শর্তজুড়ে দিয়ে ধর্মঘট প্রত্যাহার

প্রকাশিত: ৪:১৭ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ২১, ২০১৯

শ্যামলী নিউজ ডেস্ক : নতুন সড়ক পরিবহন আইন স্থগিতের দাবিতে সারাদেশ  চলমান ধর্মঘট প্রত্যাহার করেছে বাংলাদেশ ট্রাক-কাভার্ড ভ্যান মালিক-শ্রমিক ঐক্য প‌রিষদের নেতারা।  বুধবার (২০ নভেম্বর) দিবাগত রাত পৌনে ১টার দিকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের সঙ্গে বাংলাদেশ ট্রাক-কাভার্ড ভ্যান মালিক-শ্রমিক ঐক্য প‌রিষদের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক শেষে এ সিধান্ত হয় বলে সাংবাদিকদের জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, তারা ধর্মঘট প্রত্যাহারের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। আমরা তাদের ৯ দফা দাবি নিয়ে আলোচনা করেছি। লাইসেন্স, ফিটনেস সনদ আপডেটের জন্য তাদের ২০২০ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত সময় বেঁধে দেয়া হয়েছে। তারা আইন সংশোধনের যে দাবি জানিয়েছেন সেটা বিবেচনার জন্য সুপারিশ আকারে আমরা যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ে পাঠাব। তারা এগুলো বিবেচনা করে আইন মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে কাজ করবে।
এর আগে  বুধবার (২০ নভেম্বর) রাত ৯টা ২০ মিনিটের দিকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর ধানমন্ডির বাসভবনে এই বৈঠকে শুরু হয়।

বৈঠকে বাস-ট্রাক কাভার্ডভ্যানসহ সড়ক ও জনপথ বিভাগের কর্মকর্তা, বিআরটিএর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত রয়েছেন।

পূর্বনির্ধারিত এই বৈঠকে যোগ দিতে রাত সাড়ে ৮টার পর থেকেই বিভিন্ন পরিবহন শ্রমিক নেতারা মন্ত্রীর বাসভবনে আসতে শুরু করেন।

নতুন সড়ক পরিবহন আইনের কয়েকটি ধারা নিয়ে আপত্তি জানিয়ে মঙ্গলবার থেকে ধর্মঘটের ডাক দেয় ট্রাক ও পণ্য পরিবহন শ্রমিকরা। পণ্য পরিবহনে এই ধর্মঘটের প্রভাব পড়ছে।

আনুষ্ঠানিক ঘোষণা না দিলেও দুদিন ধরে বিভিন্ন রুটে বাস চলাচল বন্ধ রেখেছে চালকরা, যাতে রাজধানীর সঙ্গে সারা দেশের সড়ক যোগাযোগ কার্যত বন্ধ হয়ে গেছে। বুধবার ঢাকায়ও ছিল বাস সঙ্কট।

মালিক-শ্রমিকদের ‘স্বেচ্ছা কর্মবিরতির’ কারণে সৃষ্ট দুর্ভোগের দায় নিতে চান না পরিবহন মালিক ও শ্রমিক নেতারা। বাস মালিকরা বলছেন, আইন নিয়ে ভীতি এবং আন্দোলনরত শ্রমিকরা বিভিন্ন জায়গায় বাধা দেওয়ায় বাস চলাচল ব্যাহত হচ্ছে।

এছাড়াও কয়েকটি সড়কে বাস থামিয়ে চালকদের কাছ থেকে চাবি ছিনিয়ে নেয়ার ঘটনা ঘটিয়েছেন ট্রাকচালকরা।