ইলিশ আহরণে বাংলাদেশ বিশ্বে প্রথম

প্রকাশিত: ১০:৫৪ পূর্বাহ্ণ, অক্টোবর ৩১, ২০১৯

অনলাইন ডেস্ক : দেশের মৎস্য ও মৎস্যজাত পণ্য উৎপাদন ও রপ্তানি বাড়াতে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের সাংগঠনিক কাঠামো পুনর্গঠন করে রাজস্ব খাতে প্রয়োজনীয় জনবল সৃজনের সুপারিশ করেছে সংসদীয় কমিটি। এসময় মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়, জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার সর্বশেষ প্রতিবেদন অনুযায়ী অভ্যন্তরীণ জলাশয়ে মৎস্য আহরণে বাংলাদেশের অবস্থান সারা বিশ্বে তৃতীয় এবং চাষকৃত মাছ উৎপাদনে পঞ্চম, ইলিশ আহরণে বাংলাদেশ বিশ্বে প্রথম। গত অর্থবছরে (২০১৮-১৯) ৭৩ হাজার ১৭১ মেট্রিক টন মৎস্য ও মৎস্যজাত পণ্য রপ্তানি করে বাংলাদেশ ৪ হাজার ২৫০ কোটি টাকার বৈদেশিক মুদ্রা আয় করেছে। একই বছর জাতীয় অর্থনীতিতে মৎস্য খাতের অবদান দেশের জিডিপির ৩ দশমিক ৫০ শতাংশ এবং কৃষিজ জিডিপির ২৫ দশমিক ৭১ শতাংশ।

সংসদ ভবনে আজ অনুষ্ঠিত মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির অষ্টম বৈঠকে এসব তথ্য উপস্থাপনের প্রেক্ষিতে জনবল বৃদ্ধির সুপারিশ করে কমিটি। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন কমিটির সভাপতি ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভু। কমিটি সদস্য বি এম কবিরুল হক, মো. শহিদুল ইসলাম (বকুল), ছোট মনির, নাজমা আকতার, মোছা. শামীমা আক্তার খানম এবং কানিজ ফাতেমা আহমেদ বৈঠকে অংশগ্রহণ করেন। 

সংসদের গণসংযোগ বিভাগ জানায়, বৈঠকে বাংলাদেশ পশুসম্পদ ক্যাডার বহির্ভূত কর্মকর্তা-কর্মচারী কল্যাণ সমিতি কর্তৃক উত্থাপিত প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের জন্য সাংগঠনিক কাঠামো পুনর্গঠনের লক্ষ্যে রাজস্ব খাতে পদ সৃজনের সুপারিশ বাস্তবায়ন প্রসঙ্গে এবং অধিদপ্তর কর্তৃক কাজের সফলতা ও অগ্রগতি বিষয়ে বৈঠকে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়। 

এসময় বৈঠকে জানানো হয়, বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির আওতায় মৎস্য অধিদপ্তর কর্তৃক ২০১৮-১৯ অর্থবছরে ১৪টি উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়িত হয়েছে। বাস্তবায়ন অগ্রগতি ৯৮.৮৩%। ২০১৯-২০ অর্থবছরে নয়টি উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়িত হচ্ছে। বৈঠকে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব, বিভিন্ন দপ্তরের প্রধানসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।