শ্রীবরদীতে ভ্রাম্যমান আদালতের উপর হামলা! আহত বিজিবি ও পুলিশের ৪ সদস্য অনলাইন ডেস্ক অনলাইন ডেস্ক প্রকাশিত: ৭:৫২ অপরাহ্ণ, আগস্ট ৪, ২০২১ শ্রীবরদী (শেরপুর) প্রতিনিধি : শেরপুর জেলার শ্রীবরদী উপজেলার ঝগড়ারচর বাজারে করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে সরকার ঘোষিত কঠোর বিধিনিষেধ বাস্তবায়নের ভ্রাম্যমান আদলত পরিচালনার সময় প্রশাসনের উপর হামলার ঘটনা ঘটে। ব্যবসায়ী ও স্থানীয়দের হামলায় বিজিবির ২ ও পুলিশের ২ সদস্য আহত হয়েছেন। ৪ আগষ্ট বুধবার দুপুরে উপজেলার ঝগড়ারচর বাজারে ওই ঘটনা ঘটে। এ সময় মো. লিটন মিয়া (৩৮) নামে এক ব্যবসায়ীকে মারপিট করা হয়েছে বলেন দাবী করেন স্থানীয়রা। আহত লিটন উপজেলার ভেলুয়া ইউনিয়নের বারারচর নয়াপাড়া গ্রামের আব্দুর রেজ্জাকের ছেলে। এদিকে ব্যবসায়ী ও স্থানীয়দের হামলায় বিজিবির ৩৯ ব্যাটেলিয়ান ময়মনসিংহের সদস্য মো. রুবেল খন্দকার (৩৫) ও মো. সবুজ (২০) এবং শ্রীবরদী থানার সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) মো. আজহারুল হক (৩৬) ও কনস্টেবল মো. জান্নাত (২৫) আহত হয়। তাঁরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন। উপজেলা প্রশাসন, পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বুধবার বেলা ১২টার দিকে চলমান লকডাউন বাস্তবায়নে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এস. এম আল আমীন ও সানাউল মোর্শেদের নেতৃত্বে উপজেলার ঝগড়ারচর বাজারে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন। এ সময় বাজারের কাপড় ব্যবসায়ী মো. লিটন মিয়ার সাথে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে বিজিবির এক সদস্য লিটনকে মারধর করেন। এতে লিটন আহত হন। আহত লিটনের দাবি, ভ্রাম্যমাণ আদালত চলাকালে তার দোকান বন্ধ ছিল। তিনি দোকানের সামনে মাস্ক বিক্রি করছিলেন। এ সময় বিনা কারণে বিজিবি সদস্য তাকে বেধরক মারপিট করেন। এদিকে লিটনকে আহত করার সংবাদ ছড়িয়ে পড়লে স্থানীয়রা সংঘবদ্ধ হয়ে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করেন। এতে বিজিবি সদস্য রুবেল খন্দকার ও মো. সবুজ এবং শ্রীবরদী থানার এএসআই আজহারুল হক ও কনস্টেবল মো. জান্নাত আহত হন। ঝগড়ারচর বাজার বণিক সমবায় সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. আলমাছ আলী বলেন, কাপড় ব্যবসায়ী লিটনকে মারধর করার খবরটি ছড়িয়ে পড়লে স্থানীয় এলাকাবাসী ক্ষুব্ধ হয়ে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করেন। মারধরের অভিযোগ অস্বীকার করে শ্রীবরদী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নিলুফা আক্তার বলেন, ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনাকালে কাউকে মারধর করা হয়নি। বরং প্রশাসন ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা অত্যন্ত সহনশীল মনোভাব প্রদর্শন করেন। এ ঘটনায় দায়ীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। শ্রীবরদীর ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বিপ্লব কুমার বিশ্বাস বলেন, এ ঘটনায় থানায় একটি মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলছে। এবং ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। Related posts:নকলায় সড়ক দুর্ঘটনায় মোটরসাইকেল চালক নিহতবন্ধ হচ্ছেনা শ্রীবরদীর সোমেশ্বরী নদী থেকে অবৈধ বালু উত্তোলনশেরপুরে দুর্গোৎসব উপলক্ষে র্যাব-১৪ কমান্ডারের বিভিন্ন মন্ডপ পরিদর্শন Post Views: ১৭৩ SHARES শেরপুর বিষয়: