বাগেরহাটে শিশু ধর্ষণের মামলায় দ্রুততম রায়ে আসামির যাবজ্জীবন অনলাইন ডেস্ক অনলাইন ডেস্ক প্রকাশিত: ৪:২০ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ১৯, ২০২০ অনলাইন ডেস্ক : বাগেরহাটে শিশু ধর্ষণের মামলায় দ্রুততম সময়ে দেওয়া রায়ে একমাত্র আসামি আবদুল মান্নান সরদারকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। তাকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও এক বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। বাগেরহাটের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২-এর বিচারক জেলা ও দায়রা জজ মো. নূরে আলম সোমবার এই রায় ঘোষণা করেন। যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আবদুল মান্নান সরদার বাগেরহাটের মোংলা উপজেলার একটি ভূমিহীন আশ্রয়ন প্রকল্প এলাকার বাসিন্দা। আইনজীবীরা জানিয়েছেন, মাত্র সাত কর্মদিবসেই মামলার রায় ঘোষণা করা হয়েছে। দেশে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে ধর্ষণের মামলায় এত দ্রুত সময়ে বিচারপ্রক্রিয়া শেষের নজির নেই। মামলার নথি সূত্রে জানা গেছে, বাবাহারা ৭ বছর বয়সী শিশুটি মোংলা উপজেলায় তার মামার কাছে থাকত। গত ৩ অক্টোবর বিকেলে বিস্কুট খাওয়ানোর কথা বলে শিশুটিকে নিজের ঘরে নিয়ে ধর্ষণ করেন একই উপজেলার মাকোড়ডোন গ্রামের ভূমিহীন আশ্রয়ন প্রকল্প এলাকার আব্দুল মান্নান সরদার। পরে মেয়েটি তার মামাকে এ কথা জানালে ওই রাতেই আব্দুল মান্নানকে আসামি করে মোংলা থানায় মামলা দায়ের করেন শিশুটির মামা। এরপর একই রাতে মোংলা থানা পুলিশ আব্দুল মান্নানকে গ্রেপ্তার করে। এই মামলায় গত ১১ অক্টোবর আদালতে অভিযোগপত্র দেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মোংলা থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) বিশ্বজিত মুখার্জি। পরে ১২ অক্টোবর মামলাটির অভিযোগ গঠন করা হয়। ১৩ অক্টোবর বাদীপক্ষের ১৬ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য নেওয়া হয়। ১৪ অক্টোবর চিকিৎসক, বিচারিক হাকিম, নারী পুলিশ সদস্য এবং মামলার তদন্ত কর্মকর্তার সাক্ষ্য নেওয়া হয়। ১৫ অক্টোবর আসামির আত্মপক্ষ সমর্থনে সাফাই সাক্ষ্য নেওয়া হয়। ১৬ ও ১৭ অক্টোবর সাপ্তাহিক ছুটি থাকায় রোববার (১৮ অক্টোবর) বাদী ও আসামিপক্ষের যুক্তিতর্ক শেষ করে সোমবার রায়ের দিন ধার্য করেন বাগেরহাট নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক জেলা ও দায়রা জজ মো. নূরে আলম। সে অনুযায়ী সোমবার রায় ঘোষণা করা হলো। এ রায়কে ধর্ষকদের জন্য দৃষ্টান্ত উল্লেখ করে নারী উন্নয়ন ফোরামের খুলনা ও বরিশাল বিভাগের আঞ্চলিক সমন্বয়কারী রিজিয়া পারভীন বলেন, আইন প্রয়োগকারী সংস্থা আন্তরিক থাকলে অল্প সময়ের মধ্যে যে বিচার কাজ শেষ হতে পারে, এটি তার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। এ রায় ধর্ষকদের জন্য একটি দৃষ্টান্ত হবে। স্বল্প সময়ে রায় হলে বাদী পক্ষ অনেক স্বস্তি পায়। ভুক্তভোগীও তার বিভীষিকাময় স্মৃতির ক্ষত ভোলার আগেই বিচারের রায় শুনে মানসিক শান্তি অর্জন করতে পারেন। আমরা দাবি করবো- অন্যান্য ধর্ষণ মামলার বিচার যেন দ্রুত সম্পন্ন হয়। রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী এপিপি রনজিৎ কুমার মন্ডল বলেন, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে বলা আছে, ধর্ষণের ঘটনায় আসামি ধরা পড়লে ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে বিচার কাজ সম্পন্ন করা যাবে। এ মামলাটি তারই প্রমাণ। Related posts:সরকারি কর্মচারীদের গ্রেপ্তারে পূর্বানুমতি : হাইকোর্টের রায় স্থগিতশেরপুরে স্ত্রীকে শ্বাসরোধ করে হত্যার দায়ে স্বামীর যাবজ্জীবন কারাদণ্ডএমসি কলেজে ধর্ষণের আসামি সাইফুর ও অর্জুন রিমান্ডে Post Views: ৩০৯ SHARES আইন-আদালত বিষয়: