ভারতে আটক পুলিশ কর্মকর্তা সোহেলকে দেশে ফিরিয়ে আনা হবে: ডিএমপি কমিশনার

প্রকাশিত: ১:৪৩ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ৫, ২০২১

গ্রাহকের টাকা আত্মসাতে অভিযুক্ত ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ই-অরেঞ্জের কথিত পৃষ্ঠপোষক বনানী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সোহেল রানাকে দেশে ফিরেয়ে আনা হবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলাম। ৫ সেপ্টেম্বর রবিবার দুপুরে সাড়ে ১২টার দিকে ডিএমপি কমিশনার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, ‘যেহেতু ভারতে মামলা হয়েছে, এ কারণে তাকে ফিরিয়ে আনা যাবে কি-না সেটি নিশ্চিত নয়। তবে ফিরিয়ে আনার রাস্তা রয়েছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে বিএসএফকে চিঠি দিয়ে ফিরিয়ে আনা সম্ভব। এটি অনেক সময় করা হয়। আমরা চেষ্টা করছি, ফিরিয়ে আনার জন্য। যদি এ মাধ্যমে ফিরিয়ে আনা সম্ভব না হয়, তাহলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে তাকে ফেরত আনার চেষ্টা করা হবে।’
ডিএমপি কমিশনার আরও বলেন, ‘তার (পরিদর্শক সোহেল রানা) ব্যাপারে গুলশান বিভাগ পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। প্রতিবেদন পেলে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
এর আগে, শুক্রবার (৪ সেপ্টেম্বর) ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) সদস্যরা পশ্চিমবঙ্গের কোচবিহারের চ্যাংড়াবান্ধা সীমান্ত থেকে সোহেল রানাকে আটক করে। শনিবার (৪ সেপ্টেম্বর) ভারতীয় একটি সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়, অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশের অভিযোগে চ্যাংড়াবান্ধা সীমান্ত থেকে সোহেল রানা নামে এক বাংলাদেশিকে আটক করেছে বিএসএফ। তার কাছ থেকে জব্দ করা বিদেশি পাসপোর্ট, একাধিক মোবাইল ও এটিএম কার্ড বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, সোহেল রানার বিরুদ্ধে বাংলাদেশে অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়ানোর অভিযোগ রয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে বিষয়টি জানতে পেরেছে বিএসএফ। প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে, গা ঢাকা দেওয়ার জন্য অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশ করেছেন সোহেল রানা। বিষয়টি খতিয়ে দেখতে বিএসএফ কর্মকর্তারা তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন।
এদিকে, সোহেল রানার আটকের বিষয়ে এখনো বাংলাদেশকে আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানায়নি বিএসএফ।
বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) পরিচালক (অপারেশন্স) লেফটেন্যান্ট কর্নেল ফয়জুর রহমান বলেন, ‘আমরা বিএসএফের কাছ থেকে এখন পর্যন্ত এ ধরনের কোনো তথ্য পায়নি। তবে শুনেছি, পুলিশ কর্মকর্তা সোহেল রানা ভারতে আটক হয়েছেন। যদি সত্যিই তিনি আটক হন, তাহলে এ বিষয়ে পুলিশ সদরদপ্তর ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে বিস্তারিত জানা যাবে।’
গুলশান বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) মো. আসাদুজ্জামান বলেন, ‘গত বৃহস্পতিবার বনানী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সোহেল রানা অফিস করেছেন। শুক্রবার ছুটি থাকায় তিনি অফিস করেননি। কীভাবে তিনি ভারতে গেলেন, কেন গেলেন বিষয়টি পরিষ্কার নয়। আটকের বিষয়টি আমরাও শুনেছি, তবে এখনো কেউ নিশ্চিত করেনি। আমরা খোঁজ নিচ্ছি।’