আরও ৮০ ফিলিস্তিনি নিহত, গাজায় বাড়ছে অনাহারে মৃত্যু

প্রকাশিত: ৯:৫১ পূর্বাহ্ণ, জুলাই ২৯, ২০২৫

আন্তর্জাতিক সব আইন লঙ্ঘন করে ফিলিস্তিনের গাজায় হামলা অব্যাহত রেখেছে ইসরায়েল। এতে আরও ৮০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। খবর আলজাজিরার।

এদিকে গুলি-বোমা ছাড়াও অনাহারে প্রাণহানি বাড়ছে। উপত্যকাটিতে অনাহারে নতুন করে আরও ১৪ ফিলিস্তিনি মারা গেছেন। তাদের মধ্যে দুজন শিশু। এ নিয়ে অপুষ্টিজনিত কারণে এখন পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৪৭ জনে। যাদের মধ্যে ৮৮ জনই শিশু।
মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাতে আলজাজিরা জানায়, গত ২৪ ঘণ্টায় (সোমবার) এসব প্রাণহানি ঘটে। তবে প্রকৃত সংখ্যা আরও বেশি। কারণ, অনেক আহত-নিহতকে হাসপাতালে আনা সম্ভব হয়নি। এ ছাড়া ধ্বংসস্তূপেরও নিচেও অনেকে আটকা পড়ে আছেন। তাদের সংখ্যাও তালিকাভুক্ত নয়।
এদিকে কিছুটা স্বস্তির খবর হলো, গাজার ভয়াবহ মানবিক সংকট এবং ক্রমবর্ধমান আন্তর্জাতিক চাপের মুখে অবশেষে প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময়ের জন্য যুদ্ধবিরতির ঘোষণা দিয়েছে ইসরায়েল। ঘোষণায় বলা হয়েছে, তারা প্রতিদিন নির্দিষ্ট কিছু এলাকায় ১০ ঘণ্টার জন্য সামরিক অভিযান স্থগিত রাখছে এবং নতুন ত্রাণ করিডর চালু করেছে।
রয়টার্সের খবরে বলা হয়, ইসরায়েলি সেনাবাহিনী জানিয়েছে, প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা ৮টা পর্যন্ত (স্থানীয় সময়) আল-মাওয়াসি, মধ্যাঞ্চলের দেইর আল-বালাহ এবং উত্তরের গাজা শহরে সামরিক তৎপরতা বন্ধ রাখা হবে। এই অঞ্চলগুলোকে ‘মানবিক এলাকা’ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।
ইসরায়েলের এই ঘোষণার মধ্যেই জর্ডান ও সংযুক্ত আরব আমিরাত গাজায় বহুদিন পর আবারও আকাশপথে ত্রাণ সরবরাহ শুরু করেছে। জর্ডান সরকার জানিয়েছে, তারা এবং সংযুক্ত আরব আমিরাত যৌথভাবে প্রথম দফায় গাজায় ২৫ টন খাদ্য ও চিকিৎসা সহায়তা প্যারাশুটের মাধ্যমে পাঠিয়েছে। তবে জর্ডান স্পষ্ট করে দিয়েছে, এই এয়ারড্রপ কোনোভাবেই সড়কপথে ত্রাণ পৌঁছানোর বিকল্প নয়।