জামালপুরে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে ৩৭৫ কেজি পলিথিন জব্দ, ৭জনের জেল জরিমানা

প্রকাশিত: ১০:২৬ পূর্বাহ্ণ, অক্টোবর ১০, ২০১৯

জামালপুর প্রতিনিধি : জামালপুর জেলায় পৃথক ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে ৩৭৫ মণ নিষিদ্ধ পলিথিন জব্দ এবং সাতজন ব্যবসায়ীকে বিভিন্ন মেয়াদে জেল ও জরিমানা করা হয়েছে। ১৯৯৫ সালের পরিবেশ সংরক্ষণ আইনের (সংশোধিত ২০১০) বিভিন্ন ধারায় তাদেরকে এই সাজা দেওয়া হয়। ৯ অক্টোবর জেলা প্রশাসনের ছয়জন নির্বাহী হাকিম পৃথক এ ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন।

ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্রে জানা গেছে, ৯ অক্টোবর বিকেলে জামালপুর জেলা প্রশাসনের নির্বাহী হাকিম মো. আবু আব্দুল্লাহ খান জামালপুর শহরের স্টেশনপাড়া এলাকায় মাহবুবুল আলম হীরার গুদামে অভিযান চালান। এ সময় সেখান থেকে প্রায় ৩৪১ কেজি নিষিদ্ধ পলিথিন ব্যাগ জব্দ করা হয়। পরে পরিবেশ সংরক্ষণ আইন অমান্য করার দায়ে ব্যবসায়ী মাহবুবুল আলম হীরাকে ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড দেন ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক।

একই দিন শহরের মেডিক্যাল রোডে দয়াময়ী এলাকায় হাজি আব্দুস সাত্তারের মসলাঘরে অভিযান চালিয়ে ৩২ কেজি নিষিদ্ধ পলিথিন ব্যাগ জব্দ করেন নির্বাহী হাকিম মো. জাহিদুল ইসলাম। তাৎক্ষণিক ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে পরিবেশ সংরক্ষণ আইনে দোকানের ব্যবস্থাপক মো. রুমান আলীকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। শহরের তমালতলা এলাকায় অভিযান চালিয়ে নিষিদ্ধ পলিথিন সংরক্ষণ ও বিক্রির দায়ে ব্যবসায়ী মো. আফজাল হোসেনকে দুই মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড দেন ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক নির্বাহী হাকিম মো. নজরুল ইসলাম।

জামালপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফরিদা ইয়াসমিন ও সদর উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) এস এম মাজহারুল ইসলাম সদরের শরিফপুর বাজারের দুটি দোকানে অভিযান চালিয়ে দুই কেজি নিষিদ্ধ পলিথিন জব্দ করেন। এ সময় ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে বাজারের ব্যবসায়ী শ্যামল মল্লিক ও মো. সামছুদ্দিনকে এক হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়।

অপরদিকে একই দিন দুপুরে জেলার বকশীগঞ্জ উপজেলার নঈম মিয়ার বাজারে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন বকশীগঞ্জের ইউএনও আ স ম জামশেদ খোন্দকার। তিনি দোকান দুটিতে নিষিদ্ধ পলিথিন ব্যাগ বিক্রি ও ব্যবহার করার দায়ে হোটেল মালিক সোহেল মিয়া (৪০) ও মনিহারী দোকান মালিক শাহজাহান মিয়াকে (৪২) সাতদিন করে বিনাশ্রম কারাদন্ড প্রদান করেন।

জামালপুরের এনডিসি ও নির্বাহী হাকিম মো. আবু আব্দুল্লাহ খান ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান ও জেল-জরিমানা করার বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, পরিবেশ রক্ষায় গত ১ সেপ্টেম্বর থেকে ময়মনসিংহ বিভাগকে পলিথিন মুক্ত করার ঘোষণার অংশ হিসেবে ভ্রাম্যমাণ আদালতের এসব অভিযান চালানো হয়েছে। কারাদন্ডপ্রাপ্ত ব্যবসায়ীদের জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে। পলিথিন মুক্ত করার লক্ষ্যে এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।