নালিতাবাড়ীতে বৃষ্টি প্রার্থনায় শিক্ষার্থীদের ব্যতিক্রমী বৃষ্টি বন্দনা

প্রকাশিত: ৮:১৬ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ২৯, ২০২৪

প্রচন্ড তাপদাহে পুড়ছে দেশ। গরমে একটু স্বস্তি পেতে বৃষ্টির আশায় রয়েছেন সাধারণ মানুষ। বৃষ্টির প্রার্থনায় ইস্তিস্কার নামাজসহ বিভিন্ন উপাসনালয়ে চলছে বিশেষ প্রার্থনা। এমন সময় লোকজ সংস্কৃতি ও বাঙালি ঐতিহ্যকে ধারণ করে ব্যতিক্রমী আয়োজনে বৃষ্টি বন্দনা করেছেন শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার শিক্ষার্থীরা।

‘আল্লাহ মেঘ দে পানি দে, ছায়া দেরে তুই আল্লাহ……’- আব্বাস উদ্দীনের এই গানের সুর ধরে গান গেয়ে শেরপুরের নালিতাবাড়ীতে শিক্ষার্থীরা বৃষ্টির জন্য বিশেষ প্রার্থনা করেছে। ২৯ এপ্রিল সোমবার সকালে পৌরশহরের সেঁজুতি বিদ্যানিকেতন অঙ্গনে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ফসলের মাঠে বৃষ্টির বন্দনা করেন।
সকালে বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে পানি ভর্তি বালতির চারপাশে হাঁটু গেঁড়ে সারা শরীরে কাদা মেখে মাটি চাপড়ে আর দু’হাত আকাশের দিকে তুলে শিক্ষার্থীরা সৃষ্টিকর্তার কাছে বৃষ্টি প্রার্থনা করে শিক্ষার্থীরা। এসময় শিক্ষার্থীরা পানি ছিটিয়ে দলবেঁধে নাচের তালে লোকজ সংস্কৃতির জনপ্রিয় ওই গান ধরেন। ব্যতিক্রমী এই আয়োজনে বিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকসহ প্রায় শতাধিক মানুষ উপস্থিত ছিলেন৷
শিক্ষার্থী অবন্তী বলেন,তাপদাহে জনজীবন শেষ, অনেকদিন বৃষ্টি হয় না।সকলের সহযোগীতায় আমাদের পূর্বপুরুষদের রীতি অনুযায়ী বৃষ্টির জন্য এই প্রার্থনা করা হয়।
নবরূপী ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক গোষ্ঠীর সভাপতি জয়জিৎ দত্ত শ্যামল বলেন, ছোটবেলা থেকেই দেখে আসছি বৃষ্টির জন্য কাদা মাখিয়ে আল্লার কাছে বৃষ্টি চাওয়ার লোকজ সংস্কৃতি।এই লোকজ সংস্কৃতির উৎসব পালন করতে দেখা যায় না। শিক্ষার্থীদের এই আয়োজনে মুগ্ধ হয়েছি।
নালিতাবাড়ী উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ফারুক আহমেদ বকুল বলেন, বৃষ্টির দেখা না পেলে বাংলার বিভিন্ন ধর্ম-বর্ণ ও সম্প্রদায়ের মানুষ বৃষ্টির জন্য আদি সংস্কৃতি ও লোকজ সংস্কৃতি অনুযায়ী নানা নিয়মাচার ও লোকাচার পালন করত। আজ দীর্ঘদিন পর শিক্ষার্থীদের এই আয়োজনে বাঙালী সংস্কৃতি ফিরে পেলাম।
বিদ্যালয়টির প্রিন্সিপাল মুনীরুজ্জামান বলেন, লোকজ সংস্কৃতি নতুন প্রজন্মের মাঝে ছড়িয়ে দিয়ে সৃষ্টিকর্তার কাছে বৃষ্টি প্রার্থনা করতেই আমাদের এই আয়োজন।