শেরপুরে আইনগত সহায়তা প্রদান কর্মসূচির অগ্রগতি বিষয়ক সমন্বয় সভা

প্রকাশিত: ৪:৫৫ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ২৫, ২০২১

স্টাফ রিপোর্টার ॥ শেরপুরে জেলা ও মাঠ পর্যায়ে আইনগত সহায়তা প্রদান কর্মসূচির অগ্রগতি বিষয়ক অর্ধ-বার্ষিক সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ২৪ ফেব্রুয়ারি বুধবার বিকেলে জেলা লিগ্যাল এইড কমিটি ও ডেমোক্রেসিওয়াচের উদ্যোগে শহরের নিউমার্কেট নিপুণ কমিউনিটি সেন্টারে আয়োজিত ওই সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন জাতীয় আইনগত সহায়তা সংস্থার পরিচালক সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ মো. সাইফুল ইসলাম। ওইসময় তিনি বলেন, দেশের আদালতগুলোতে বর্তমানে ৩৮ লাখের ওপরে মামলা পেন্ডিং (চলমান) রয়েছে। যা নিস্পত্তি করতে ৪০ বছরেরও অধিক সময় লেগে যাবে। এজন্য আদালতে মামলা জট কমাতে বিকল্প বিরোধ নিস্পত্তিতে জোর দেওয়া হচ্ছে। জাতীয় আইনগত সহায়তা প্রদান সংস্থার মাধ্যমে বিকল্প বিরোধ নিস্পত্তিতে বেশ সফলতা পাওয়া যাচ্ছে। আইনগত সহায়তা প্রদানের মাধ্যমে সরকার স্বচ্ছল-অস্বচ্ছল নির্বিশেষে সকল মানুষের আইনী অধিকার নিশ্চিত করেছে। লিগ্যাল এইড কার্যক্রম সম্পর্কে সাধারণ মানুষকে জানাতে হবে। এজন্য ইউনিয়ন এবং উপজেলা কমিটিগুলোকে আরও সক্রিয় করতে হবে, প্রচার-প্রচরণা বাড়াতে হবে।
জেলা ও দায়রা জজ এবং জেলা লিগ্যাল এইড কমিটির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আল মামুনের সভাপতিত্বে সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. আখতারুজ্জামান এবং চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এস এম হুমায়ুন কবীর। সভায় জেলা লিগ্যাল এইড অফিসার সহকারি জজ জুলফিকার হোসাইন রনি শেরপুর জেলার লিগ্যাল এইড কমিটির কার্যক্রম তুলে ধরেন। ওইসময় তিনি জানান, জানুয়ারি ২০২০ থেকে জানুয়ারি ২০২১ পর্যন্ত সময়ে জেলায় লিগ্যাল এইড কমিটিতে মামলার আবেদন জমা পড়েছে ৩৪১টি। তন্মধ্যে নিস্পত্তি করা হয়েছে ৫৩টি। এছাড়া বিকল্প বিরোধ নিস্পত্তির ৩৪২টি আবেদনের মধ্যে সফল হয়েছে ২২০টি। তন্মধ্যে ৯১টি মামলা নিষ্পত্তি করা হয়েছে এবং নথিজাত করা হয়েছে ৬১টি। এতে ১ কোটি ৭৬ লক্ষ ১৮ হাজার ৫০০ টাকা আদায় করে ভুক্তভোগীকে প্রদান করা হয়েছে। শেরপুরে গণশুনানী, সুধীসমাবেশ, উঠোন বৈঠক এবং বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে লিগ্যাল এইড কার্যক্রম সম্পর্কে সাধারণ মানুষকে অবহিত করার ফলে লিগ্যাল এইড কার্যক্রমে গতিশীলতা আসছে।
ডেমোক্রেসিওয়াচের সমন্বয়ক সৈয়দ শহিদুর রহমান শামীম-এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে লিগ্যাল এইড কমিটির সহকারি পরিচালক মো. আক্তারুজ্জামান, ৫ উপজেলা চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, ইউপি চেয়ারম্যান, সাংবাদিক, ইউপি সচিবসহ লিগ্যাল এইড কমিটির অন্যান্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
সভায় শেরপুর জেলার লিগ্যাল এইড কমিটির কার্যক্রম সম্পর্কে অংশগ্রহণকারীরা সন্তোষ প্রকাশ করেন এবং এর কার্যক্রম আরো গতিশীল করতে ভালো কাজের জন্য সম্মাননা প্রদান, প্রচারণায় সাংবাদিক ফেলোশীপ চালু, সাংস্কৃতিক কর্মকান্ড সম্পৃক্তকরণ, ইউনিয়ন কমিটিতে সকল ইউপি সদস্যকে অন্ত:ভুক্ত করার বিষয়ে মতামত প্রদান করেন। অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি বিষয়গুলো গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করা হবে এবং জাতীয় কমিটির সভায় এগুলো তুলে ধরে পদক্ষেপ গ্রহণ করার কথা জানান।