জাতির পিতার প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা

প্রকাশিত: ১২:৪৩ পূর্বাহ্ণ, মার্চ ১৭, ২০২১

অনলাইন ডেস্ক : ‘একই হাসিমুখে বাজায়েছি বাঁশি, গলায় পরেছি ফাঁস;/আপোষ করিনি কখনোই আমি এই হলো ইতিহাস।/এই ইতিহাস ভুলে যাবো আজ, আমি কি তেমন সন্তান?/যখন আমার জনকের নাম শেখ মুজিবুর রহমান;/তারই ইতিহাস প্রেরণায় আমি বাংলায় পথ চলি,/চোখে নীলাকাশ, বুকে বিশ্বাস পায়ে উর্বর পলি।’

আজ ১৭ মার্চ। বাঙালির প্রেরণা জাগানিয়া, চিরভাস্বর সেই মানুষটির ১০২তম জন্মদিন আজ। ১৯২০ সালের এই দিনে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় সম্ভ্রান্ত শেখ পরিবারে জন্ম নেন স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ এই বাঙালির জন্মদিন জাতি আজ ‘জাতীয় শিশু দিবস’ হিসেবেও উদযাপন করবে। দিনটি উদযাপিত হবে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায়। এ জন্য সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে নানা কর্মসূচি হাতে নেওয়া হয়েছে। থাকবে সরকারি ছুটি।

চলমান মুজিববর্ষ ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর প্রেক্ষাপটে এবার জাতির পিতার জন্মদিন ভিন্ন আমেজে উদযাপিত হবে। গোটা জাতি আজ গভীর শ্রদ্ধা ও ভালোবাসায় স্মরণ করবে রাষ্ট্রের স্থপতি, জাতিসত্তার রূপকার ও স্বাধীনতার মহানায়ক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে।

এর আগে গত বছরের ১৭ মার্চ মহান এই নেতার শততম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে সরকার ২০২০-২০২১ সালকে ‘মুজিববর্ষ’ হিসেবে ঘোষণা করেছিল। এ উপলক্ষে সরকার গত বছরের ১৭ মার্চ থেকে চলতি বছরের মার্চ পর্যন্ত দেশজুড়ে বছরব্যাপী অনুষ্ঠানমালা ঘোষণা করে। কিন্তু গত বছরের ৮ মার্চ দেশে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব শুরুর প্রেক্ষাপটে মুজিববর্ষের উদ্বোধন পর্বসহ সে কর্মসূচি সংক্ষিপ্ত পরিসরে উদযাপিত হয়। এমন প্রেক্ষাপটে মুজিববর্ষের মেয়াদ এ বছরের ডিসেম্বর পর্যন্ত বর্ধিত করেছে সরকার।

জাতির পিতার জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন। বাণীতে জাতির পিতার স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে তার স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার শপথ নিয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার জন্য দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তারা।

বঙ্গবন্ধুর জীবন ও কর্ম :বাঙালির অবিসংবাদিত নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কর্ম ও রাজনৈতিক জীবন অসামান্য গৌরবের। স্কুলজীবনেই তিনি জড়িয়ে পড়েন রাজনীতিতে। কৈশোরে গোপালগঞ্জ মিশন স্কুলে অষ্টম শ্রেণির ছাত্র থাকার সময় ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনে যোগ দেওয়ার কারণে প্রথমবারের মতো কারাবরণ করেন তিনি। ১৯৪০ সালে যোগ দেন সর্বভারতীয় মুসলিম ছাত্র ফেডারেশনে। ম্যাট্রিক পাসের পর কলকাতা ইসলামিয়া কলেজে (বর্তমানে মওলানা আজাদ কলেজ) অধ্যয়নকালে হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী, শেরেবাংলা এ কে ফজলুল হকসহ তৎকালীন প্রথম সারির রাজনৈতিক নেতাদের সান্নিধ্যে আসেন। ১৯৪৬ সালে তিনি কলকাতা ইসলামিয়া কলেজ ছাত্র ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। ওই সময় থেকে তিনি ছাত্র-যুবনেতা হিসেবে রাজনীতির অঙ্গনে সুপরিচিত হয়ে ওঠেন।

১৯৪৭ সালে উপমহাদেশ বিভক্তির পরপরই ঢাকায় ফিরে নতুন রাজনৈতিক চিন্তা-চেতনা নিয়ে অগ্রসর হন তিনি। সহকর্মীদের নিয়ে ১৯৪৮ সালে ছাত্রলীগ গঠন করেন। ১৯৪৯ সালের ২৩ জুন তৎকালীন ক্ষমতাসীন মুসলিম লীগের বিরুদ্ধে পাকিস্তানের প্রথম বিরোধী দল ‘আওয়ামী মুসলিম লীগ’ গঠিত হলে তরুণ নেতা শেখ মুজিব দলটির যুগ্ম সম্পাদক নিযুক্ত হন। ১৯৫৩ সালে তিনি দলের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। ১৯৫৬ সালে অসাম্প্রদায়িক চেতনায় আওয়ামী মুসলিম লীগ থেকে ‘মুসলিম’ শব্দটি বাদ দিয়ে দলের নাম রাখা হয় ‘আওয়ামী লীগ’।

বঙ্গবন্ধু বায়ান্নর ভাষা আন্দোলন, আটান্নর আইয়ুব খানের সামরিক শাসনবিরোধী আন্দোলন, বাষট্টির শিক্ষা আন্দোলনসহ পাকিস্তানি সামরিক শাসনবিরোধী সব আন্দোলন-সংগ্রামে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। বাঙালির অধিকার আদায়ের এসব আন্দোলনের কারণে বারবার কারাগারেও যেতে হয় তাকে।

১৯৫৪ সালে যুক্তফ্রন্টের মনোনয়নে ইস্ট বেঙ্গল লেজিসলেটিভ অ্যাসেমব্লির সদস্য নির্বাচিত হন শেখ মুজিব। একই বছর অন্তর্ভুক্ত হন যুক্তফ্রন্ট সরকারের মন্ত্রিসভায়। আওয়ামী লীগপ্রধান হিসেবে ১৯৬৬ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি লাহোরে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের স্বায়ত্তশাসন তথা বাঙালির মুক্তির সনদ ঐতিহাসিক ছয় দফা ঘোষণা করেন তিনি। পাকিস্তানের স্বৈরশাসক জেনারেল আইয়ুব খান বঙ্গবন্ধুসহ নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিদের নামে ‘আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা’ করে তাদের কারাগারে পাঠান। ১৯৬৯-এর ঐতিহাসিক গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে বাঙালি শেখ মুজিবকে কারামুক্ত করে ‘বঙ্গবন্ধু’ উপাধি দিয়ে সম্মানিত করে।

১৯৭০ সালের নির্বাচনে বাঙালি বঙ্গবন্ধুর ছয় দফার পক্ষে অকুণ্ঠ সমর্থন জানায়। পাকিস্তানের সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগণের ম্যান্ডেট লাভ করে আওয়ামী লীগ; কিন্তু পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠী বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে বাঙালির এ নির্বাচনী বিজয়কে মেনে নেয়নি। এরপর বঙ্গবন্ধু স্বায়ত্তশাসনের আন্দোলনকে নানা ঘাত-প্রতিঘাতের মধ্য দিয়ে প্রথমে স্বাধিকার আন্দোলন এবং চূড়ান্ত পর্বে স্বাধীনতা আন্দোলনে রূপ দেন।

এ আন্দোলন-সংগ্রামের ধারাবাহিকতায় একাত্তরের মার্চে নজিরবিহীন অসহযোগ আন্দোলন শুরু করেন বঙ্গবন্ধু। ৭ মার্চ তৎকালীন রেসকোর্স ময়দানের (বর্তমানে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) জনসমুদ্রে ঐতিহাসিক ভাষণে তিনি বজ্রকণ্ঠে ঘোষণা করেন- ‘এবারের সংগ্রাম, আমাদের মুক্তির সংগ্রাম; এবারের সংগ্রাম, স্বাধীনতার সংগ্রাম।’ এ ভাষণে সেদিন স্বাধীনতার ডাক দিয়ে ঐক্যবদ্ধ বাঙালি জাতিকে স্বাধীনতা সংগ্রামের দিকনির্দেশনা দেন তিনি।

