শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে গণতন্ত্রের চর্চা হচ্ছে : শিক্ষামন্ত্রী

প্রকাশিত: ১২:৩০ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ২৫, ২০২০

অনলাইন ডেস্ক : শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, শিক্ষার্থীদের মাঝে গণতান্ত্রিক চর্চা, নিজেদের অধিকার সম্পর্কে ধারণা, অন্যের মতামতের প্রতি সহিষ্ণুতা ও শ্রদ্ধা প্রদর্শন, শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মধ্যে আন্তরিকতা তৈরি, শিক্ষার্থী ঝরে পড়ার হার রোধসহ নিজেদের মূল্যবোধ ও দায়িত্ব সর্ম্পকে শিক্ষা প্রদানে স্কুল কেবিনেট নির্বাচন আয়োজন করা হচ্ছে।

শনিবার (২৫ জানুয়ারি) মতিঝিল সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে ক্ষুদে শিক্ষার্থীদের স্কুল কেবিনেট নির্বাচনের ভোটকেন্দ্র পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, আজকের শিক্ষার্থীরা নানা ধরনের উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণের সুযোগ পাচ্ছে। শিক্ষার্থীরা নিজেদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করে নেতা নির্বাচন করছে। সেই নেতার নির্দেশনা মেনে চলছে। পড়ালেখার পাশাপাশি বিদ্যালয়ের নানা ধরনের কর্মকাণ্ড যুক্ত হচ্ছে। এতে করে ওই ছাত্র-ছাত্রীর নিজের দায়িত্ব সর্ম্পকে সচেতন, নিজের মূল্যবোধ তৈরিসহ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেরও উন্নয়ন হচ্ছে।

তিনি বলেন, সকল স্থানে একজন দলনেতা মানতে হয়, শিক্ষার্থীরা বিদ্যালয়ে সেই জ্ঞানার্জন করতে পারছে। শিশুকাল থেকে গণতন্ত্রের চর্চা এবং গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হতে পারছে। অন্যের মতের প্রতি সহিষ্ণুতা ও শ্রদ্ধা প্রদর্শন, শিখন শেখানোর কার্যক্রমে শিক্ষকদের সহায়তা, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শতভাগ ভর্তি ও ঝরে পড়া রোধে সহায়তা, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পরিবেশ উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণ ও ক্রীড়া, সাংস্কৃতিকসহ সহশিক্ষা কার্যক্রমে শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে শিখছে।

দীপু মনি বলেন, এ নির্বাচনে যারা নির্বাচিত হবে তারা নিজেদের দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করবে, আর যারা নির্বাচিত হবে না তারা মন খারাপ না করে বিজয়ীদের সঙ্গে থেকে নিজেদের দায়িত্ব পালন করবে।

শিক্ষামন্ত্রী মতিঝিল সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় পরিদর্শন শেষে মতিঝিল সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয় এবং বেইলি রোডের সিদ্ধেশ্বরী স্কুল অ্যান্ড কলেজে স্কুল কেবিটেন নির্বাচন পরিদর্শন করেন।

এ বছর দেশের ৮টি বিভাগ ও ৮টি মহানগরের আওতধীন ৫৫৯টি উপজেলা/থানায় মোট ২২ হাজার ৯২৬টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। তার মধ্যে ১৬ হাজার ৩৮৪টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও ৬ হাজার ৫৪২টি দাখিল মাদরাসা রয়েছে।

শিক্ষার্থীদের এ নির্বাচনে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ১ লাখ ৩১ হাজার ৭২টি ও মাদরাসায় ৫২ হাজার ৩৩৬টি পদে প্রার্থীরা অংশগ্রহণ করছে। নির্বাচনে মোট ১ কোটি ১৫ লাখ ৫৩ হাজার ৯১৬ জন ভোটার রয়েছে। ভোটারদের মধ্যে ৬২ লাখ ৫১ হাজার ৬৮৩ জন ছাত্রী (৫৪ দশমিক ১০ শতাংশ)।