জামালপুর পৌর এলাকায় লকডাউন ঘোষণা করলো জেলা প্রশাসন

প্রকাশিত: ৪:০৬ অপরাহ্ণ, জুন ১৪, ২০২১

জামালপুর প্রতিনিধি : জামালপুর পৌর এলাকায় করোনা ভাইরাসের সংক্রমণের পরিস্থিতি বিবেচনায় উচ্চ ঝুঁকি থাকায় ১৬দিনের কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করে গণবিজ্ঞপ্তি জারি করেছে জেলা প্রশাসন। সোমবার ১৪ জুন সন্ধ্যা ৬টা থেকে ৩০জুন রাত পর্যন্ত লকডাউনের আদেশ জারি করেন জেলা প্রশাসক মোর্শেদা বেগম।
সম্প্রতি জামালপুর পৌর শহরে প্রতিদিন করোনায় আক্রান্তের হার বৃদ্ধি পাওয়ায় উচ্চ ঝুঁকি বিবেচনায় করে আদেশে প্রদান করা হয়েছে। আদেশে বলা হয়েছে, সকাল ৬ টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পযর্ন্ত স্বাস্থ বিধি মেনে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খোলা থাকবে।আক্রান্ত ব্যক্তির বাসস্থান লকডাউনের আওতাভুক্ত থাকবে। আক্রান্ত ব্যক্তি সকল স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলবে, কোন ক্রমেই বাড়ীর বাহিরে আসতে পারবে না।
এছাড়াও গণপরিবহনে অর্ধেক যাত্রী নিয়ে চলাচল করবে। গনসমাবেশ হয় এমন ধরনের সামাজিক, রাজনৈতিক, ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠান বন্ধ রাখতে হবে।
সকল ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, শপিংমল স্বাস্থ্যবিধি মেনে খোলা রাখা যাবে, তবে স্বাস্থ্যবিধি অমান্য করলে দোকান বন্ধসহ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
জরুরী সেবা দানকারী প্রতিষ্ঠান, পরিবহন লকডাউনের আওতামুক্ত। হোটেল রেস্তোরাঁর খাবার পার্সেল, অনলাইনে হোম ডেলেভারী প্রদান করা যাবে।
এদিকে লকডাউনে পৌরবাসীকে শতর্ক করতে মাঠে নেমেছেন ইউএনও এবং সদর ভূমি সহকারী কর্মকর্তা তাহমিনা আক্তার। তারা দুজনে কররোনা প্রতিরোধে শহরের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানসহ অটোরিকশা, ট্রাক, বাস, টেম্পোস্ট্যান্ডে প্রচারনা চালাচ্ছেন।
এদিকে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা লিটুস লরেন্স চিরান ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) তাহমিনা আক্তার জামালপুর শহরের দয়াময়ী, তমালতলা, সকাল বাজার ও ফৌজদারি এলাকায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন। এ সময় বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, যানবাহন চালক-যাত্রী ও পথচারীদের মাস্ক না পরার দায়ে ১৮ হাজার টাকা জরিমানা করেন
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা লিটুস লরেন্স চিরান বলেন, সাধারণ মানুষের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি ও মাস্ক পরা বাধ্যতামূলকসহ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে জেলা প্রশাসকের নির্দেশে এ অভিযান চলছে।
সহকারী কমিশনার ভূমি তাহমিনা আক্তার বলেন, করোনার প্রাদুর্ভাব কমে না আসা পর্যন্ত এ অভিযান অব্যাহত থাকবে।