ভার্চুয়াল শুনানীতে শেরপুরে জামিন পেলো ১০৬৮ আসামি

প্রকাশিত: ১২:৩৯ পূর্বাহ্ণ, জুন ১৯, ২০২০

স্টাফ রিপোর্টার ॥ করোনা ভাইরাসজনিত পরিস্থিতিতে শেরপুরে ভার্চুয়াল শুনানীতে জজশীপ ও ম্যাজিস্ট্রেসি মিলে শুরু থেকে ১৮ জুন বৃহস্পতিবার পর্যন্ত জামিন পেয়েছেন ১০৬৮ আসামি। এর মধ্যে কেবল জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতগুলোতেই জামিন পেয়েছেন ৯৭২ আসামি। আর জেলা ও দায়রা জজ এবং নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালসহ শিশু আদালত মিলে জামিন পেয়েছেন ৯৬ জন আসামি। চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের আওতায় জেলার ৫ উপজেলার প্রতিটি আমলী আদালত চালু থাকায় এবং হাজতি আসামিদের পাশাপাশি নিয়মিত আসামিদের আত্মসমপর্ণের শুনানী গ্রহণ করায় ভার্চুয়াল শুনানীতে জেলায় মোট জামিনপ্রাপ্ত আসামির প্রায় ১০ ভাগেরই ভাগ্য খুলেছে জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেসিতে। আর এর মধ্য দিয়ে এখানকার জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেসি সারাদেশে রেকর্ড সৃষ্টি করেছে। এখানে নালিশী মামলা দায়েরসহ আরও কিছু জরুরি বিষয়েও শুনানী হচ্ছে।
আদালতের সাথে সংশ্লিষ্ট একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র জানায়, সরকার ও বিচার বিভাগের যুগান্তকারী পদক্ষেপ ভার্চুয়াল আদালতের আওতায় সারাদেশের মতো শেরপুরে ১৩ মে জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ আল মামুনের আদালতে, ১৪ মে থেকে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালসহ শিশু আদালতের বিচারক মোঃ আখতারুজ্জামানের আদালতে এবং ১২ মে থেকে চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এসএম হুমায়ুন কবীরের আদালতে হাজতী আসামিদের ভার্চুয়াল জামিন শুনানী শুরু হয়। এর মধ্য দিয়ে এ পর্যন্ত ২৩ কার্যদিবসে জেলা ও দায়রা জজ আদালতে মোট ৬৮ জন এবং নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালসহ শিশু আদালতে মোট ২৮ জন আসামির জামিন হয়েছে। তাদের সবাই ছিলেন হাজতি আসামি। ওইসব আদালতে এখনও আসামিদের স্বেচ্ছায় আত্মসমর্পণের আবেদন শুরু হয়নি। আর শুরু থেকে এ পর্যন্ত মোট ২৪ কার্যদিবসে চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ও তার অধস্তন আদালতগুলোতে জামিন হয়েছে মোট ৯৭২ আসামি। জামিনপ্রাপ্ত ওই ৯৭২ জন আসামির মধ্যে ১২ মে থেকে ৩০ মে পর্যন্ত ৯ কার্যদিবসে জামিন পেয়েছেন ১৭০ জন হাজতি আসামি এবং হাজতি আসামিদের পাশাপাশি স্বেচ্ছায় আত্মসমর্পণকারী আসামিদের জামিন শুনানী গ্রহণ করায় ৩১ মে থেকে ১৮ জুন পর্যন্ত ১৫ কার্যদিবসে জামিন পেয়েছে অবশিষ্ট ৮০২ আসামি।