নালিতাবাড়ীতে সপ্তম শ্রেণির মাদরাসা ছাত্রীকে অস্ত্রের মুখে ধর্ষণ

প্রকাশিত: ৯:৪১ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ৪, ২০১৯

নালিতাবাড়ী প্রতিনিধি : শেরপুরের নালিতাবাড়ীতে সপ্তম শ্রেণির এক মাদরাসা ছাত্রীকে অস্ত্রের মুখে হত্যার ভয় দেখিয়ে জোরপূর্বক নির্জন ধান ক্ষেতের পাশে ফেলে ধর্ষণ করেছে সাইম (২৫) নামে এক সন্তানের জনক।
১ নভেম্বর শুক্রবার সন্ধ্যা রাত সাড়ে সাতটার দিকে শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার পশ্চিম রাজনগর গ্রামে প্রেমিকের পরিচয় দিয়ে মোবাইল ফোনে ঘর থেকে ডেকে নিয়ে এ ঘটনা ঘটায়।
ধর্ষিতা ও তার পরিবার জানায়, রাজনগর রহমানিয়া ফাজিল মাদরাসার সপ্তম শ্রেণির এক ছাত্রীর (১২) সাথে একই মাদরাসায় পড়–য়া ফাজিল ২য় বর্ষের শিক্ষার্থী (বর্তমানে ঢাকায় বেসরকারী চাকুরীরত) মাজেদুলের (২০) গত প্রায় তিন মাস আগে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। ঘটনার রাতে শুক্রবার সাড়ে সাতটার দিকে প্রেমিক মাজেদুলের পরিচয় দিয়ে একটি অপরিচিত নাম্বার থেকে ওই ছাত্রীকে ফোন করে দেখা করতে বলা হয়। এসময় ওই ছাত্রী কথামতো দেখা করতে বাড়ির পেছনের একটি ধানক্ষেতে যায়। সেখানে যাওয়ার পর প্রেমিক মাজেদুলের পরিবর্তে একই এলাকার মজিবরের পুত্র সাইমকে দেখতে পায় কিশোরী। এসময় সাইম কিশোরীর মুখ চেপে ধরে ছুড়ি বের করে হত্যার হুমকী দেয় ও ধান ক্ষেতের পাশে ফেলে ধর্ষণ করে।
ধর্ষণের পর কিশোরী ভয়ে কাঁপতে কাঁপতে বাড়ি এসে মাকে জড়িয়ে ধরে কান্নাকাটি শুরু করে এবং ঘটনা খোলে বলে। ঘটনা প্রকাশের সাথে সাথে রাতেই স্থানীয় ইউপি সদস্য ও ছেলের অভিভাবকসহ স্থানীয় গণ্যমান্যরা ধামাচাপা দিতে গ্রাম্য শালিসে বসে। শালিসে ধর্ষণে অভিযুক্ত সাইমকে এক লাখ টাকা জরিমানা করে আপোষের চেষ্টা চালায়। কিন্তু কিশোরী ও তার পরিবার এ শালিস না মেনে বিচারের আশায় রবিবার স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ফারুক আহমেদ বকুলের শরণাপন্ন হন। পরে চেয়ারম্যান বিষয়টি থানা পুলিশকে অবহিত করেন। খবর পেয়ে সোমবার পুলিশ আসামীকে ধরতে অভিযান চালালেও ততক্ষণে আসামীরা পালিয়ে যায়।
বিষয়টি নিশ্চিত করে নালিতাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বছির আহমেদ বাদল জানান, এ ব্যাপারে মামলার প্রস্তুতি চলছে। আসামী গ্রেফতারে পুলিশি তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে।