চাঁদাবাজির অভিযোগে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ৪ জন ৭ দিনের রিমান্ডে অনলাইন ডেস্ক অনলাইন ডেস্ক প্রকাশিত: ৫:৩৭ অপরাহ্ণ, জুলাই ২৭, ২০২৫ সাবেক সংসদ সদস্য শাম্মী আহমেদের গুলশানের বাসায় চাঁদাবাজির অভিযোগে গ্রেপ্তার চারজনের সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। রোববার (২৭ জুলাই) ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. জিয়াদুর রহমান শুনানি শেষে তাদের এ রিমান্ড মঞ্জুর করেন। অভিযুক্তদের মধ্যে রয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সম্মিলিত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক আব্দুর রাজ্জাক রিয়াদ। রিমান্ডে পাঠানো বাকি তিনজন হলেন- সাকাদাউন সিয়াম, সাদমান সাদাব এবং মো. ইব্রাহিম হোসেন। এদিন বিকেল ৪টার পর অভিযুক্ত চারজনকে আদালতে হাজির করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গুলশান থানার পরিদর্শক মোখলেছুর রহমান। অভিযোগের সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে তিনি প্রত্যেকের ১০ দিন করে রিমান্ড আবেদন করেন। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন শামসুদ্দোহা সুমন। এ সময় বিএনপিপন্থি একাধিক আইনজীবীও রাষ্ট্রপক্ষের পক্ষে সহায়তা করে আসামিদের সর্বোচ্চ রিমান্ড চেয়ে যুক্তি উপস্থাপন করেন। অন্যদিকে, আসামিপক্ষের আইনজীবীরা রিমান্ড বাতিল ও জামিনের আবেদন করেন। দুই পক্ষের শুনানি শেষে আদালত আসামিদের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে প্রত্যেকের সাত দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এর আগে রোববার সিদ্দিক আবু জাফর বাদী হয়ে গুলশান থানায় চাঁদাবাজির অভিযোগে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলায় মোট ছয়জনকে আসামি করা হয়। প্রধান আসামি আব্দুর রাজ্জাক রিয়াদ ছাড়াও অন্য আসামিরা হলেন- কাজী গৌরব অপু, সাকাদাউন সিয়াম, সাদমান সাদাব, মো. ইব্রাহিম হোসেন, আইনের সংঘাতে জড়িত একজন কিশোর ও মো. আমিনুল ইসলাম। মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, গত ১৭ জুলাই সকাল ১০টার দিকে আসামি আব্দুর রাজ্জাক রিয়াদ ও কাজী গৌরব অপু গুলশানের ৮৩ নম্বর রোডে সাবেক সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংসদ সদস্য শাম্মি আহমেদের বাসায় যান। সেখানে তারা হুমকি-ধমকি দিয়ে ৫০ লাখ টাকা ও স্বর্ণালঙ্কার দাবি করেন। টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে তারা শাম্মি আহমেদকে ‘আওয়ামী লীগের দোসর’ আখ্যা দিয়ে পুলিশ দিয়ে গ্রেপ্তারের ভয় দেখান এবং টাকার জন্য চাপ দিতে থাকেন। একপর্যায়ে মামলার বাদী সিদ্দিক আবু জাফর বাধ্য হয়ে নিজের কাছে থাকা নগদ পাঁচ লাখ টাকা এবং ভাইয়ের কাছ থেকে আরও পাঁচ লাখ টাকা নিয়ে আসামিদের দেন। এতে বলা হয়, এরপর ১৯ জুলাই রাত সাড়ে ১০টার দিকে রিয়াদ ও অপু বাদীর বাসায় গিয়ে তার ফ্ল্যাটের দরজায় জোরে ধাক্কা দেন। বিষয়টি তাৎক্ষণিকভাবে গুলশান থানায় জানানো হলে আসামিরা সেখান থেকে চলে যান। পরবর্তীতে ২৬ জুলাই বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে রিয়াদের নেতৃত্বে অন্যান্য আসামিরা ফের বাদীর বাসার সামনে গিয়ে তাকে খুঁজতে থাকে। দারোয়ান মোবাইল ফোনে বিষয়টি জানালে বাদী উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন। তখন আসামিরা হুমকি দেয়- দাবি করা বাকি ৪০ লাখ টাকা না দিলে তাকে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হবে। এ ঘটনায় গুলশান থানা পুলিশকে আবারও জানানো হলে তাৎক্ষণিকভাবে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পাঁচজন আসামিকে হাতেনাতে গ্রেপ্তার করে। এ সময় এজাহারভুক্ত আসামি কাজী গৌরব অপু দৌড়ে পালিয়ে যান। Related posts:ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে সামি-তাসনীমসহ ৭ জনের বিচার শুরুজামিন পেলেন সেই ম্যাজিস্ট্রেট তাবাসসুম উর্মিসুপ্রিম কোর্টে দুই পক্ষের আইনজীবীদের হাতাহাতি, ভাঙচুর Post Views: ৪৪ SHARES আইন-আদালত বিষয়: