জামালপুর প্রতিনিধি : জামালপুরে সমাজসেবা অধিদফতর ও প্রগতি সমাজ উন্নয়ন সংস্থা কর্তৃক আয়োজিত এক প্রশিক্ষণ কোর্সের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি না থাকায় চরম ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. মুরাদ হাসান। ওইসময় উপস্থিত আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরাও তার বক্তব্য সমর্থন করে হট্টগোল করেন। ওই উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নান।

ওইসময় তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান তার বক্তব্যের শুরুতেই চরম ক্ষুব্দ হন। তিনি বলেন, ‘মহান মুক্তিযুদ্ধের স্থপতি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি না থাকলে আমরা কোন অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করি না।’ তিনি কড়া ভাষায় প্রশ্ন করেন, কাদের সাথে আলোচনা করে এই ব্যানার তৈরি করা হয়েছে, আপনারাই ভাল জানেন। এই বলে তিনি বক্তব্য থেকে বিরত থাকেন।
সেই সাথে ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান দুলালও ক্ষোভ প্রকাশ করেন। আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আলহাজ্ব মির্জা আজম (এমপি) বলেন, যারা প্রকল্প পাস করান এবং এ ধরনের অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে মনের ভিতরে ধারণ করেন না তারা কখনো বঙ্গবন্ধুর ছবি ব্যানারে নিয়ে আসতে পারে না।

তিনি আরও বলেন, এই প্রকল্পটির এনজিওর মানুষগুলো কোন মতাদর্শের তা খতিয়ে দেখা দরকার। এদিকে দর্শক সারি থেকে প্রচুর ক্ষোভে ফেটে উঠে হইচই শুরু হয়ে যায়। এসময় পরিকল্পনা মন্ত্রী এম. এ. মান্নান বলেন, বাংলাদেশের জন্য প্রয়োজন শেখ হাসিনার, বাংলাদেশের জন্য প্রয়োজন আওয়ামী লীগের। আওয়ামী লীগের বাংলাদেশ মুদ্রার এপিঠ-ওপিঠ। আওয়ামী লীগকে বাংলাদেশ থেকে বিচ্ছিন্ন করা যাবে না।
২৭ আগস্ট শুক্রবার বিকেলে জামালপুর মির্জা আজম অডিটোরিয়ামে সমাজসেবা অধিদফতর ও প্রগতি সমাজ উন্নয়ন সংস্থা কর্তৃক আয়োজিত ওই প্রশিক্ষণ কোর্সের উদ্বোধনীতে সভাপতিত্বে করেন জেলা প্রশাসক মোর্শেদা জামান।
বিশেষ অতিথি হিসেবে তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী ডা. মো: মুরাদ হাসান, ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান দুলাল, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম এমপি, সদর আসনের সাংসদ মো. মোজাফফর হোসেন, অতিরিক্ত সচিব ও জাতীয় প্রকল্প পরিচালক, সাইফুল ইসলাম, পুলিশ সুপার নাছির উদ্দিন আহমেদ উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া অন্যান্য নেতৃবৃন্দদের মধ্যে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাড. মুহাম্মদ বাকী বিল্লাহ, জামালপুর পৌরসভার মেয়র ছানোয়ার হোসেন ছানু প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।