জামালপুরে আলুর মূল্যবৃদ্ধি দাবিতে সংবাদ সম্মেলন

প্রকাশিত: ৯:৩৩ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ১১, ২০২১

জামালপুর প্রতিনিধি : জামালপুরে বিএডিসির চলতি অর্থবছরে আলুবীজের অসামঞ্জস্য মূল্যের প্রতি অনাস্থা জানিয়ে মূল্যবৃদ্ধির দাবি জানিয়েছেন চুক্তিবদ্ধ চাষীরা।
রোববার ১১ এপ্রিল ১২টায় জামালপুর প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে সদর উপজেলার ২০টি ব্লকের চাষীরা এই দাবি জানান। পরে প্রেসক্লাব সড়কে মানববন্ধন করেন তারা।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে চাষীরা জানান, ২০১৮-১৯ অর্থ বছরে বিএডিসি থেকে প্রতি একরে ৭২০ কেজি আলুবীজ, সার ও বালাইনাশক বাবদ ৪৩ হাজার ৮৩০টাকা ব্যাংকঋণ দেয়া হয়েছিল। ওই অর্থ বছরে চাষীদের কাছ থেকে প্রতিকেজি এ গ্রেড ২০ টাকা ও বি গ্রেড ১৯ টাকা দরে আলুবীজ কেনা হয়। পরে ২০১৯-২০ অর্থ বছরে ব্যাংকঋণ বেড়ে প্রতি একরে ৪৫ হাজার টাকা দেয়া হয়। সেখানে প্রতিকেজি আলুবীজের দাম ধরা হয় এ গ্রেডে ২৩ টাকা ও বি গ্রেডে ২২ টাকা।
চলতি অর্থ বছরে বিএডিসি থেকে প্রতি একরে ১২০০ কেজি আলুবীজ, সার ও বালাইনাশক বাবদ ব্যাংকঋণ দেওয়া হয় ৬৮ হাজার ৯শ টাকা। এই অর্থ বছরে বিএডিসির দেওয়া ভিত্তি আলুবীজ ও প্রত্যায়িত আলুবীজের মান খারাপ থাকায় ৩০ শতাংশ আলুগাছ মরে যায়। ফলে উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা থেকে কম আলুবীজ মাঠ থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে। এছাড়া অধিক শ্রমিক ও বালাইনাশক লাগায় প্রতিকেজিতে উৎপাদন খরচ হয়েছে ৩০ টাকা। কিন্তু ৫ এপ্রিল এক বিজ্ঞপ্তিতে প্রতিকেজি আলুবীজ এ গ্রেডের ১৯ টাকা ও বি গ্রেডের ১৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়। এতে চরম ক্ষতিগ্রস্ত হবে চাষীরা।
সংবাদ সম্মেলনে চাষীরা প্রতিকেজি আলুবীজের মূল্য ৩৭.৫০ টাকা নির্ধারণে প্রধানমন্ত্রী ও কৃষিমন্ত্রীর কাছে দাবি জানিয়েছেন।
সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন কেন্দুয়া ইউনিয়নের চাষী শামসুল হক আকন্দ। এ সময় শতাধিত চাষীসহ বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রো মিডিয়ার সাংবাদিকগণ উপস্থিত ছিলেন।