জোরপূর্বক গোরস্থানের জমি দখলের অভিযোগ

প্রকাশিত: ৫:৩০ অপরাহ্ণ, আগস্ট ২১, ২০২১

জামালপুর প্রতিনিধি : জামালপুর সদর উপজেলার তিতপল্লা ইউনিয়নের চরশী মুন্সিপাড়া সামাজিক কবর স্থানের নামে (ওয়াক্ফকৃত) জমি প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে জোরপূর্বক দখলের অভিযোগ উঠেছে।
জানা যায়, বাংলাদেশ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত সহকারী প্রধান শিক্ষক মো. আবুল হোসেন মাস্টার ও তার সহধর্মিনী ফিরোজা বেগমের নামে পর্চার সাবেক ৬৯১ নং দাগ, বিআরএস নং- ১৬৬২ দাগ ২২ শতাংশ এবং সাবেক ৬৯০নং দাগ, বিআরএস নং-১৬৬১ দাগে ১০ শতাংশ মোট ৩২ শতাংশ জমি থেকে ২৪ শতাংশ জমি চরশী মুন্সিপাড়া সামাজিক কবর স্থানের নামে জামালপুর সদর সাবরেজিষ্ট্রি ২৮০২, তাং-০৮-০২-২১ইং দলিলমূলে ওয়াক্ফ করে দেন। একই সাথে কবরস্থানের নামে ওয়াক্ফকৃত জমি স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের সাথে নিয়ে সাইনবোর্ড লাগানো হয়। পরবর্তীতে ওই কবরস্থানের জমি আবুল হোসেন মাস্টারের ছোট ৫ ভাই মতিউর রহমান, নুরুল ইসলাম, আব্দুল মোতালেব, আব্দুল্লাহ আল রতন ও আব্দুল মালেক স্বপন মিলে ওই কবরস্থানের জমি তাদের বলে দাবি করেন এবং তারা তাদের ৫ ভাইয়ের নামে সাইনবোর্ড ও চারিদিকে বাঁশের বেড়া দিয়ে জোরপূর্বক দখল করে। বিষয়টি নিয়ে স্থানীয়ভাবে দফায় দফায় শালিস বৈঠক করা হলেও কোন সমাধান আসেনি। পরবর্তীতে জামালপুর সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) বরাবর ওয়াক্ফকৃত জমি চৌহদ্দি নির্ধারনের জন্য আবেদন করেন আবুল হোসেন মাস্টার। কিন্তু তাতেও কোন মিমাংসা হয়নি।
এ ব্যাপারে ভুক্তভোগী অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক আবুল হোসেন মাস্টার জানান, আমি ও আমার সহধর্মিনী ফিরোজা বেগম ৩২ শতাংশ জমি থেকে ২৪ শতাংশ জমি চরশী মুন্সিপাড়া কবরস্থানের নামে ওয়াক্ফ করে দেয়। ওই জমি নিচু থাকায় সেখানে প্রায় ২ লাখ টাকা খরচ করে সেখানে মাটি দিয়ে ভরাট করি। মাটি ভরাট করার পর থেকে আমার ছোট ভাইয়েরা ওই জমি তাদের দখলে নেওয়ার জন্য বিভিন্ন টালবাহানা শুরু করেন। এক পর্যায়ে তারা তাদের নামে সাইনবোর্ড ও বাঁশের বেড়া দেয়।
আবুল হোসেন মাস্টার বলেন, আমার দুটি মাত্র ছেলে সন্তান তারা প্রতিবন্ধী। এই সুযোগটা তারা কাজে লাগিয়ে আমার ক্রয়কৃত জমি জোরপূর্বক দখলের পায়তারা করছে। আমি সুষ্ঠ বিচারের দাবি জানাচ্ছি।
এ ব্যাপারে প্রতিপক্ষ আব্দুল্লাহ আল রতন বলেন, বিরোধকৃত ১৮ শতাংশ জায়গা আমার বাবা মৃত ময়েন উদ্দিন আমাদের ৫ ভাইয়ের নামে লিখে দিয়ে গেছেন। কিন্তু আমাদের বড় ভাই আবুল হোসেন মাস্টার দীর্ঘদিন ধরে আমাদের না জানিয়ে ভোগদখল করে আসছেন। পরবর্তীতে আমরা জানতে পেরে সেই জায়গায় দখলে গেছি।