‘সরকারের ধারাবাহিকতায় মানুষ উন্নয়নের সুফল পাচ্ছে’

প্রকাশিত: ৩:৪৫ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ৯, ২০১৯

অনলাইন ডেস্ক : আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সরকারের ধারাবাহিকতার কারণেই মানুষ উন্নয়নের সুফল ভোগ করছে।

তিনি বলেন, শিল্পায়নের অগ্রগতির ফলে হাজারও শ্রমিকের কর্মসংস্থান হচ্ছে। শ্রমিকরাও সুফল পাচ্ছেন।

শনিবার (৯ নভেম্বর) দুপুরে রাজধানীর ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জাতীয় শ্রমিক লীগের সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, কৃষি জমি নষ্ট করে কোনো শিল্পায়ন হবে না। যারা শিল্পায়ন করবেন তাদের জন্য অর্থনৈতিক অঞ্চল আছে। আমরা ১০০ অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তুলেছি। যারা শিল্প কলকারখানা স্থাপন করতে চান তাদের অর্থনৈতিক অঞ্চলে জমি বরাদ্দ দেযা হচ্ছে।

শেখ হাসিনা বলেন, স্বাধীনতার পর ২৯ বছর যারা দেশ শাসন করেছে তারা কখনই শ্রমিকের কল্যাণের চিন্তা করেনি। আওয়ামী লীগ যখনই ক্ষমতায় গেছে তখনই শ্রমিকের উন্নয়নে কাজ করেছে।

শ্রমিকের ছেলে-মেয়েরা প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়, মেডিকেল কলেজ এবং উচ্চশিক্ষা লাভ করতে পারে সে জন্য তাদের বৃত্তির ব্যবস্থা করা হয়েছে।

তিনি বলেন, শিল্প, উৎপাদন এবং উন্নয়ন একে অপরের সঙ্গে জড়িত। দেশের উন্নয়নে শ্রমিক-মালিক এক হয়ে কাজ করতে হবে। গত ১০ বছরে সরকারি-বেসরকারি শ্রমিকদের বেতন-ভাতা বাড়ানো হয়েছে। প্রতি বছর ৫ শতাংশ হরে যাতে শ্রমিকদের বেতন বাড়ে সে ব্যবস্থা করা হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, চা শ্রমিকদের নাগরিকত্ব ছিল না। তারা চরম অবহেলিত ছিল। বঙ্গবন্ধু তাদের নাগরিকত্ব দিয়ে গেছেন। আমরা প্রতি বাজেটে চা শ্রমিকদের জন্য একটা বরাদ্দ রাখছি। চা শ্রমিকদের সন্তানরা যাতে লেখাপড়া করতে পারে সে জন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থা করেছি। তাদের ঘরবাড়িও করে দিচ্ছি।

তিনি বলেন, যারা বিদেশে যাবেন তারা অনেক সময় ভিটে-মাটি বিক্রি করে যেত। কিন্তু এখন আর সে অবস্থা নেই। তারা ব্যাংক থেকে লোন নিয়ে বিদেশ যেতে পারছেন। এ ছাড়া তাদের ট্রেনিংও দেয়া হচ্ছে। ফলে দক্ষ হয়ে বিদেশ যাওয়ায় তারা বেতনও ভালো পান।

জাতীয় শ্রমিক লীগের সভাপতি শুক্কুর মাহমুদের সভাপতিত্বে সম্মেলনে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমস্ত্রী ওবায়দুল কাদের, আওয়ামী লীগের শ্রমবিষয়ক সম্পাদক হাবিবুর রহমান সিরাজ, শ্রম প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ান, শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম খান ছাড়াও বিদেশি অতিথিরা বক্তব্য রাখেন। অনুষ্ঠানে শোক প্রস্তাব পাঠ করেন ফজলুল হক মন্টু। অনুষ্ঠানে মুক্তিযোদ্ধাসহ শহীদের স্মরণ করে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।