শেরপুরে গৃহবধূ ধর্ষণের মামলায় কাজি কারাগারে

প্রকাশিত: ১০:৩৬ পূর্বাহ্ণ, এপ্রিল ৭, ২০২১

স্টাফ রিপোর্টার : শেরপুরে বিয়ের প্রলোভনে ও ভুয়া কাবিননামা করে গৃহবধূকে (৩৫) ধর্ষণের অভিযোগে কাজিকে গ্রেফতারের পর কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। ওই ব্যক্তির নাম মো. নিজাম উদ্দিন (৩৫)। তিনি সদর উপজেলার একটি ইউনিয়নের নিকাহ নিবন্ধক।
সোমবার (৫ এপ্রিল) রাতে উপজেলার গ্রামের বাড়ি থেকে সদর থানার পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে। পরে মঙ্গলবার (৬ এপ্রিল) বিকেলে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ফারিন ফারজানার আদালতের মাধ্যমে তাকে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
এর আগে ভুক্তভোগী সদর থানায় কাজি নিজাম উদ্দিনের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা করেন। মামলার পরিপ্রেক্ষিতে পুলিশ মন্টু কাজীকে গ্রেফতার করে মঙ্গলবার দুপুরে আদালতে সোপর্দ করে। আটক কাজি মো. নিজাম উদ্দিন ওরফে মন্টু সদর উপজেলার মৃত ইয়াছিন আলীর ছেলে।
পুলিশ ও মামলা সূত্রে জানা গেছে, ভুক্তভোগী শেরপুর সদর উপজেলার বাজিতখিলা ইউনিয়নের এক দরিদ্র বাবার মেয়ে। আট বছর আগে তার বিয়ে হয়। তার একটি কন্যাসন্তান আছে। একই ইউনিয়নের নিকাহ নিবন্ধক মো. নিজাম উদ্দিন ওরফে মন্টু পারিবারিক যোগাযোগ থাকার কারণে বিভিন্নভাবে প্রলোভন দিয়ে ১২ মার্চ তাকে বাড়ি থেকে শেরপুর পৌর শহরের চকপাঠক মহল্লার একটি বাসায় নিয়ে আটকে রাখেন। এরপর বিয়ের প্রলোভনে ভুয়া কাবিননামা তৈরি করে ওই বাসায় রেখে একাধিকবার তাকে ধর্ষণ করেন।
একপর্যায়ে ভুক্তভোগী নারী নিজাম উদ্দিনকে তার বাড়িতে নিয়ে যেতে বললে তিনি নানা তালবাহানা শুরু করেন। পরে নিজাম উদ্দিন তার বাড়িতে নিয়ে যাবেন বলে পৌর শহরের নবীনগর আন্তজেলা বাস টার্মিনাল এলাকায় রেখে পালিয়ে যান।
পরে ভুক্তভোগী ভুয়া কাবিননামা তৈরি ও জালিয়াতির বিষয়টি বুঝতে পেরে বাদী হয়ে নিজাম উদ্দিনের বিরুদ্ধে শেরপুর সদর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন।
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আবদুল্লাহ আল মামুন ঘটনাটি নিশ্চিত করে বলেন, বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেফতার নিজাম উদ্দিনকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে নিজাম উদ্দিন ওই গৃহবধূকে বিয়ের কথা স্বীকার করেছেন। তবে কোনো বৈধ কাগজপত্র দেখাতে পারেননি। জেলা সদর হাসপাতালে গৃহবধূর ডাক্তারি পরীক্ষা করা হয়েছে। ঘটনাটি তদন্ত করা হচ্ছে।