেন, ‘গণমাধ্যমে যে বিষয়গুলোর এসেছে, সেগুলোর আলোকে আমিও খতিয়ে দেখছি, যে প্রক্রিয়ায় তিনি ঠিকাদারি কাজ পেয়েছেন সেটা নিয়মের অধীনে ছিল, নাকি নিয়মের ব্যত্যয় ঘটিয়ে কিছু করা হয়েছিল -এগুলো খতিয়ে দেখছি।’

গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবর থেকে জানা গেছে তিনি গণপূর্ত অধিদফতরের কর্মকর্তাদের টাকা দিয়ে কাজ নিতেন -এ বিষয়ে রেজাউল করিম বলেন, ‘বিষয়টি তদন্তাধীন, যারা তদন্ত করছেন তাদের তদন্ত রিপোর্ট আসার পরই এ বিষয়ে মন্তব্য করা শ্রেয়।’

জি কে শামীম এখনও সচিবালয়ে দুটি ভবন নির্মাণের কাজ করছেন -এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে মন্ত্রী বলেন, ‘তিনি র‌্যাবের হেড কোয়ার্টারেরও ঠিকাদার। কিভাকে কাজগুলো হয়েছে, নিয়মের ব্যত্যয় হয়েছে কি-না বা কীভাবে হচ্ছে, এসব বিষয়গুলো আমরা পর্যবেক্ষণ করছি। বিষয়টি তদন্তাধীন, তদন্তেই সব তথ্য উপাত্ত বেরিয়ে আসবে বলে আমি আশা করি।’

তদন্ত কবে শেষ হবে? -জানতে চাইলে গণপূর্তমন্ত্রী বলেন, ‘তদন্ত করছেন তদন্তকারী কর্মকর্তারা, সেই বিষয়টি তো আমি নির্ধারণ করতে দিতে পারব না।’

মন্ত্রণালয় থেকে তদন্ত কমিটি করা হবে কি-না? এ বিষয়ে তিনি বলেন, ‘একটি তদন্ত চলা অবস্থায় আরেকটি তদন্ত আইনসিদ্ধ নয়। তাহলে সেই তদন্তকে ইন্টারফেয়ার করা হয়। আমরা আমাদের মতো করে বিষয়গুলো পর্যবেক্ষণ করছি অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে।’

এ সময় সচিবালয়ে কর্মরত সংবাদিকদের সংগঠন বাংলাদেশ সেক্রেটারিয়েট রিপোর্টার্স ফোরামের (বিএসআরএফ) সভাপতি তপন বিশ্বাস ও সাধারণ সম্পাদক শামীম আহমেদ উপস্থিত ছিলেন।