‘মর্টার শেল নিক্ষেপের বিষয়টি নিয়ে প্রয়োজনে জাতিসংঘে যাব’

প্রকাশিত: ৫:৫১ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ১৭, ২০২২

বাংলাদেশ ভূখণ্ডের ভেতরে মিয়ানমারের মর্টারশেল ছোড়ার বিষয়ে প্রয়োজনে জাতিসংঘে উত্থাপন করা হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। ১৭ সেপ্টেম্বর শনিবার সকালে রাজধানীর ধানমন্ডিতে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি।

মন্ত্রী বলেন, মিয়ানমার ইস্যুতে বাংলাদেশ যুদ্ধ চায় না, শান্তিপূর্ণ সমাধান চায়। তবে কাজ না হলে জাতিসংঘে জানানো হবে।
বাংলাদেশের পক্ষ থেকে চেষ্টা অব্যাহত থাকবে জানিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, তাদের গুলি তাদের সীমানায় থাকা উচিত। তাদের বিজিপি বাহিনীর সঙ্গে সবসময় যোগাযোগ হচ্ছে।
মিয়ানমার সেনাবাহিনীর নির্যাতনের শিকার হয়ে পাঁচ বছর আগে ২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করেছিল লাখ লাখ রোহিঙ্গা। মানবিক কারণে সরকার এই জনগোষ্ঠীকে আশ্রয় দিলেও এখন তারা গলার কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছে। রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে ফেরাতে সরকার নানা তৎপরতা চালালেও পাঁচ বছরেও তাদের নিজভূমে পাঠানো সম্ভব হয়নি। শুরুর দিকে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন নিয়ে কিছুটা আলাপ-আলোচনা হলেও মিয়ানমার সরকারের কারণে সেই প্রত্যাবাসনের বিষয়টি আলোর মুখ দেখছে না।
রোহিঙ্গাদের নিয়ে এমন সংকটের মধ্যেই নতুন করে আলোচনার জন্ম দেয় বাংলাদেশের ভূখণ্ডে মিয়ানমারের গোলাবর্ষণের ঘটনা। যার শুরু গত ২৮ আগস্ট। সেদিন দুপুরের পর বান্দরবানের তমব্রু সীমান্তে মিয়ানমার থেকে ছোড়া দুটি মর্টার শেল পড়ে থাকতে দেখা যায়। তবে এতে হতাহতের ঘটনা না হলেও ওই এলাকায় আতঙ্ক সৃষ্টি হয়।
ঘটনার পর কড়া জবাব দেয় ঢাকা। মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূত অং কিউ মোয়েকে ২৯ আগস্ট বিকেলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ডেকে এনে নোট ভারবালের মাধ্যমে এই প্রতিবাদ জানানো হয়। সেইসঙ্গে ভবিষ্যতে যেন এমন ঘটনা না ঘটে তাকে সতর্ক করা হয়। ওই ঘটনার পর ফের কয়েকবার বান্দরবান সীমান্তবর্তী এলাকায় মর্টার শেল পড়ার খবর পাওয়া যায়। এতে হতাহতেরও ঘটনা ঘটে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, মর্টার শেল নিক্ষেপের ঘটনায় বাংলাদেশের পক্ষ থেকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় পর্যায়ে হুঁশিয়ারি দেওয়া হলেও তারা কথা দিয়ে কথা রাখেনি।
মিয়ানমার ভবিষ্যতে সংযত থাকবে এমন আশাবাদ ব্যক্ত করে আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, কোনো উস্কানিতেই বাংলাদেশ যুদ্ধে জড়াবে না।