একাত্তরের ২৫ মার্চের কালরাতে পাকিস্তানি সামরিক বাহিনী নিরস্ত্র বাঙালির ওপর আক্রমণ শুরু করলে ২৬ মার্চের প্রথম প্রহরে বঙ্গবন্ধু ওয়্যারলেসের মাধ্যমে স্বাধীনতার ঘোষণা দেন। এরপর বঙ্গবন্ধুকে তার বাসভবন থেকে গ্রেপ্তার করে পশ্চিম পাকিস্তানের কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়। ৯ মাসের সশস্ত্র, রক্তাক্ত মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে বীর বাঙালি একাত্তরের ১৬ ডিসেম্বর বিজয় ছিনিয়ে আনে। বিশ্বের মানচিত্রে অভ্যুদয় ঘটে স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশের।

১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি পাকিস্তানের কারাগার থেকে মুক্তি পেয়ে স্বদেশে ফিরে আসেন বঙ্গবন্ধু। সদ্য স্বাধীন দেশের পুনর্গঠন ও পুনর্বাসন কাজে আত্মনিয়োগ করেন। ১৯৭৫ সালে জাতির অর্থনৈতিক মুক্তির লক্ষ্যে জাতীয় কর্মসূচি ঘোষণা করেন তিনি। এর অল্প কিছুদিনের মধ্যেই ১৫ আগস্টের কালরাতে নিজ বাসভবনে ক্ষমতালোভী ঘাতকদের হাতে সপরিবারে নিহত হন। স্বাধীনতা অর্জনের মাত্র সাড়ে তিন বছরের মধ্যে স্বাধীনতার মহানায়ক বঙ্গবন্ধুর জীবনাবসান ঘটে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের মধ্যে পাঁচজনের ফাঁসির রায় ২০১০ সালের ২৮ জানুয়ারি ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে কার্যকর করা হয়। এর মধ্য দিয়ে জাতির ইতিহাসের অন্ধকার যুগের অবসান ঘটে।

স্বাধীনতা, গণতন্ত্র, সাম্য ও বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠায় অবিস্মরণীয় ভূমিকার জন্য তিনি সারাবিশ্বে সমাদৃত। এসব ক্ষেত্রে অসামান্য অবদানের জন্য ‘জুলিও কুরি’ পদকে ভূষিত হন তিনি। এ ছাড়া বিবিসির এক জরিপে বঙ্গবন্ধু সর্বকালের শ্রেষ্ঠ বাঙালি নির্বাচিত হন।

দিনের কর্মসূচি: বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন উপলক্ষে রাষ্ট্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে আজ বুধবার সকাল ১০টায় টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর সমাধিসৌধে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধার্পণ করা হবে। করোনা পরিস্থিতির কারণে রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষে তাদের সামরিক সচিবরা শ্রদ্ধা জানাবেন। সেখানে ফাতেহা পাঠ ও বিশেষ মোনাজাত অনুষ্ঠিত হবে। তিন বাহিনীর সুসজ্জিত চৌকস একটি দল গার্ড অব অনার দেবে; বাজানো হবে বিউগল।

সকাল সাড়ে ১০টায় প্রধানমন্ত্রী তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে টুঙ্গিপাড়ায় আয়োজিত বঙ্গবন্ধুর জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবসের অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি অংশ নেবেন। এর আগে সকালে ধানমন্ডি বঙ্গবন্ধু ভবন প্রাঙ্গণে জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানাবেন প্রধানমন্ত্রী।
দিনটির তাৎপর্য তুলে ধরে বাংলাদেশ টেলিভিশন, বেতারসহ বিভিন্ন বেসরকারি টিভি চ্যানেলে বিশেষ অনুষ্ঠানমালা প্রচার এবং সংবাদপত্রগুলোতে বিশেষ ক্রোড়পত্র ও নিবন্ধ প্রকাশ করা হবে। বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদসহ বিভিন্ন মসজিদে পবিত্র কোরআনখানি, মোনাজাত, মিলাদ ও দোয়া মাহফিল এবং ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দিরসহ বিভিন্ন মন্দির, গির্জা, প্যাগোডাসহ অন্যান্য ধর্মীয় উপাসনালয়ে বিশেষ প্রার্থনা সভা হবে। সারাদেশের সরকারি হাসপাতাল ও স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলোতে বিশেষ স্বাস্থ্যসেবা দেওয়া হবে।

তথ্য মন্ত্রণালয়, সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়, ধর্ম মন্ত্রণালয়, সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়, বাংলা একাডেমি, শিল্পকলা একাডেমি, নজরুল ইনস্টিটিউট, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি জাদুঘর, মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্ট, জাতীয় জাদুঘর এবং ইসলামিক ফাউন্ডেশন সীমিত পরিসরে শ্রদ্ধা নিবেদন, আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানসহ নানা কর্মসূচির আয়োজন করবে। সারাদেশে জেলা ও উপজেলা সদরে অনুরূপ আয়োজন থাকবে। বিদেশে বাংলাদেশ দূতাবাস ও হাইকমিশন আলোচনা সভা, প্রামাণ্যচিত্র ও পোস্টার প্রদর্শনসহ বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করবে।

এ উপলক্ষে আওয়ামী লীগের কর্মসূচিতে রয়েছে- আজ সকাল সাড়ে ৬টায় বঙ্গবন্ধু ভবন ও দেশব্যাপী দলীয় কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন, সাড়ে ১১টায় বঙ্গবন্ধু ভবন প্রাঙ্গণে জাতির পিতার প্রতিকৃতি ও ১০টায় কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলের টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে শ্রদ্ধার্পণ এবং আগামী ২১ মার্চ রোববার সকাল ১১টায় বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আলোচনা সভা। গণভবনের সরকারি বাসভবন থেকে দলীয় সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সভায় সভাপতিত্ব করবেন ও বক্তব্য দেবেন।

স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর বছরে বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন উপলক্ষে জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটির উদ্যোগে জাতীয় প্যারেড স্কোয়ারে দশ দিনব্যাপী বিশেষ অনুষ্ঠানমালা শুরু হচ্ছে আজ। করোনা পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে আয়োজিত এসব অনুষ্ঠানে দেশি-বিদেশি অতিথিরা অংশ নেবেন।

অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ বিমানবাহিনী মনোজ্ঞ উড্ডয়ন শৈলী প্রদর্শনের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুকে সম্মান জানাবে। বিমানবাহিনীর বিভিন্ন ধরনের বিমানের মাধ্যমে দেশের বিভিন্ন স্থানে ১০০টি উড্ডয়ন শৈলী দেখানো হবে।

একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি আজ বিকেল ৩টায় ‘বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক দর্শন ঊর্ধ্বে তুলে ধরার ক্ষেত্রে দেশ-বিদেশে নির্মূল কমিটির করণীয়’ শীর্ষক আন্তর্জাতিক ওয়েবিনারের আয়োজন করেছে।

জাতীয় প্রেস ক্লাব আজ সকাল ১১টায় জাতীয় প্রেস ক্লাবে রক্ষিত জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন ও দিনব্যাপী সদস্যদের মধ্যে মিষ্টি বিতরণ করবে। ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ) সকাল সাড়ে ৯টায় শিশু-কিশোর সাংস্কৃতিক উৎসবের আয়োজন করবে।

এ ছাড়া গণফোরাম, ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ আওয়ামী লীগ, মহিলা আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, জাতীয় শ্রমিক লীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, কৃষক লীগ, যুব মহিলা লীগ, ছাত্রলীগ, স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ, বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদ, তাঁতী লীগ, সেক্টর কমান্ডারস ফোরাম, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেমোরিয়াল ট্রাস্ট, সেনা কল্যাণ সংস্থা, বঙ্গবন্ধু পরিষদ, বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট, জয়বাংলা সাংস্কৃতিক ঐক্যজোট, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, কচি-কাঁচার মেলা, বাঙালি সাংস্কৃতিক জোট, মহিলা পরিষদ, বঙ্গবন্ধু শিশু কিশোর মেলা, আমরা মুক্তিযোদ্ধার সন্তান, গীতাঞ্জলি ললিতকলা একাডেমি এবং ‘বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের পথে বাংলাদেশ’সহ বিভিন্ন সংগঠন ও প্রতিষ্ঠান আজ পতাকা উত্তোলন, জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ, দোয়া ও মিলাদ মাহফিল, সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা ও অনুষ্ঠান, আলোচনা সভা, স্বেচ্ছায় রক্তদান, বিনামূল্যে চিকিৎসা, বইমেলা, প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শনসহ বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করবে।