সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে উসকানির অভিযোগে সু চির ৪ বছরের কারাদণ্ড অনলাইন ডেস্ক অনলাইন ডেস্ক প্রকাশিত: ৩:৫৬ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ৬, ২০২১ সেনাবাহিনীর অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত ও গৃহবন্দি মিয়ানমারের গণতন্ত্রপন্থি নেত্রী অং সান সু চিকে চার বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন দেশটির একটি আদালত। সোমবার (৬ ডিসেম্বর) জান্তাশাসিত দেশটির একটি আদালত এই রায় ঘোষণা করেন। সোমবার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স। কার্যত সরকারের শীর্ষ পদ থেকে ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার ১১ মাসের মাথায় তার বিরুদ্ধে দেওয়া প্রথম কোনো রায়ে এই কারাদণ্ডাদেশ দেওয়া হলো। সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে উসকানি দিয়ে উত্তেজনা সৃষ্টি এবং কোভিড-১৯ প্রোটোকল লঙ্ঘনের মাধ্যমে জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা আইন ভাঙার দায়ে সু চিকে এই কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। মিয়ানমারের আইন অনুযায়ী এই অভিযোগে অভিযুক্ত কোনো ব্যক্তিকে যথাক্রমে সর্বোচ্চ দুই ও তিন বছরের কারাদণ্ড দেওয়ার বিধান রয়েছে। এদিকে রায়ের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একটি সূত্র রয়টার্সকে জানিয়েছে, সোমবার ঘোষণা করা এই রায়ে সু চির পাশাপাশি মিয়ানমারের ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্ট এবং সহ-আসামী উইন মিন্টকেও একই মেয়াদে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। এর আগে গত ৩০ নভেম্বর এই রায় ঘোষণার কথা থাকলেও শেষ মুহূর্তে তা স্থগিত করা হয়। সেদিন সু চির বিরুদ্ধে মামলার রায় ঘোষণার কথা থাকলেও বাড়তি আরেক ব্যক্তির সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য নির্ধারিত সময়ের কিছু আগে তা স্থগিত ঘোষণা করা হয়। চলতি বছর ১ ফেব্রুয়ারি অভ্যুত্থানের মাধ্যমে মিয়ানমারে ক্ষমতাসীন গণতান্ত্রিক সরকারকে হটিয়ে জাতীয় ক্ষমতা দখল করে দেশটির সামরিক বাহিনী। বন্দি করা হয় গণতন্ত্রপন্থী নেত্রী অং সান সু চি ও তার দল ন্যাশনাল লীগ ফর ডেমোক্র্যাসির (এনএলডি) বিভিন্ন স্তরের কয়েক হাজার নেতাকর্মীকে। অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতা হারানোর পর মিয়ানমারের সাবেক শীর্ষ নেতৃত্বের বিরুদ্ধে এটিই প্রথম কোনো মামলার রায়। অভ্যুত্থানের পর ৭৬ বছর বয়সী গৃহবন্দি সু চির বিরুদ্ধে এক ডজন মামলা দায়ের করে ক্ষমতাসীন সামরিক সরকার। মামলাগুলো যেসব অভিযোগে করা হয়েছে তার মধ্যে, রাষ্ট্রের গোপন তথ্য পাচার, নিয়মবহির্ভূতভাবে ওয়াকি টকি রাখা ও ব্যবহার, ক্ষমতায় থাকাকালে ঘুষ গ্রহণ, নিজের দাতব্যসংস্থার নামে অবৈধভাবে ভূমি অধিগ্রহণ ও করোনা পরিস্থিতি সামাল দেওয়ায় গাফিলতিসহ উত্তেজনা সৃষ্টি এবং কোভিড-১৯ প্রোটোকল লঙ্ঘনের মাধ্যমে জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা আইন ভাঙার বিষয়টি রয়েছে। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে ক্ষমতাচ্যুত হলেও মূলত গত জুন থেকে রাজধানী নেইপিদোর বিশেষ সামরিক আদালতে এসব মামলার বিচার কার্যক্রম শুরু হয়। রয়টার্স বলছে, এসব মামলায় সু চির সর্বোচ্চ শাস্তি হলে মোট কারাদণ্ডের মেয়াদ ১০০ বছর ছাড়িয়ে যেতে পারে। তবে গণতন্ত্রপন্থি নেত্রী অং সান সু চি এবং দেশটির সাবেক প্রেসিডেন্ট উইন মিন্ট তাদের বিরুদ্ধে আনা সকল অভিযোগ অস্বীকার করেছিলেন। Related posts:ফিলিপাইনে সেনাবাহিনীর বিমান বিধ্বস্তে নিহত বেড়ে ৫০গাজায় ইসরায়েলের অব্যাহত হামলায় নিহত আরও অর্ধশতাধিক ফিলিস্তিনিইরানের প্রথম প্রেসিডেন্ট আবোলহাসান বনিসদর আর নেই Post Views: ২৪২ SHARES আন্তর্জাতিক বিষয়: