জামালপুরে ডাক্তারদের কর্মবিরতি, চরম দুর্ভোগে রোগীরা

প্রকাশিত: ৭:৫১ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ২৮, ২০২০

জামালপুর প্রতিনিধি : জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে ডাক্তার ও ইন্টার্ন চিকিৎসকদের ওপর হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনায় রবিবার (২৭ ডিসেম্বর) সকাল থেকে জামালপুরে কর্মবিরতি শুরু করেছে ডাক্তাররা।
হামলার ঘটনায় মামলা দায়ের করেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে পুলিশ দুইজনকে গ্রেফতার করেছে। জেলায় সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালগুলোতে চিকিৎসা সেবা বন্ধ থাকায় চরম দুর্ভোগে পড়েছে দূর-দূরান্ত থেকে আসা রোগীরা। স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ (স্বাচিব) ও বাংলাদেশ মেডিক্যাল এসোসিয়েশন (বিএমএ) এর যৌথ ডাকে চিকিৎসকদের এ কর্মবিরতি। জামালপুর জেনারেল হাসপাতালসহ বেসরকারি ক্লিনিক হাসপাতালে চিকিৎসা সেবা বন্ধ থাকায় চরম দুর্ভোগে পড়েছে চিকিৎসা নিতে আসা প্রত্যন্ত অঞ্চলের শত শত রোগী ও স্বজনরা। চিকিৎসা না পেয়ে বাড়ি ফিরে যাচ্ছেন তারা।
হামলার ঘটনায় শনিবার রাত ১০টায় হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ডা.মাফিজুর রহমান সোহান বাদী হয়ে কাউন্সিলর মনিরুজ্জামান মনিসহ ৫ জনের নামে ও অজ্ঞাত আরও কয়েকজনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেছেন। রাতেই পুলিশ অভিযান চালিয়ে শহরের ইকবালপুর গ্রাম থেকে আসামি সাইদুর রহমান (৪০) ও শহিদুল্লাহকে (৪২) গ্রেফতার করে। এদিকে সরকারি হাসপাতালের পাশাপাশি বেসরকারি ক্লিনিক ও হাসপাতালগুলোতেও চিকিৎসক না আসায় রোগীদের দুর্ভোগ আরও বেড়ে গেছে।
উল্লেখ্য, গত শুক্রবার এক অসুস্থ নারীর মৃত্যুকে কেন্দ্র করে জামালপুর জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগে বহিরাগতদের হামলা, কক্ষ ভাঙচুর, মেডিক্যাল অফিসারকে মারধর এবং বহিরাগত ও ইর্ন্টানি চিকিৎসকদের মধ্যে সংর্ঘষের সময় এক স্বাস্থ্য কর্মকর্তাকে নির্যাতনের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ৭ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ডা. মাহফুজুর রহমান সোহান বলেন, চিকিৎসকদের ওপর হামলাকারীদের গ্রেফতার ও শাস্তি নিশ্চিতকরণ, সদর থানার ওসিকে প্রত্যাহার, হাসপাতালের চিকিৎসক, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের প্রশাসনিক নিরাপত্তা প্রদান-এই তিন দফা দাবিতে চিকিৎসকদের অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতি চলছে। দাবি না মানা পর্যন্ত কর্মসূচি চলবে বলেও জানান তিনি।
জামালপুর সদর থানার ওসি মো. রেজাউল ইসলাম খান বলেন, হাসপাতালের সহকারী পরিচালক শনিবার রাত ১০টায় ৫ জনসহ অজ্ঞাত আরও কয়েকজনকে আসামি করে মামলা করেছে। রাতেই অভিযান চালিয়ে দুইজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।