রোহিঙ্গা আশ্রয়শিবিরে অগ্নিকাণ্ডে নিহত ২, পুড়ল সাড়ে ৪ শ ঘর অনলাইন ডেস্ক অনলাইন ডেস্ক প্রকাশিত: ৬:২৬ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ২৪, ২০২৪ কক্সবাজারে উখিয়ার কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে দুজনের মৃত্যু হয়েছে। এতে রোহিঙ্গাদের ৪৬৯টি ঝুপড়ি বসত ঘর ও তিনটি এনজিও অফিস পুড়ে গেছে। এ সময় আরও ১৫০টি ঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ফায়ার সার্ভিসের ৮টি ইউনিট প্রায় দুই ঘণ্টা চেষ্টার পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়। আজ মঙ্গলবার বেলা পৌনে ১টার দিকে উপজেলার কুতুপালং এলাকার লম্বাশিয়া ১-ওয়েস্ট ক্যাম্পের সি-ব্লকে এ ঘটনা ঘটে। কক্সবাজার ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্স স্টেশনের উপপরিচালক মো. তানহারুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, দুপুরে লম্বাশিয়া ১-ওয়েস্ট রোহিঙ্গা ক্যাম্পের একটি বসত ঘরে আকস্মিক আগুন লাগে। এতে আগুন ক্যাম্পটির এক থেকে পাঁচ নম্বর সাব ব্লকে ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে উখিয়া ফায়ার সার্ভিস স্টেশন থেকে ৩টি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে চেষ্টা চালায়। পরে সেখানে কক্সবাজার ও টেকনাফ ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের আরও ৫টি ইউনিট যোগ দেয়। ফায়ার সার্ভিস কর্মীদের পাশাপাশি আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করে সেনাবাহিনী ও স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবকেরা। বেলা পৌনে ৩টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে বলে জানিয়েছেন তানহারুল ইসলাম। স্থানীয়দের বরাতে তিনি বলেন, বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট অথবা রান্নার কাজে ব্যবহৃত গ্যাস সিলিন্ডার থেকে আগুনের সূত্রপাত হতে পারে। তবে অগ্নিকাণ্ডের কারণ অনুসন্ধানে ফায়ার সার্ভিস ও পুলিশ কাজ করছে। উপপরিচালক মো. তানহারুল ইসলাম আরও বলেন, অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় দগ্ধ হয়ে মারা যাওয়া দুজনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এ ছাড়া আগুন লাগার ঘটনায় প্রাথমিকভাবে ৪৬৯টি বসত ঘর ও কয়েকটি স্থাপনা সম্পূর্ণ পুড়ে গেছে। তদন্তকাজ শেষে চূড়ান্ত ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারণ করা সম্ভব হবে। ক্যাম্প ব্যবস্থাপনা অফিস ও রোহিঙ্গা কমিউনিটির নেতারা বলছেন, ৫টি ব্লকে পাঁচ হাজার ৪৭৫ জন রোহিঙ্গার বসবাস রয়েছে। স্থানীয়দের বরাতে উখিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আরিফ হোসাইন বলেন, দুপুরে লম্বাশিয়া ১-ওয়েস্ট রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ডি-ব্লকের একটি বসত ঘরে আকস্মিক আগুন লাগে। আগুন ক্যাম্পটির আশপাশের বসত ঘরসহ অন্যান্য স্থাপনায় মুহূর্তেই ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে উখিয়া ফায়ার সার্ভিস স্টেশন থেকে ৩টি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে চেষ্টা চালায়। পরে সেখানে কক্সবাজার ও টেকনাফ ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের আরও কয়েকটি ইউনিট যোগ দেয়। ফায়ার সার্ভিস কর্মীদের পাশাপাশি আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করে সেনাবাহিনী ও স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবকেরা। Related posts:ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় একই পরিবারের ৪ জনের মরদেহ উদ্ধারসিলেট-সুনামগঞ্জ সড়কে বিআরটিসির বাস কমানোয় ক্ষুব্ধ যাত্রীরাশেরপুরে বিডার উদ্যোক্তা সৃষ্টি ও দক্ষতা উন্নয়ন প্রকল্পের মাসব্যাপী প্রশিক্ষণ উদ্বোধন Post Views: ১১৪ SHARES সারা বাংলা বিষয়: