মেসির বার্সা ছাড়ার খবরে সমর্থকদের প্রতিবাদ

প্রকাশিত: ১:০২ অপরাহ্ণ, আগস্ট ২৬, ২০২০

অনলাইন ডেস্ক : লিওনেল মেসি বার্সেলোনা ছাড়ার খবরে ক্লাবটির হোম গ্রাউন্ড ন্যু ক্যাম্পের সামনে জড়ো হয়ে কয়েক হাজার কাতালান সমর্থক এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ করেছেন। ক্লাবটির বর্তমান সভাপতি জোসেপ বার্তামেওর পদত্যাগও দাবি করেছেন তারা।

বার্সা সমর্থকদের দাবি, বর্তমান ক্লাব সভাপতির কারণে বার্সেলোনা ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন লিওনেল মেসি। খবর গোল ডট কম ও ফুটবল ইস্পানার

মঙ্গলবার বার্সেলোনাকে ফ্যাক্সের মাধ্যমে একটি চিঠি পাঠিয়েছেন মেসি। সেখানে ক্লাবকে অনুরোধ করেছেন তাকে যেন বার্সা ছাড়ার ছাড়পত্র দেওয়া হয়।

স্পেনের প্রায় সব গণমাধ্যমে বুধবার এ বিষয়ে সংবাদও প্রকাশিত হয়েছে। সংবাদ সংস্থা এপি’কে বার্সেলোনার পক্ষ থেকেও নিশ্চিত করা হয়েছে, মেসি মেইলে ক্লাব ছাড়ার সিদ্ধান্ত জানিয়েছেন।

মেসির সঙ্গে বার্সেলোনার চুক্তি ২০২১ সাল পর্যন্ত। কিন্তু তার চুক্তিতে একটি শর্ত ছিল। ২০২০ মৌসুম শেষে যদি মেসি ক্লাব ছাড়তে চান, তবে বার্সেলোনা তাকে কোন শর্ত ছাড়াই ক্লাব ছাড়তে দেবে। কিন্তু করোনার কারণে সময় মতো লিগ শেষ হয়নি। মেসির ক্লাব ছাড়ার সেই শর্ত তাই জুনেই শেষ হয়ে গেছে। এখন মেসি ক্লাবকে অনুরোধ করেছেন। যেহেতু মৌসুম সময় মতো শেষ হয়নি। এখন তার ক্লাব ছাড়ার সেই শর্ত আবার ‍খুলে দেওয়া হোক।

কারণ সময় পার হয়ে যাওয়ায় মেসিকে চলতি মৌসুমে কিনতে হলে তার জন্য ৭০০ মিলিয়ন ইউরোর রিলিজ ক্লজ দিতে হবে। ইউরোপের শীর্ষ পর্যায়ের কোন ক্লাবের ওই অর্থ দিয়ে মেসিকে কেনা সম্ভব নয়। মেসি তাই ফ্রি এজেন্টে ক্লাব ছাড়তে চান। সেজন্য শর্ত খুলে দেওয়ার জন্য চিঠি দিয়েছে বলেই সংবাদ মাধ্যম জানিয়েছে।

চলতি মৌসুমে তিনবার মেসির ক্লাব ছাড়ার গুঞ্জন বেরিয়েছে। প্রথম গুঞ্জন বার্সা এরনেস্তো ভালভার্দেকে বিদায় করে চাপা দিয়েছে। লিগ শিরোপা হারানোর পর চ্যাম্পিয়নস লিগের আশায় দ্বিতীয় গুঞ্জনও থেমে গিয়েছিল। কিন্তু বায়ার্নের বিপক্ষে ৮-২ গোলে হারের পর মেসি ক্লাব ছাড়ার ব্যাপারে সংকল্পবদ্ধ। কোচ কিকে সেতিয়েন, বোর্ড পরিচালক এরিক আবিদালকে ছাঁটাই করেও কাজ হচ্ছে না।

মেসি ২০০৪ মৌসুমে বার্সেলোনায় হয়ে খেলা শুরু করেন। এই সময়ে তিনি ক্লাবের হয়ে দশটি লিগ শিরোপা ও চারটি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জিতেছেন। দুর্দান্ত পারফরম্যান্স দেখিয়ে জিতেছেন ছয়টি ব্যালন ডি’অর। এর মধ্যে ২০০৯-২০১২ পর্যন্ত টানা রেকর্ড চারটি ব্যালন ডি’অর নিজের করে নেন।