মোদির হাতে আরবদের পুরস্কার! ত্বকি ওসমানির আক্ষেপ News News Desk প্রকাশিত: ৫:৫৪ অপরাহ্ণ, আগস্ট ২৬, ২০১৯ ধর্ম ডেস্ক : কাশ্মীরে চলছে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ। মোদি সরকারের নির্দেশে কাশ্মীরে ঝরছে মুসলমানদের রক্ত। অবরুদ্ধ কাশ্মীর। ঠিক এ বিতর্কিত সময়েই আরব আমিরাত ও বাহরাইন বীরোচিত সম্মান জানায় ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে। আর তাতে এক টুইট বার্তায় আক্ষেপ ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন বিশ্ববিখ্যাত আলেম ও মুফতি, পাকিস্তানের সুপ্রিমকোর্টের শরিয়া বেঞ্চের সাবেক বিচারপতি মুফতি মুহাম্মদ ত্বকি ওসমানি। গতকাল রোববার আরবিতে লেখা এক টুইট বার্তায় তিনি আবেগঘন আক্ষেপ ও দুঃখ প্রকাশ করেন- ‘হায় আফসোস! লাখ লাখ মুসলমানের রক্তে লাল হলো যার হাত, মুসলমানদের ভূখণ্ড ছিনিয়ে নিয়ে গোটা কাশ্মীরকে কারাগারে পরিণত করল যে ব্যক্তি, যার কারণে কাশ্মীরে মুসলমানদের সবচেয়ে বড় গণহত্যার ইতিহাস রচিত হতে যাচ্ছে, সেই ব্যক্তি কি-না আরব মুসলিম দেশ থেকে সর্বোচ্চ পদক ও রাষ্ট্রীয় মর্যাদা পেয়েছেন। এর চেয়ে বড় লজ্জা-অপমাণ আর কী আছে?’ গত শনিবার ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে সর্বোচ্চ সম্মাননা দেয় সংযুক্ত আরব আমিরাত। তারা তাকে সর্বোচ্চ বেসামরিক পদক জায়েদ মেডেলে সম্মানিত করেন। মোদির হাতে মেডেল তুলে দেন আমিরাতের ক্রাউন প্রিন্স শেখ মোহাম্মদ বিন জায়েদ আল-নাহিয়ান। এ সময় মোদির গলায় মেডেলও পরিয়ে দেন তিনি। অন্যদিকে বাহরাইনও মোদিকে সম্মানিত করেন। তারা মোদিকে জাতি গঠনে অগ্রগতির স্বীকৃতিস্বরূপ ‘কিং হামাদ অর্ডার অব দ্য রেনেসাঁ’ পুরস্কার দেন। কাশ্মীরে যখন চলছে গণহত্যা। ঠিক সে সময়টিতে বাহরাইনের এ পুরস্কার পেয়ে মোদি বলেন, ‘দ্য কিং হামাদ অর্ডার অব দ্য রেনেসাঁ’ পুরস্কার পেয়ে আমি নিজেকে খুবই সৌভাগ্যবান ও সম্মানিতবোধ করছি। হ্যাঁ, আরব দেশগুলো থেকে মোদির এ পুরস্কার পাওয়া তার জন্য সম্মান ও সৌভাগ্যের বিষয়। কারণ মুসলমানদের রক্তেই তো তার হাত রঙিন। কাশ্মীরের গণহত্যা ও নির্যাতন পরিচালনায় তার জন্য বয়ে এসেছে এ সম্মান ও মর্যাদা। তাইতো মুফতি ত্বকি ওসমানি আক্ষেপ ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন। মোদির এ পুরস্কার প্রাপ্তি তার হৃদয়ে রক্তক্ষরণ হচ্ছে। উল্লেখ্য যে, কাশ্মীরে মুসলিমদের বিরুদ্ধে নিপীড়ন চালানোর অভিযোগ আছে নরেন্দ্র মোদি সরকারের বিরুদ্ধে। সেখানে কারফিউ জারি করে, স্থানীয় রাজনৈতিক নেতাদেরকে গ্রেফতার করে রেখেছে সরকার। একতরফাভাবে কাশ্মীরের স্বায়ত্তশাসন প্রত্যাহার করেছে। এ নিয়ে আন্তর্জাতিক বিভিন্ন মহল থেকে ভারতের মোদি সরকারের প্রতি নিন্দা জানানো অব্যাহত রয়েছে। জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদেও উঠেছে কাশ্মীর ইস্যু। বিশেষ করে পাকিস্তান এমন উদ্যোগের কড়া প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে। যার ফলে এ বিষয়টি নিয়ে দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা তীব্র আকার ধারণ করেছে। Related posts:দেশে ফিরেছেন ৪১ শতাংশ হাজিফেরেশতার মাধ্যমে মানুষ যেভাবে পেল দ্বীনের সঠিক শিক্ষাশবে মেরাজ আগামী ২২ মার্চ Post Views: ২৮০ SHARES ইসলাম বিষয়: