প্রেমিকার লাশ হাসপাতালে ফেলে পালাল প্রেমিক অনলাইন ডেস্ক অনলাইন ডেস্ক প্রকাশিত: ৪:১০ অপরাহ্ণ, আগস্ট ২৯, ২০১৯ ময়মনসিংহ প্রতিনিধি : ময়মনসিংহের ফুলপুরে হাসপাতালে সাবিনা (১৮) নামে এক তরুণীর মরদেহ ফেলে পালিয়েছে তার কথিত প্রেমিক। বুধবার দিবাগত রাত সাড়ে ১১টার দিকে ফুলপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এ ঘটনা ঘটে। পরে এ ঘটনায় কথিত প্রেমিক কামরুল ইসলামের (২০) মা ফিরোজা খাতুনসহ তিনজনকে আটক করা হয়েছে। ফুলপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা যায়, রাতে অসুস্থ সাবিনাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসেন প্রেমিক কামরুল, তার বাবা আব্দুল বারেক, মা ফিরোজা খাতুন ও আরও কয়েকজন। সেখানে নেয়ার পর সাবিনা মারা গেলে মা ফিরোজা খাতুনকে রেখে প্রেমিক কামরুল ও অন্যরা পালিয়ে যান। জানা যায়, কামরুল ইসলাম ময়মনসিংহের ফুলপুর উপজেলার রহিমগঞ্জ ইউনিয়নের মাটিচাপুর গ্রামের আব্দুল বারেকের ছেলে আর সাবিনা একই জেলার হালুয়াঘাট উপজেলার নড়াইল ইউনিয়নের কুমুরিয়া (বস্তিপাড়া) গ্রামের লিয়াকত আলী খাঁর মেয়ে। তারা গাজীপুরের কোনাপাড়া রোডে নাওজোড়া এলাকায় মাস্টার সেন্ট নামে একটি গার্মেন্টসে কাজ করতেন। সে সুবাদে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। সাবিনার বাবা ভ্যানচালক লিয়াকত আলী খাঁ বলেন, তাদের ওই সম্পর্কের বিষয়টি আমরা কেউ জানি না। আমার ধারণা, মেয়েকে অপহরণের পর হত্যা করা হয়েছে। মা গৃহপরিচারিকা বেগম, বড়বোন গার্মেন্টসকর্মী রুনা ও দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী বড় ভাই কামালের সঙ্গে সাবিনা গাজীপুরের তেলিপাড়ায় থাকতো। সাবিনার স্বজনরা জানান, প্রতিদিনের ন্যায় মঙ্গলবার সকালে সাবিনা গার্মেন্টসে যান। নির্ধারিত সময়ে বাসায় না ফেরায় পরিবারের সদস্যরা তাকে খোঁজাখুঁজি করতে থাকে। তাকে কোথাও খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। এরই মধ্যে বুধবার মধ্যরাতে ফুলপুর থানা থেকে সাবিনার মৃত্যুর সংবাদ আসে। এ বিষয়ে ফুলপুর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইমারত হোসেন গাজী বলেন, সাবিনার মরদেহে আঘাতের কোনো চিহ্ন পাওয়া যায়নি। মরদেহটি ময়নাতদন্তের পর প্রকৃত ঘটনা জানা যাবে। এ বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য প্রেমিক কামরুলের মা ফিরোজা খাতুনসহ তিনজনকে আটক করা হয়েছে বলেও তিনি জানান। Related posts:কোমলপানীয়র সঙ্গে নেশাদ্রব্য খাইয়ে কিশোরীকে ধর্ষণনুসরাতকে পরিকল্পিতভাবে আগুনে পুড়িয়ে হত্যা করেছে আসামিরাশেরপুরের বিশিষ্ট সংগঠক আমজাদ হোসেনের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন সাবেক সাংসদ ॥ শ্যামলী Post Views: ৬৫৬ SHARES সাক্ষাৎকার বিষয়: