করোনায় বিপাকে দেশের ব্যবসায়ীরা, প্রতিদিন গড়ে ১১০০ কোটি টাকা লোকসান

প্রকাশিত: ৪:২৮ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ২৫, ২০২০

বিশেষ প্রতিনিধি : প্রাণঘাতী করোনার ছোবলে প্রতিদিনই লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে মৃত্যু ও আক্রান্তের সংখ্যা। বিশ্বজুড়ে এখন পর্যন্ত এক লাখ ৯৭ হাজারেরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে আর আক্রান্ত ছাড়িয়েছে ২৮ লাখ। এখন পর্যন্ত এই মহামারীর কোনও প্রতিষেধক আবিষ্কার হয়নি। দেশে দেশে চলছে লকডাউন। করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে বাংলাদেশে গত ২৫ মার্চ থেকে সরকারের ছুটির সঙ্গে সমন্বয় করে বন্ধ রয়েছে দেশের সুপার মার্কেট, মার্কেট ও দোকানসমূহ। আর এসব প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় সবচেয়ে বিপাকে পড়েছে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা।

জানা গেছে, দেশে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের প্রতিষ্ঠান রয়েছে প্রায় ৫৬ লাখ। এসব ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় প্রতিদিন গড়ে ১১০০ কোটি টাকা লোকসানের শিকার হচ্ছেন তারা। এ হিসাবে গত ৩০ দিনে (২৫ মার্চ থেকে) মোট ৩৩ হাজার কোটি টাকা লোকসান হয়েছে এসব ব্যবসায়ীদের। করোনার কারণে পহেলা বৈশাখের বাজার হাতছাড়া হয়েছে। শুধু পহেলা বৈশাখের অনুষ্ঠানে শতভাগ দেশের বাজারের জন্য পণ্য তৈরি করে এমন ব্যবসায়ীদের লোকসানের পরিমাণ আরও ৬ হাজার কোটি টাকার ওপরে। বৈশাখের বাজার ও প্রতিষ্ঠান বন্ধ সব মিলিয়ে প্রায় ৪০ হাজার কোটি টাকা লোকসান ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের। সংশ্লিষ্টতা সূত্রে এসব তথ্য উঠে এসেছে।

বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতি গণমাধ্যমকে বলছে, সারাদেশে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান রয়েছে ৫৬ লাখ। এসব ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় প্রতিদিন গড়ে ১১০০ কোটি টাকা লোকসান হচ্ছে, যা গত ৩০ দিনে (২৫ মার্চ থেকে) লোকসানের পরিমাণ ৩৩ হাজার কোটি টাকা। শুধু পহেলা বৈশাখের অনুষ্ঠানে মাটিরহাড়ি, মিষ্টি, পোশাকসহ শতভাগ দেশের বাজারের জন্য পণ্য তৈরি করে এমন ব্যবসায়ীদের ক্ষতির পরিমাণ আরও ৬ হাজার কোটি টাকা। সব মিলিয়ে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ৪০ হাজার কোটি টাকার কাছাকাছি।

বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির সভাপতি মো. হেলাল উদ্দিন গণমাধ্যমকে বলেন, সারাদেশে একজনের অধিক ও ১৫ জনের নিচে কর্মচারী রয়েছে এমন প্রতিষ্ঠান রয়েছে ৫৬ লাখ। এসব প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় প্রতিদিন গড়ে ১১০০ কোটি টাকা করে লোকসানে পড়ছেন। তারা দোকান ভাড়া, কর্মচারির বেতন দিতে হিমশিম খাচ্ছেন। এ বিপুল পরিমাণ ক্ষতি পুষিয়ে নিতে অবশ্যই সরকারের সহযোগিতার প্রয়োজন হবে। যেভাবেই হোক এটা নিয়ে ভাবতে হবে।

উল্লেখ্য, গেল ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। এরপর প্রাণঘাতী এ ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব বাড়তে থাকায় অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও সাধারণের চলাচলে বিধি-নিষেধ আরোপ করে সরকার। বন্ধ ঘোষণা করা হয় সরকারি-বেসরকারি সব অফিস। সেই ছুটি কয়েক দফায় বাড়িয়ে করা হয় ৫ মে পর্যন্ত। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে নতুন করে আরও ৩০৯ জনের শরীরে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। সব মিলিয়ে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪ হাজার ৯৯৮ জনে। এসময় মৃত্যু হয়েছে ৯ জনের। এ নিয়ে মোট মৃত্যু হয়েছে ১৪০ জনের।