জামালপুরে দুই স্কুলে ৪৪টি মৌচাক

প্রকাশিত: ৬:৫০ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ১০, ২০২১

জামালপুর প্রতিনিধি : জামালপুর সদর উপজেলার তুলশীরচর ইউনিয়নের দুটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৪৪টি মৌচাকের বাসা গড়ে তুলেছে।
সরেজমিনে জানা যায়, জামালপুর জেলার পুর্ব উত্তর দিকে তুলশীরচর ইউনিয়ন। এটি জেলার শেষ প্রান্তে ময়মনসিংহ সামীন্তে লাগোয়া। পশ্চিশে শেরপুর জেলা। তুলশীরচর ইউনিয়নের উত্তর দিকে ছাতিয়ান তলা প্রাথমিক বিদ্যালয় । এ ছাতিয়ানতলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ১৪টি এবং তারও উত্তরে একই ইউনিয়নের হনুমানেরচর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৩০টি মৌচাক বাসা বেধেছে। একদিকে করোনা পরিস্থিতির কারণে বিদ্যালয় টানা বন্ধ রয়েছে। পাশাপাশি ওই এলাকায় ব্যাপক পরিমাণ সরিষার আবাদ হয়েছে। সরিষা ফুল থেকে মধু আহরণে মৌমাছির দল বিদ্যালয়ে গিয়ে বাসা বেধেছে বলে স্থানীয়রা মনে করছেন।
ছাতিয়ানতলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি শাহজাহান আলী বলেন আমার বিদ্যালয়ের দেয়ালে এ পর্যন্ত ১৪টি মৌচাকের বাসা রয়েছে। স্কুলের জানালার কার্নিশে ঝুলছে মৌচাক। এখন স্কুল বন্ধ। তাই অনেকটা নিরাপদ মনে করেই এখানে বাসা বেধেছে বলেও তিনি মনে করছেন।
শুধু এ স্কুলই নয়। তার উত্তর পাশে জামালপুরের শেষ সীমানা হুনুমানের চর স্কুলেও বসেছে মৌচাক। তবে এ বিদ্যালয়ের চিত্র আরো ভীন্ন। স্কুলের পুরো জানালার কার্নিশে বসেছে ৩০টি মৌচাক। স্থানীয়া মনে করছে নিরাপদ থাকার কারণে এখানে বাসা বেধেছে।
স্থানীয় কবির হোসেন, জানান তুলশীরচর ইউনিয়নের হনুমানেরচর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়রটি জামালপুর জেলার শেষ সীমানা। এ স্কুলের আশপাশে কৃষকরা সরিষার আবাদ করেছে ব্যাপক হারে। যে এলাকায় সরিষার চাষ বেশি হয় সে এলাকায় মৌমাছির বসবাসও বেশি।
ফুল থেকে মুধ আহরণে মৌমাছির দল এসব বাসা বেধেছে বলে জানান আলামিন, কালাম, মুকুল, কামরুলসহ এলাকার একাধিক ব্যক্তি।
মোমিন মিয়া জানান, বিদ্যালয়ের মৌচাক থেকে মধু সংগ্রহ করতে মৌয়ালদের আনাগোনা বেড়ে প্রতিবছরই। এবারও তার ব্যতিক্রম ঘটেনি।
হুনুমানের চরের কৃষক ফজল মিয়ার দাব বিশাল এলাকা জুড়ে সরিষার চাষ হয়েছে। সরিষা ফুলে আকৃষ্ট মৌমাছিরা ওই এলাকায় বড় কোনও গাছের সন্ধান না পেয়ে স্কুল ভবনের কার্নিশেই মৌচাকগুলো তৈরি করেছে।
বিদ্যালয়ের ভবনে প্রতি বছরই ৩/৪টি মৌচাক দেখা যায়। কিন্তু এ বছরই এতো মৌচাক বেধেছে। এলাকাবাসীর দাবি এখান সরিষার ফুল শেষ হয়তো চলে যাবে অজানা গন্তব্যপথে। প্রথমে জনসাধারন ভয় পেলেও এখন তারা দেখতে দেখতে অভ্যস্ত হয়ে পড়েছে। বিদ্যালয়ের কার্নিশে মৌমাছির চাক দেখতে কৌতূহলের যেন শেষ নেই উৎসক জনতার।