জনগণের অধিকার সুরক্ষায় আইপিইউ’কে আরও সোচ্চার হতে হবে: স্পিকার শিরিন শারমিন চৌধুরি

প্রকাশিত: ৯:৪২ পূর্বাহ্ণ, অক্টোবর ১৬, ২০১৯

অনলাইন ডেস্ক : বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী এমপি বলেছেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে স্বাধীন হওয়ার পর ১৯৭২সালে বাংলাদেশ আইপিইউ’র সদস্য পদ লাভ করে। সূচনালগ্ন থেকে আইপিইউ’র কার্যকর সদস্য হিসেবে বাংলাদেশ কাজ করে যাচ্ছে। সে ধারাবাহিকতায় বেলগ্রেডে অনুষ্ঠানরত আইপিইউ’র ১৩০বর্ষ পূর্তি উদযাপন অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ অংশ নিচ্ছে।

তিনি সার্বিয়ার বেলগ্রেডে ১৪১তম আইপিইউ সম্মেলনে ইন্টার পার্লামেন্টারী ইউনিয়ন (আইপিইউ) প্রতিষ্ঠার ১৩০বর্ষ পূর্তি উদযাপন অনুষ্ঠানে বক্তৃতাকালে এসব কথা বলেন।স্পিকার বলেন, বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ ১৩৬তম আইপিইউ সম্মেলনের সফল আয়োজন করেছিল। সাবের হোসেন চৌধুরী এমপি ২০১৪-১৭ মেয়াদে আইপিইউ’র প্রেসিডেন্ট হওয়ার গৌরব অর্জন করেছিলেন বলে তিনি উল্লেখ করেন।

ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, আইপিইউ’র ১৩০বর্ষ পূর্তি উদযাপনকে সামনে রেখে বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ ফটো প্রদর্শনীর আয়োজন করে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রদর্শনীটি উদ্বোধন করেন যেখানে আইপিইউতে বাংলাদেশের ভূমিকা  তুলে ধরা হয়।

স্পিকার আইপিইউ’র ১৩০বর্ষ পূর্তিতে সদস্যভুক্ত সকল অংশগ্রহণকারীকে অভিনন্দন জানান। এ সময় তিনি জনগণের অধিকার সুরক্ষায় এবং গণতন্ত্রের উত্তরণে আইপিইউ’কে আরও সোচ্চার হতে আহ্বান জানান। তিনি আইপিইউ’র সার্বিক সফলতা কামনা করেন।

অনুষ্ঠানে আইপিইউ প্রেসিডেন্ট গ্যাব্রিয়েলা চুয়েভাস ব্যারন, সেক্রেটারি মার্টিন চুংগং এবং সার্বিয়া পার্লামেন্টের স্পিকার ও ১৪১তম আইপিইউ সম্মেলনের প্রেসিডেন্ট মিজ মাজা গজকোভিচ বক্তব্য রাখেন।

অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ সংসদীয় প্রতিনিধিদলের অন্যান্য সদস্য ডেপুটি স্পিকার মোঃ ফজলে রাব্বী মিয়া এমপি, চীফ হুইপ নূর -ই-আলম চৌধুরী এমপি, হুইপ আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন এমপি, বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি তোফায়েল আহমেদ এমপি, শিল্প মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি আমির হোসেন আমু এমপি, মোঃ হাবিবে মিল্লাত এমপি, ফাহমী গোলন্দাজ বাবেল এমপি, আবদুস সালাম মূর্শেদী এমপি, পীর ফজলুর রহমান এমপি, সুবর্ণা মুস্তাফা এমপি, শবনম জাহান এমপি সংসদ সচিবালয়ের সিনিয়র সচিব ড. জাফর আহমেদ খান এবং ইতালিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত আবদুস সোবহান সিকদার অংশগ্রহণ করেন।

সম্মেলনে ১৪০টি দেশের  ৮০ জন স্পিকার, ৬০ জন ডেপুটি স্পিকারসহ ১৫০০ এর অধিক প্রতিনিধি সংসদীয় গণতন্ত্রের অন্যতম বৃহত্তম এ এসেম্বলিতে অংশ নিচ্ছেন।