সরিষাবাড়ীতে গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার

প্রকাশিত: ৮:১৪ অপরাহ্ণ, আগস্ট ১০, ২০২০

জামালপুর প্রতিনিধি ॥ জামালপুরের সরিষাবাড়ী উপজেলায় সনেকা বেগম (১৯) নামে ৭ মাসের অন্তঃসত্ত্বা এক গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ১০ আগস্ট সোমবার উপজেলার সাতপোয়া ইউনিয়নের চরআদ্রা গ্রামে ওই ঘটনা ঘটে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, দেড় বছর আগে উপজেলার সাতপোয়া ইউনিয়নের চরআদ্রা গ্রামের আফাজ উদ্দিন আদিরের ছেলে সোহেলের সঙ্গে চর সরিষাবাড়ী গ্রামের ইনতিয়াজের মেয়ে সনেকার বিয়ে হয়। বর্তমানে সাত মাসের অন্তঃসত্ত্বা সনেকা বেগম। বিয়ের পর থেকেই বিভিন্ন বিষয়ের জন্য শ্বশুর বাড়ির লোকজন সনেকাকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করতো বলে দাবি করেছে গৃহবধূর পরিবার।
শ্বশুর বাড়ির লোকজন জানান, রোববার রাতে স্বামী সোহেল রানা স্ত্রীকে বাড়িতে রেখে নদীতে মাছ ধরতে যায়। সোহেলের বাবা আদির মিয়া রাত ১২টার দিকে বাইরে বের হলে সনেকার ঘরের দরজা খোলা দেখতে পান। পরে ঘরে গিয়ে সনেকাকে আঁড়ার সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখেন। এসময় ছেলে সোহেলকে ফোন দিলে সে বাড়িতে এসে তার স্ত্রীর ঝুলন্ত মরদেহ দেখতে পায়। তখন সবাই মিলে তাকে মাটিতে নামায়। এ নিয়ে এলাকায় নানা গুঞ্জন চলছে।
নিহতের স্বামী সোহেল রানা বলেন, সে রাতে মাছ ধরতে বিলে যায়। পরে বাবার ফোন পেয়ে বাড়িতে এসে ঘরের আঁড়ার সঙ্গে স্ত্রী সনেকা ফাঁসিতে ঝুলছে। রাতেই সবাই মিলে তার মরদেহ নামিয়ে ফেলেছি।
নিহত সনেকার চাচি সুইটি বেগম বলেন, সোহেলের বাড়ি থেকে সকালে আমাদেরকে ফোন দিলে আমরা এসে সনেকার মৃতদেহ দেখতে পাই। তারা জানান সে ফাঁসিতে ঝুলে আত্মহত্যা করেছে। কিন্ত আমরা বা এলাকার কেউ ফাঁসিতে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখিনি।
সরিষাকাড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবু মো. ফজলুল করিম বলেন, আদ্রা এলাকায় একজন গৃহবধূ ফাঁসিতে ঝুলে আত্মহত্যা করেছে মর্মে সংবাদ পেয়ে দুপুরে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করেছে। বিকেলে ময়নাতদন্তের জন্য লাশ জেলা মর্গে পাঠানো হয়েছে। ওই ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করা হবে।