৬ মাসের বেশি শিক্ষকদের বরখাস্ত রাখা যাবে না: হাইকোর্ট

প্রকাশিত: ৩:৪৯ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ৯, ২০২১

বেসরকারি স্কুল-কলেজ ও মাদরাসার শিক্ষকদের ছয় মাসের বেশি সাময়িক বরখাস্ত রাখা যাবে না বলে রায় দিয়েছেন হাইকোর্ট। এই সময়ের বেশি বরখাস্ত করে রাখলে ওই আদেশ বাতিল বলে গণ্য হবে জানিয়েছেন আদালত। ১৪ বছর আগে সাময়িক বরখাস্ত হওয়া মাগুরার স্কুলশিক্ষক বাদশা মিয়ার করা রিটের ওপর জারি করা রুলের চূড়ান্ত শুনানি নিয়ে ৯ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার হাইকোর্টের বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত ভার্চুয়াল বেঞ্চ এই রায় দেন।
আদালতে আজ রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী অ্যাডভোকেট মো. হুমায়ুন কবির। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিপুল বাগমার। রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেন রিটকারী আইনজীবী অ্যাডভোকেট মো. হুমায়ুন কবির।

তিনি বলেন, সাময়িক বরখাস্ত হওয়া মাগুরার স্কুলশিক্ষক বাদশা মিয়ার পক্ষে আমরা ২০১৭ সালে রিট করেছিলাম। ওই রিটের শুনানি নিয়ে বেসরকারি শিক্ষদের বহিষ্কার বিষয়ে রুল জারি করেছিলেন হাইকোর্ট। ওই রুলের চূড়ান্ত শুনানি নিয়ে আজ দেশের বেসরকারি স্কুল-কলেজ ও মাদরাসার শিক্ষকদের ছয় মাসের বেশি সাময়িক বরখাস্ত করে রাখা যাবে না বলে রায় দিয়েছেন। রায়ে আদালত বলেছেন, কোনো শিক্ষককে এই সময়ের বেশি বরখাস্ত করে রাখলে ওই আদেশ বাতিল বলে গণ্য হবে।
অ্যাডভোকেট হুমায়ন কবির আরও বলেন, বেসরকারি শিক্ষকদের সাময়িক বরখাস্ত রাখার বিষয়ে আগে সুনির্দিষ্ট কোনো মেয়াদ ছিল না। এই রায়ের ফলে ছয় মাসের সময় নির্ধারণ হলো। এখন কোনো অভিযোগে শিক্ষকদের বরখাস্ত করলে ছয় মাসের মধ্যে সেটি নিষ্পত্তি করতে হবে। অন্যথায় ছয় মাস পর সাময়িক বরখাস্ত আর কার্যকর থাকবে না। তবে হাইকোর্টের লিখিত রায়ের পূর্ণাঙ্গ অনুলিপি প্রকাশের পর এই রায়ের বিষয়ে আরও বিস্তারিত বলা যাবে।
তিনি জানান, মাগুরা উপজেলা সদরের বাহারবাগ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মো. বাদশা মিয়াকে অতিরিক্ত বেতন নেওয়ার অভিযোগে ২০০৭ সালে সামরিক বরখাস্ত করা হয়। দীর্ঘদিন এ অভিযোগের নিষ্পত্তি না করায় ২০১৭ সালে বাদশা মিয়া হাইকোর্টে রিট করেন। পরে আদালত রুল জারি করেন। বৃহস্পতিবার এই রুল নিস্পত্তি করে রায় দিলেন উচ্চ আদালত।