‘শেরপুর ইউনাইটেড হসপিটালে ভুল চিকিৎসায় গর্ভের সন্তান হত্যার অভিযোগ : চিকিৎসক ও নার্স পলাতক

প্রকাশিত: ৬:৪০ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ৫, ২০১৯

স্টাফ রিপোর্টার : শেরপুর জেলা সদরের একটি বেসরকারি হাসপাতালের ভুল চিকিৎসায় গর্ভের সন্তান মেরে ফেলার অভিযোগ উঠেছে।  সোমবার রাত সাড়ে দশটার দিকে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার পরে অস্ত্রপচারকৃত প্রসূতির চিকিৎসা না দিয়ে ওই হাসপাতালে কর্মরত চিকিৎসক ও নার্স কৌশলে পালিয়ে যায়। প্রসূতির স্বজনরা জানান, শেরপুর জেলা শহরের খোয়ার পাড় মহল্লার শাহিনুর রহমান পনিরের স্ত্রী তানিয়া (২২) সন্তানসম্ভবা হওয়ার পর থেকেই শহরের গোপালবাড়ির ইউনাইটেড হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. হাসিনাতুল ফেরদৌস লোপা’র তত্ত্বাবধানে ছিলেন। সোমবার সকালে পনিরের স্ত্রী তানিয়া ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হলে তাকে শেরপুর জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ সময় প্রসূতির ব্যক্তিগত চিকিৎসক ডা. হাসিনাতুল ফেরদৌস লোপা’র কাছে পরামর্শ চাইলে চিকিৎসকের স্বামী মিলন ফোন ধরে বিভিন্ন ওষুধ খাওয়ার পরামর্শ দেন। পরে আজ মঙ্গলবার বিকালে ওই চিকিৎসকের স্বামী রোগীর স্বামীকে ফোন করে গর্ভের সন্তানের নানা রকম ক্ষতির ভয়ভীতি দেখিয়ে তার  মালিকানাধীন ইউনাইটেড হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার জন্য চাপ দেয়। রোগীকে রাত সাড়ে আটটার দিকে সেখানে ভর্তি করলে হাসপাতালের মালিক গর্ভের সন্তান ক্ষতির শঙ্কা দেখিয়ে রাত সাড়ে দশটার দিকে মিলনের ছোট ভাইয়ের স্ত্রী ডা. মুসলিমা আক্তার মৌসুমী তানিয়াকে দিয়ে অস্ত্রপচার করলে প্রসূতির গর্ভের সন্তান মারা যায়। জানা গেছে মারা যাওয়া ওই শিশুর শরীরের নানা স্থানে কাটা ছেড়ার দাগ আছে।

এদিকে বাচ্চা মারা যাওয়ার পর প্রসূতির স্বজনরা চিৎকার শুরু করলে প্রথমে রোগীর লোকজনতে মারধর করে হাসপাতাল থেকে বের করে দেওয়ার চেষ্টা করা হয়। বিষয়টি বেশী জানাজানি হলে এক পর্যায়ে হাসপাতালের সকল নার্স ও চিকিৎসক কৌশলে পালিয় যায়।  

এ ব্যাপরে শেরপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল মামুন শ্যামলী নিউজ টোয়েন্টিফোরকে জানান, মৌখিক অভিযোগের ভিত্তিতে রাতেই ওই মৃত শিশু ও তার মাকে হাসাপতালে নেওয়া হয়েছে। সকালে মামলা করবে বলে প্রসূতির স্বজনরা জানিয়েছে।