আদালত ও আইনের প্রতি সংশ্লিষ্ট সকলকে সম্মান-দায়িত্ববোধ বাড়াতে হবে ॥ পুলিশ সুপার আজীম

প্রকাশিত: ১১:২৩ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ৩, ২০১৯

স্টাফ রিপোর্টার ॥ শেরপুরের পুলিশ সুপার কাজী আশরাফুল আজীম পিপিএম আদালত ও আইনের প্রতি নাগরিক সম্মান ও দায়িত্ববোধ বাড়ানোর উপর গুরুত্বারোপ করে বলেছেন, বিভিন্ন আদালত থেকে অনুপস্থিত-পলাতক আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানার আদেশ হয়। সেই আদেশ তামিলের দায়িত্ব বর্তায় পুলিশের উপর। গ্রেফতারি পরোয়ানা তামিলের সাথে শাস্তির একটি সম্পর্ক থাকে। কাজেই তা তামিল বা নিস্পত্তি হলে আদালতের আদেশ যেমন মানা হয়, তেমনি সমাজে শান্তি ও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠিত হয়। তিনি ৩ ডিসেম্বর মঙ্গলবার দুপুরে শহরের অষ্টমীতলাস্থ জেলা পুলিশ লাইন্স মাঠে আয়োজিত শান্তি সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে ওইসব কথা বলেন।

পুলিশ সুপার আজীম বলেন, গ্রেফতারি পরোয়ানা তামিল না হলে অর্থাৎ কোন মামলার পলাতক আসামি গ্রেফতার না হলে ‘মামলা হলো বিচার হলো না’ এ প্রশ্ন তুলেন অনেকেই। পলাতক আসামিদের অনেকেই হাজির হন না বা পরিবার ও সমাজের দায়িত্বশীলরা তাদেরকে হাজির করেন না বলেই সেই মামলা বছরের পর বছর ঝুলে থাকে। আর তার বিচার নিয়ে প্রশ্ন উঠে। তাই ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে আদালত ও আইনের প্রতি সংশ্লিষ্ট সকলকের সম্মান ও দায়িত্ববোধ বাড়াতে হবে। আদালতের প্রতি ও আইনের প্রতি সম্মান দেখিয়ে আমাদের সন্তান-ভাই, প্রতিবেশিদের মধ্যে যাদের নামে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি রয়েছে তাদেরকে পুলিশে সোপর্দ করতে হবে। এর মধ্য দিয়ে নাগরিক দায়িত্ববোধ ও বিবেককে জাগ্রত করে রাষ্ট্রকে সহযোগিতা করা যেতে পারে। ওইসময় সমাবেশে উপস্থিত ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যগণসহ সকলেই দু’হাত তুলে আদালত ও আইনের প্রতি সম্মান দেখাতে অঙ্গীকার প্রকাশ করেন।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) আমিনুল ইসলামের সঞ্চালনায় শান্তি সমাবেশে ইউপি চেয়ারম্যানদের মধ্যে আমির আলী সরকার, হাবিবুর রহমান হাবিব, আকবর আলী, আনোয়ার হোসেন সুরুজ, সেলিম মিয়া ও আওলাদ হোসেন, ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যদের মধ্যে প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। সমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে সহকারী পুলিশ সুপার (শিক্ষানবীশ) অবিরত রায়, থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল মামুন, পরিদর্শক (তদন্ত) মনিরুল আলম ভুইয়াসহ অন্যান্য পুলিশ কর্মকর্তা, জনপ্রতিনিধি, কমিউনিটি পুলিশের কর্মকর্তা ও ওয়ারেন্ট ভুক্তভোগী পরিবারের বিপুল সংখ্যক সদস্য উপস্থিত ছিলেন।