সেই শিশু ইয়ামিনের পাশে দাঁড়ালো ‘নকলা অদম্য মেধাবী সহায়তা সংস্থা’ অনলাইন ডেস্ক অনলাইন ডেস্ক প্রকাশিত: ৪:১৪ অপরাহ্ণ, মার্চ ১২, ২০২১ নকলা (শেরপুর) প্রতিনিধি : শেরপুর জেলার নকলা উপজেলার বানেশ্বর্দী ইউনিয়নের বানেশ্বরদী উত্তর পাড়া গ্রামের ব্রেইন ইনফেকশনে আক্রান্ত ৩ বছর বয়সি শিশু ইয়ামিনকে চিকিৎসা করাতে গিয়ে সহায় সম্বল হারিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন ভ্যানচালক মোখলেছুর রহমান। এমতাবস্থায় এই অসহায় পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছে ‘নকলা অদম্য মেধাবী সহায়তা সংস্থা’ নামে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন। সংস্থাটির নির্বাহী ও প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী আবু শরীফ কামরুজ্জামানের একান্ত প্রচেষ্ঠায় সংস্থার স্বেচ্ছাসেবকদের মাধ্যমে মোখলেছুর রহমানের হাতে ব্যাটারিচালিত একটি নতুন ভ্যানগাড়ি পৌঁছে দেওয়া হয়। ১২ মার্চ শুক্রবার সকালে সংস্থাটির সভাপতি শফিকুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিন ও সহ-সভাপতি জাহাঙ্গীর রউফ শিবলু ব্রেইন ইনফেকশনে আক্রান্ত ৩ বছর বয়সি শিশু ইয়ামিনের বানেশ্বরদী উত্তর পাড়ার বাড়িতে গিয়ে ভ্যানচালক মোখলেছুর রহমান ও গৃহিনী নুরজাহান বেগমের হাতে ব্যাটারিচালিত ভ্যানগাড়ির চাবি ও গাড়ির কাগজপত্রাদি তুলে দেন। এসময় এলাকার গন্যমান্য, স্থানীয় সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন। জানা গেছে, ছেলের চিকিৎসার ব্যয় ভার বহন করে আজ তারা দিশেহারা হওয়ার বিষয়টি স্থানীয় সাংবাদিকদের নজরে আসলে সাংবাদিকরা নিজ নিজ কর্মস্থলের পত্রিকায় ‘বাঁচতে চায় নকলার শিশু ইয়ামিন’, ‘আপনার সামান্য সহায়তায় বেঁচে যেতে পারে শিশু ইয়ামিন’, ‘শিশু ইয়ামিনকে বাঁচাতে এগিয়ে আসুন’ এমন সকল শিরোণামে খবর প্রকাশ করা হয়। খবরটি সুদূর অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী আবু শরীফ কামরুজ্জামানের নজরে আসে। পরে নকলা অদম্য মেধাবী সহায়তা সংস্থার স্বেচ্ছাসেবকদের এ অসহায় পারিবারিক অবস্থার খোঁজনিতে বলেন তিনি। স্বেচ্ছাসেবকদের তথ্যের ভিত্তিতে এ পরিবারের আয়ের মাধ্যম হিসেবে ব্যাটারিচালিত একটি নতুন ভ্যানগাড়ি প্রদান করা হয়। ভ্যানচালক মোখলেছুর রহমান ও তার স্ত্রী নুরজাহান বেগম ভ্যানগাড়িটি হাতে পেয়ে আবেগে-আনন্দে কেঁদে ওঠেন। তারা বলেন, তাদের সংসারের ব্যয় বহনের জন্য একটি ভ্যানগাড়ি ছিলো, ছিলো গরু-ছাগল, হাস-মুরগিসহ অনেক কিছু। কিন্তু ৩ বছর বয়সি শিশু সন্তান ইয়ামিনকে বাঁচাতে উন্নত চিকিৎসা করিয়ে সবকিছু বিক্রি করে দিয়ে আজ পথে বসার উপক্রম; দিশেহারা হয়ে পড়েছেন তারা। এখন ইয়ামিনকে বাঁচাতে আরও কয়েক লাখ টাকার প্রয়োজন বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। ইয়ামিনকে বাঁচাতে ধনাঢ্য ও দানশীল লোকদের কাছে সহায়তা কামনা করেছেন তার বাবা-মা। সহযোগিতার জন্য ইয়ামিনের বাবা মোখলেছুর রহমানের বিকাশ নম্বর ০১৮৮৬ ৬৪ ৪৪ ৮৪ (পার্সোনাল)। Related posts:আজ শেরপুরের সূর্যদী গণহত্যা দিবসনালিতাবাড়ীতে মানসম্মত সেবা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে গণশুনানি অনুষ্ঠিতশেরপুরে যুব মহিলা লীগের পক্ষ হতে মুক্তিযুদ্ধের বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি Post Views: ৩৫১ SHARES শেরপুর বিষয়: