বকশীগঞ্জে মুজিববর্ষের র‌্যালিতে হামলা, ইট-পাটকেল নিক্ষেপ

প্রকাশিত: ৮:৪০ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ১৮, ২০২০

জামালপুর প্রতিনিধি ॥ জামালপুরের বকশীগঞ্জে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশত বার্ষিকী উপলক্ষে গণ র‌্যালিতে হামলা, ইট পাটকেল নিক্ষেপ করার ঘটনা ঘটেছে।
এ নিয়ে দুই গ্রুপের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। হামলা আহত হয়েছেন প্রায় ১০ জন নেতাকর্মী। ১৮ অক্টোবর রবিবার বেলা সাড়ে ১১ টায় বকশীগঞ্জ পৌর শহরে ওই হামলার ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, মুজিববর্ষ উদযাপন উপলক্ষে রোববার বেলা সাড়ে ১১ টায় বকশীগঞ্জ পৌর আওয়ামী লীগের ব্যানারে একটি গণর‌্যালি বের করা হয়। র‌্যালি থেকে তারা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নুর মোহাম্মদের পদত্যাগের দাবি ও তাকে অপসারণের দাবি করে শ্লোগান দেন।
অপরদিকে নারী ও শিশু ধর্ষণের শাস্তি মৃত্যুদন্ডের আইন করায় প্রধানমন্ত্রীকে অভিনন্দন জানিয়ে উপজেলা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরাও একটি মিছিল বের করেন।
পৌর আওয়ামী লীগের যুগ্ন আহবায়ক আগা সাইয়ুমের এর নেতৃত্বে প্রায় ৩ শতাধিক নেতা কর্মী বকশীগঞ্জ সরকারি ভোকেশনাল ইনস্টিটউট থেকে শুরু টিএন্ডটি রোডের ভেতর দিয়ে পাটহাটী মোড় পার হলে পেছন থেকে আসা উপজেলা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা মুজিব বর্ষের র‌্যালিতে উপর্যুপরি ইট পাটকেল নিক্ষেপ করতে থাকে এবং লাঠি সোঠা নিয়ে হামলা চালায় এক পর্যায়ে দুই পক্ষে মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া হয়।


ইটের আঘাত ও হামলায় বাট্টাজোড় ইউনিয়ন যুবলীগের আহবায়ক ফিরোজ মিয়া, স্বেচ্ছাবেক লীগ নেতা হাসান সরকার পলাশ, সাবেক ইউপি সদস্য ওবাইদুর রহমান , বিল্লু মিয়া, চান সরকার সহ ১০ যুবলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতা কর্মী আহত হয়।
এদিকে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া শেষে মুজিব বর্ষের র‌্যালিটি ফের বকশীগঞ্জ বাসস্ট্যান্ড হয়ে মালিবাগ মোড়ে পৌছলে ছাত্রলীগের নেতা কর্মীরা দ্বিতীয় দফায় হামলার চেষ্টা চালালে পৌর আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা সড়ক অবরোধ করে সড়কে বসে যান।
এ নিয়ে ফের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের উপক্রম হলে বকশীগঞ্জ থানা পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। পরে দুই পক্ষকে নিরাপদ দূরত্বে সড়িয়ে দেন।
মুজিব বর্ষের র‌্যালিতে হামলা ও ইট পাটকেল নিক্ষেপের প্রতিবাদে পৌর আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা বকশীগঞ্জ সরকারি ভোকেশনাল ইনস্টিটউ মাঠে প্রতিবাদ সভা ও আলোচনা সভা করেন।
প্রতিবাদ সভায় বক্তব্য রাখেন পৌর আওয়ামী লীগের যুগ্ন আহবায়ক সাইয়ুম, বগারচর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ওমর আল ফারুক, উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাহানারা বেগম প্রমুখ।
প্রতিবাদ সভায় বক্তারা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নুর মোহাম্মদের পদত্যাগের বিষয়টি গ্রহণ করতে জেলা আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দের কাছে দাবি জানান।
বকশীগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি জাহিদুল ইসলাম জুমান তালুকদার মুজিব বর্ষের র‌্যালিতে হামলার বিষয়টি অস্বীকার করে জানান, পৌর আওয়ামী লীগের লোকজন আমাদের মিছিলে অতর্কিত হামলা করেছে। এতে রবিন নামে এক ছাত্রলীগ কর্মী আহত হয়েছে।
বকশীগঞ্জ থানার ওসি শফিকুল ইসলাম সম্রাট জানান, দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দিলে পুলিশ তাদেরকে সরিয়ে দিয়েছেন। অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে শহরে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। কেউ অভিযোগ না দেয়ায় এখন পর্যন্ত থানায় কোন মামলা হয়নি।
এঘটনায় শহরে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ ও পৌর আওয়ামী লীগের নেতা কর্মীদের মধ্যে টান টান উত্তেজনা বিরাজ করছে।