ঝিনাইগাতীতে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করলেন উপজেলা চেয়ারম্যান-ইউএনও

প্রকাশিত: ১০:১০ পূর্বাহ্ণ, জুলাই ৪, ২০২১

ঝিনাইগাতী (শেরপুর) প্রতিনিধি : শেরপুরের ঝিনাইগাতীতে পাহাড়ি ঢলের পানি নেমে যাওয়ার সাথে সাথে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ বৃদ্ধি পাচ্ছে। গত কয়েকদিনের অবিরাম বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের পানিতে উপজেলার ৭টি ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়। সোমেশ্বরী, মহারশি ও কালঘোষা নদীর পানি বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়।
এছাড়া মহারশি নদীর রামনগর, দিঘীরপাড় বন্যা নিয়ন্ত্রন বাঁধ ভেঙ্গে ওই ভাঙ্গা অংশ দিয়ে প্রবল বেগে পানি প্রবেশ করে ভাটি অঞ্চলের প্রায় ৩০টি গ্রামের শতশত মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়ে। মালিঝি নদীর পাগলারমুখ বাজারের দক্ষিণ পাশে কামারপাড়া যাতায়াতের রাস্তার বেড়িবাঁধের পুরোনো ভাঙ্গা অংশ দিয়ে পানি প্রবেশ করে হাতিবান্ধা ইউনিয়নের ১০টি গ্রামের মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়ে। ঢলের পানিতে তলিয়ে অর্ধশতাধিক পুকুরের মাছ ভেসে গেছে। কৃষকদের আমন বীজতলা পানিতে নিমজ্জিত হয়ে পড়েছে। ঢলের পানির তোড়ে রাস্তাঘাট বিধ্বস্ত হয়ে যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। ইতোমধ্যে পাহাড়ি ঢলের পানি উজান থেকে নেমে যাওয়া শুরু করলেও ভাটি এলাকাগুলোতে পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। এতে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে পানিবন্দি হয়ে পড়া শতশত মানুষের। গবাদিপশু নিয়ে বিপাকে রয়েছেন কৃষকরা। ৩ জুলাই শনিবার উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ্ব এসএম আব্দুল্লাহেল ওয়ারেজ নাইম, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফারুক আল মাসুদ, সহকারী কমিশনার (ভূমি) জয়নাল আবেদীন, উপজেলা প্রকৌশলী মোঃ মোজাম্মেল হক, ঝিনাইগাতী সদর ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আব্দুল কুদ্দুসসহ প্রশাসনের অন্যান্য কর্মকর্তারা ঢলের পানিতে বিধ্বস্ত বেড়িবাঁধ এলাকার দিঘীরপাড়, রামনগর, পাগলারমুখ, বাগেরভিটা, রামেরকুড়াসহ বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন করেন। ওইসময় উপজেলা চেয়ারম্যান এসএম আব্দুল্লাহেল ওয়ারেজ নাইম জনগনের দুর্ভোগ লাঘবে বিধ্বস্ত রাস্তাঘাট দ্রুত সংস্কারের জন্য সংশ্লিষ্ট অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দেন।