অর্থনৈতিক-সামাজিকভাবে পাকিস্তান থেকে এগিয়ে আমরা অনলাইন ডেস্ক অনলাইন ডেস্ক প্রকাশিত: ৭:০৬ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ১৭, ২০১৯ অনলাইন ডেস্ক : দলের নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, এ দেশকে ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণতের জন্য পাকিপ্রেমিরা এখনও ষড়যন্ত্র করছে। পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীরাও তাই করেছিল। যেভাবেই হোক অর্থনৈতিক ও সামাজিকভাবে আমরা পাকিস্তানের ওপর থাকব।মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন। আলোচনা সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।শেখ হাসিনা বলেন, পাকিস্তান ছাড়াও আমরা অনেক দেশকে পিছনে ফেলে এগিয়ে যাচ্ছি। আমাদের এই এগিয়ে যাওয়ার ধারা অব্যাহত রাখতে হবে। আমরা অর্থনৈতিক এবং সামাজিকভাবে পাকিস্তান থেকে অনেক এগিয়ে আছি। দারিদ্র্যের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, যারা একসময় বলেছিল বাংলাদেশ তলাবিহীন ঝুড়ি। এই দেশ কিছু করতে পারবে না। এ দেশের উন্নয়ন সম্ভব নয়। তাদের আমরা দেখিয়ে দিতে চাই বাংলাদেশ পারে কি না। ইতোমধ্যে বাংলাদেশ অনেক দূর এগিয়েছে। যারা বাংলাদেশকে তলাবিহীন ঝুড়ি বলেছে তাদের দেশে দারিদ্র্যের হার ১৮ ভাগ। এক ভাগ হলেও তাদের চেয়ে দারিদ্র্যের হার আমরা কমাবো। দারিদ্র্যের হার আজই ২১ থেকে ২০ ভাগে নেমে এসেছে বলে উল্লেখ করেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুর বলিষ্ঠ নেতৃত্বে বাঙালি জাতি বায়ান্ন’র ভাষা আন্দোলন, বাষট্টি’র শিক্ষা আন্দোলন, ছেষট্টি’র ৬-দফা, ঊনসত্তরের-১১ দফা ও গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে স্বাধীনতার জন্য প্রস্তুত হয়ে ওঠে। ১৯৭০ সালের সাধারণ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করে। কিন্তু পাকিস্তানিরা বাঙালি জাতিকে ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হতে দেয়নি। এ কথা বঙ্গবন্ধু অনেক আগেই বলেছেন। লন্ডনে বঙ্গবন্ধু আওয়ামী লীগের সভায় বলেছেন, নির্বাচনে আমরা জয় লাভ করব। কিন্তু তারা আমাদের হাতে ক্ষমতা দেবে না। যুদ্ধ করে আমাদের দেশ স্বাধীন করতে হবে। ঠিকই এক সময় তার কথা সত্য হলো। শেখ হাসিনা বলেন, জাতির পিতা অনুধাবন করেন, স্বাধীনতা অর্জন ছাড়া বাঙালি জাতির ওপর অত্যাচার, নির্যাতন ও বঞ্চনার অবসান হবে না। তাই তিনি ১৯৭১ সালের ৭ মার্চ ঐতিহাসিক রেসকোর্স ময়দানের জনসমুদ্রে দাঁড়িয়ে ঘোষণা দেন, ‘এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম’। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের ডাকে শুরু হয় অসহযোগ আন্দোলন। চলতে থাকে সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের প্রস্তুতি। তিনি বলেন, এই ৭ মার্চের ভাষণ আজ সারাবিশ্বে সেরা ভাষণগুলোর একটি হিসেবে স্থান করে নিয়েছে। অথচ এই ভাষণ বাজানোর জন্য কত মানুষকে জীবন দিতে হয়েছে। কত মানুষ নির্যাতনের শিকার হয়ে পঙ্গুত্ববরণ করেছে। তিনি প্রশ্ন করে বলেন, যারা ভাষণের জন্য অত্যাচার নির্যাতন করেছে, তারা এখন লজ্জা পায় না? অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আমির হোসেন আমু, তোফায়েল আহমেদ, প্রেসিডিয়াম সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরী, সাবেক ত্রাণমন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, ঢাকা মহানগর উত্তরের সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সাধারণ সম্পাদক এস এম মান্নান কচি। Related posts:বর্তমান সরকারের অধীনে কমিশন সুষ্ঠু নির্বাচন করতে পারবেবন্ধুদের নিয়ে নিজে মোটরসাইকেল চালিয়ে গায়ে হলুদে কনেসন্ধ্যায় জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেবেন প্রধান উপদেষ্টা Post Views: ২২৫ SHARES জাতীয় বিষয়: