নালিতাবাড়ীতে তৃতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী ধর্ষণের অভিযোগে প্রধান আসামীসহ গ্রেপ্তার- ৫

প্রকাশিত: ৮:৩৯ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ২৬, ২০১৯

নালিতাবাড়ী (শেরপুর) প্রতিনিধি ॥ শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলায় গতকাল শুক্রবার (২৫ অক্টোবর) সন্ধ্যায় তৃতীয় শ্রেণি পড়ুয়া এক শিক্ষার্থী (৮) ধর্ষণের শিকার হয়েছে। এ বিষয়ে গতকাল শুক্রবার রাতে পাঁচ জনের বিরুদ্ধে শিশুর বাবা মাসুদ মিয়া বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করার পর প্রধান আসামী আজিজুলসহ পাঁচ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। অন্যান্য গ্রেপ্তারকৃতরা হলো- আজিজুলের বাবা আলম মিয়া (৪০), মা আছমা বেগম (৩০), মামা দুলাল মিয়া (৪০), চাচা নুরুল হক (৪০)।
শিশুটিকে শেরপুর জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। শনিবার (২৬ অক্টোবর) পুলিশ অভিযান পরিচালনা করে এজাহারভুক্ত পাঁচ জনকে গ্রেপ্তার করেছেন।
পুলিশ ও শিশুর পরিবার সুত্রে জানা গেছে, নালিতাবাড়ী উপজেলার সীমান্তবর্তী পোড়াগাঁও ইউনিয়নের একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী পাশের গ্রামের মামার আন্ধারুপাড়া গ্রামের বাড়িতে বৃহস্পতিবার বেড়াতে যায়। গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় মেয়েটি একা নিজের বাড়িতে আসছিল। এসময় ওই গ্রামের বাসিন্দা মো. আলমের ছেলে আজিজুল হক (১৯) শিশুটির পথরোধ করে। পরে মেয়েটিকে জোড়পূর্বক ধর্ষণ করে। ধর্ষণের পর শিশুটি কাঁদতে কাঁদতে বাড়ি যায়। এসময় আজিজুল মেয়েটিকে বাড়িতে কাউকে ধর্ষণের ব্যাপারে জানাতে নিষেধ করে। শিশুটি বাড়ি গিয়ে তার মাকে ধর্ষণের বিষয়টি জানায়। এসময় মেয়েটি প্রচুর রক্তপাত হচ্ছিল। দ্রুত মেয়ের পরিবার রাতেই চিকিৎসার জন্য শেরপুর সদর হাসপাতালে গিয়ে মেয়েকে ভর্তি করান।
এদিকে, শুক্রবার রাত ১২টার দিকে নালিতাবাড়ী থানায় ধর্ষণের অভিযোগে আজিজুলহকসহ পাঁচ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন শিশুর বাবা। ধর্ষণের পর থেকে আজিজুল বাড়ি থেকে অন্যত্র পালিয়ে গেলেও শনিবার সন্ধ্যায় পুলিশ গাজীপুরের টঙ্গী এলাকায় অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত আজিজুলকে গ্রেপ্তার করেছেন।
এ ব্যাপরে নালিতাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বছির আহমেদ বাদল বলেন, মামলার এজাহারভুক্ত চার জন আসামী থানা হাজতে আছে। প্রধান আসামী আজিজুলকে শনিবার সন্ধ্যায় গাজীপুরের টঙ্গী এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে নালিতাবাড়ী থানায় আনা হচ্ছে। ধর্ষিত শিশুকে শনিবার মেডিকেল পরীক্ষা করানো হয়েছে। এ ঘটনা নিয়ে শিশুর বাবা মাসুদ মিয়া বাদী হয়ে পাঁচ জনের নাম উল্লেখ করে থানায় মামলা দায়ের করেছেন।