নলকুড়া ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে ইউপি সদস্যদের অনাস্থা ॥ তদন্ত কমিটি গঠন

প্রকাশিত: ১২:৩১ অপরাহ্ণ, জুলাই ১২, ২০২০

নিজস্ব সংবাদদাতা ॥ শেরপুর জেলার ঝিনাইগাতী উপজেলার ৩নং নলকুড়া ইউপি চেয়ারম্যান আইয়ুব আলী ফর্সার, স্বেচ্ছাচারিতা, ঘুষ-দুর্নীতিসহ নানা অনিয়মের অভিযোগ এনে ওই ইউপির ১০জন ইউপি সদস্য ১১ জুলাই শনিবার লিখিত ভাবে অনাস্থা জামা দিয়েছেন ঝিনাইগাতী উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) রুবেল মাহমুদের হাতে। ইউএনও রুবেল মাহমুদ ওই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। অনাস্থা প্রস্তাবে ইউপি সদস্যরা উল্লেখ করেছেন, চেয়ারম্যান আইয়ুব আলী ফর্সা সরকারী বিধি না মেনে নানান কাজে অনিয়মের মাধ্যমে পরিষদ পরিচালনা করে আসছেন। যার ফলে ভিজিডিসহ নানান কাজে ঘুষ, দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়েন। এছাড়াও ২০১৯-২০ অর্থ বছরের নলকুড়া ইউনিয়নে বরাদ্দ প্রাপ্ত ৩৫৩টি দুঃস্থ নারীদের ভিজিডি’র কার্ড এর মধ্যে ৫৯টি কার্ড নামে-বেনামে কার্ডের অনুকূলে বরাদ্দকৃত চাল উত্তোলন করে আত্মসাৎ করেছেন বলে অভিযোগে উল্লেখ করেছেন। গত ১৮ মাসে ৫৯টি কার্ডের বিপরীতে আত্মসাৎকৃত ভিজিডি চালের সরকারী মূল্য প্রায়, ১১,৪৬,৯৬০/- (এগার লক্ষ ছয়চল্লিশ হাজার নয়শত ষাট) টাকা। এ বিষয়গুলো নিয়ে অনাস্থা প্রস্তাব করেছেন ইউপি সদস্যরা।
এ ব্যাপারে চেয়ারম্যান আইয়ুব অলী ফর্সা তার বিরুদ্ধে আনিত সকল অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, “আমি ইউপি চেয়ারম্যান পদে নির্বাচনে মনোনয়ন পাওয়ার পর থেকেই অদ্যবধি পর্যন্ত প্রতিপক্ষরা আমার বিরুদ্ধে গুজব রটাতে উঠেপড়ে লেগেছে। ওই মহলের প্ররোচনায় ইউপি সদস্যরা এমন মিথ্যা ও ভিত্তিহীন অভিযোগ করেছেন। আমার ইউনিয়নে কোনো অর্থই আত্মসাতের ঘটনা ঘটেনি। ভিজিডি কার্ডগুলো স্ব-স্ব ওয়ার্ডের ইউপি সদস্যদের মাধ্যমে বন্টন করে দেওয়া হয়েছে। ভিজিডি কার্ডের চাল নামে-বেনামে উত্তোলন করে আত্মসাৎ করেছে সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ড মেম্বাররা। তাই তারা নিজেরা বাঁচার জন্য আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অনাস্থা প্রস্তাব এনেছে।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রুবেল মাহমুদ শ্যামলী নিউজ ২৪ ডটকমকে বলেন, “ইউপি সদস্যদের অনাস্থা প্রস্তাবের লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। অনাস্থাপত্রটি সংশ্লিষ্ট দপ্তরে পাঠানো হবে। তিনি আরও বলেন, দুঃস্থ মহিলাদের ভিজিডি’র কার্ডের অনিয়ম বিষয়ে অভিযোগের তদন্তে সহকারী কমিশনার (ভূমি) কে প্রধান করে তিন সদস্যের কমিটি গঠন করে সাত কর্মদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।