বিএনপির খুনের রাজনীতির চরিত্র স্পষ্ট হয়ে উঠেছে: কাদের

প্রকাশিত: ৬:৩৬ অপরাহ্ণ, মার্চ ৫, ২০২১

অনলাইন ডেস্ক : আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, রাজশাহী বিভাগীয় সমাবেশে বিএনপির এক নেতা দেশে আরেকটি ১৫ আগষ্ট ঘটানোর যে ইঙ্গিতপূর্ণ ও উস্কানিমূলক বক্তব্য দিয়েছেন, তাতে দেশবাসী বিক্ষুব্ধ। এই বক্তব্যে বিএনপির ফ্যাসিবাদী মানসিকতা, ষড়যন্ত্র ও খুনের রাজনীতির চরিত্র স্পষ্ট হয়ে উঠেছে।
শুক্রবার জাতীয় সংসদ ভবন এলাকায় তার সরকারি বাসভবন থেকে নিয়মিত অনলাইন সংবাদ সম্মেলনে ওবায়দুল কাদের এসব কথা বলেন।
বিএনপি নেতাদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ওয়ার্কার্স পার্টির ফজলে হোসেন বাদশা ও রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগ এ বিষয়ে প্রতিবাদ করেলেও বিএনপির পক্ষ থেকে এর কোনো সুস্পষ্ট বক্তব্য দেওয়া হয়নি। তাহলে কী ধরে নেবো, এটি বিএনপির দলীয় বক্তব্য? জনগণ আশা করে, বিএনপি এ বিষয়ে তাদের বক্তব্য স্পষ্ট করবে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ১৫ ও ২১ আগষ্ট একই ষড়যন্ত্রের ধারাবাহিকতা। বিএনপি নেতার এ বক্তব্যে তাদের খুনের রাজনীতির স্বরূপ উন্মোচিত হয়েছে। এই বক্তব্য থেকে স্পষ্ট বোঝা যায় বিএনপি এখনো ষড়যন্ত্রের রাজনীতি করছে। এই ষড়যন্ত্রের জাল দেশ-বিদেশে বিস্তৃত। তাদের বক্তব্য লন্ডনের ছক অনুযায়ী গোপন পরিকল্পনা বাস্তবায়নের অংশ কি না সেটাও খতিয়ে দেখা হবে।
তিনি বলেন, ইতোমধ্যে রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগ এই বক্তব্য প্রত্যাহারে ৭২ ঘন্টার আল্টিমেটাম দিয়েছে। আশা করছি, কেন্দ্রীয় বিএনপি তাদের অবস্থান স্পষ্ট করবে।
‘সরকার নির্বাচিত নয়, জনগণের ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনে সরকারের পতন হবে’- বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের এমন বক্তব্যের জবাবে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপির এমন হুমকি-ধামকি আমরা বছরের পর বছর শুনেছি। তাদের আন্দোলন ও সরকার পতনের ঘোষণার ইতিমধ্যেই এক যুগ পূর্তি হয়ে গেছে। জনগণ এখনো রাজপথে কোনো আন্দোলন দেখতে পায়নি।
তিনি বলেন, ক্ষমতায় থাকা কালে বিএনপি সরকার পরিচালনায় একাধিক বিকল্প ক্ষমতাকেন্দ্র তৈরি করেছিল। এখনো তাদের আন্দোলনের ডাক আসে দেশ-বিদেশের বিভিন্ন ক্ষমতাকেন্দ্র থেকে।
সেতুমন্ত্রী বলেন, বিএনপি নেতারা ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্টের অন্ধ বিরোধিতা করছে। আইনটির যথাযথ প্রয়োগের ক্ষেত্রে কোনো ব্যত্যয় ঘটছে কি না সে বিষয়টির প্রতি সরকার কড়া নজর রাখছে। প্রযুক্তির এই যুগে জনস্বার্থেই এই আইন করা হয়েছে। এরপরও আইনটির অপপ্রয়োগ যাতে না হয়- সে বিষয়ে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, বিএনপি এখন এই আইন নিয়ে মানবাধিকারের কথা বলছে। অথচ পঁচাত্তরের হত্যাকাণ্ডের পর ইনডেমনিটি অধ্যাদেশের মাধ্যমে জাতির পিতার খুনিদের বিচার চাওয়ার পথও বন্ধ করে দিয়েছিল তারা।