নকল ব্যান্ডরোল বিড়িতে বাজার সয়লাব ॥ উদ্ধারে নেই উদ্যোগ

প্রকাশিত: ৬:১৩ অপরাহ্ণ, জুলাই ২৪, ২০২০

স্টাফ রিপোর্টার ॥ শেরপুর জেলাসহ বৃহত্তর ময়মনসিংহ অঞ্চলে নকল ব্যান্ডরোলের বিড়িতে বাজার সয়লাব হয়ে গেছে। আর নানা কারণে নকল ব্যান্ডরোলের বিড়ির ব্যবসা থামানোও যাচ্ছে না। এতে মার খাচ্ছে সরকারকে কোটি কোটি টাকা টেক্স প্রদান করা বড়বড় বিড়ির ফ্যাক্টরির মালিকরা।
বিভিন্ন হাটবাজার ঘুরে দেখা যায়, নকল ব্যান্ডরোল লাগানো বিড়ির মূল্য কম থাকায় এ বিড়িগুলোই বিক্রি হচ্ছে বেশী। অপরদিকে সরকারকে নিয়মিত কর দেয়া বড়বড় বিড়ি ফ্যাক্টরির বিড়িগুলোর দাম বেশী থাকায় ক্রেতারা ক্রয় করছে কম। এতে এসব বিড়ির কোম্পানীগুলো বাজার হারাচ্ছে। ফলে কোম্পানীগুলোর ভবিষ্যত নিয়ে সঙ্কিত সংশ্লিষ্ট মালিকরা। এসব কোম্পানী মার খেলে সরকারও প্রতিবছর কোটি কোটি টাকার রাজস্ব হারাবে। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট বিভাগকে বারবার জানানোর পরও তেমন কোন কাজ হচ্ছে না বলে একাধিক বিড়ি কোম্পানী সূত্রে জানাগেছে। জানাযায়, করোনা প্রাদূর্ভাবের কারণে প্রশাসন এদিকে ব্যস্ত থাকায় নকল ব্যান্ডরোল লাগানো বিড়িতে বাজার সয়লাভ হয়ে যায়।
বিভিন্ন নামে নকল ব্যান্ডরোল লাগানো বিড়ি ফ্যাক্টরির মালিকরা কোন নিয়মনীতির তোয়াক্কা করছে না। এতে সরকারী রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে কোটি কোটি টাকার মালিক হয়ে যাচ্ছে তারা। দেশে ছোটবড় মিলিয়ে অন্তত ৩শতাধিক বিড়ির কারখানা রয়েছে। এর মধ্যে ছোট ছোট বিড়ির ফ্যাক্টরীগুলোই নকল ব্যান্ডরোল লাগিয়ে বিড়ি বাজারে ছাড়ছে। বৃহত্তর ময়মনসিংহ অঞ্চলে অন্তত ১০টি বিড়ির ফ্যাক্টরীর নকল ব্যান্ডরোল লাগানো বিড়ি বিক্রি হচ্ছে। এসব বিড়িগুলোর লগু নামীদামী বিড়িগুলোর মতই সামান্য ব্যতিক্রম রেখে প্রায় অবিকল করে রাখা হয়েছে। ফলে ক্রেতারা বুঝতে না পেরে নকল ব্যান্ডরোল লাগানো বিড়িই কম দামে ক্রয় করছে।
শেরপুরের নকলা বাজারের একজন ক্রেতা মজিদ মিয়া জানান, আমরা অতকিছু তো বুঝি না, নকল কোনডা আসল কোনডা নকল। এডাতো প্রশাসন দেখবে। আমরা কম দাম যেডা পাই সেডাই কিনে আনি। একাধিক বিড়ি ব্যবসায়ী জানান, আমরা ৩০নং রশিদা বিড়ি বিক্রি করি। কিন্তু নকল ব্যান্ডরোল লাগানো বিড়ি বাজার সয়লাভ হয়ে যাওয়ায় আগের চেয়ে বিক্রি অনেক কমে গেছে।
এ ব্যাপারে শেরপুর জেলা কাষ্টমস অফিসের রাজস্ব কর্মকর্তা মোঃ শাহ জাহান জানান, আমরা ইতিপূর্বে নকল ব্যান্ডরোলের ব্যাপারে অভিযান চালিয়ে আসতাম। কিন্তু বর্তমানে করোনা পরিস্থিতির কারণে অভিযান কমিয়ে আনা হয়েছিল। বিষয়টি আমাদের নলেজে আসায় এবিষয়ে আমরা আবার অভিযান শুরু করব। কোন অবস্থাতেই রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে নকল ব্যান্ডরোলের বিড়ি চলতে দেওয়া হবে না।